কার্ল মার্কস: নতুন পৃথিবীর দিশারী এবং আজ আরও প্রাসঙ্গিক

প্রকাশিত: ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২০

হাফিজ সরকার, ০৬ মে ২০২০ : (Yesterday was significant 5th May world’s greatest social thinker Karl Mark’s 200 years Birthday. As Marx desired and fought for the working

Karl Marx

class he had to face a tremendous and forceful opposition from the Bourgeoisie Capitalists .He went on to preach his ideals.Once he was taking a class with some working people at a road side tea shop.. Some aquaintece came and informed him that his daughter died. She was pretty young and was loved by the Philosopher most among all the children. What he did ? He simply told the messenger to go to Prussia and perform the last

rites. He left the tea and continued to tell the gathering that “death is inevitable,but life is precious.”)

কার্ল মার্কস বিগত ১৭২ বছরেরও বেশি কাল পৃথিবীর সর্বাধিক আলোচিত ব্যক্তিত্ব। শোষণ, বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে যারা এই পৃথিবীর বুকেই স্বর্গ রচনার সংগ্রামে নিয়োজিত তাদের শিক্ষক, পথপ্রদর্শক, অনুপ্রেরণার উৎস হলেন কার্ল মার্কস ও তাঁর শিক্ষা। বিপরীতে, দুনিয়ার সমস্ত শোষকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু কার্ল মার্কস ও মার্কসবাদ। একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না যে, বিগত প্রায় দেড়শত বছর ধরে সমগ্র পৃথিবীকে সর্বাধিক আলোকিত করেছে মার্কসবাদ। এ বছর তাঁর ২০২তম জন্মবার্ষিকী।

১৮১৮ সালের ৫ই মে প্রুশিয়ার ট্রিয়ের শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর অধ্যয়নের বিষয়বস্তু‍‌ ছিল আইনশাস্ত্র, ইতিহাস ও দর্শন। এটা সাধারণ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় অধ্যয়নের কথা বলা হচ্ছে। তিনি ডক্টরেট ডিগ্রিও লাভ করেন। তাঁর জ্ঞানের আকাঙ্ক্ষা ছিল ব্যাপক। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা, গণিত প্রভৃতির গভীর অনুশীলন ও অধ্যয়ন তিনি করেছিলেন। তাঁর আজীবন সহযোগী ফ্রেডরিক এঙ্গেলস-র সাথে তিনি মার্কসীয় মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মতবাদই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মতবাদ হিসাবে পরিচিত। এই মতবাদ শূন্য থেকে সৃষ্ট নয়। মানব সভ্যতার অগ্রগতির যে রাজপথ সেই রাজপথ থেকেই উদ্ভূত হলো বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মতবাদ।

মার্কসবাদের তিনটি উৎস

ঊনবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে জ্ঞান ভাণ্ডারের বিপুল অগ্রগতি ঘটছিল। জার্মান দর্শনের মধ্য দিয়ে দর্শনের জগতের সর্বাধিক বিকাশ প্রতিফলিত হয়েছিল। কান্ট, হেগেল, ফয়েরবাখ প্রমুখ সমৃদ্ধ করেছিলেন জার্মান দর্শনকে। সমসাময়িক যুগে অর্থনীতিকে বিজ্ঞানে উন্নীত করা ও তার অগ্রগতি সর্বাধিক ইংল্যান্ডে ঘটেছিল। অর্থনীতির সর্বোচ্চ রূপ প্রত্যক্ষ করা গেল ব্রিটিশ অর্থনীতির মধ্যে ঊনবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে। বিপ্লবী সংগ্রামের সর্বোচ্চ বিকাশ ফ্রান্সে ঘটেছিল। বিপ্লবের তত্ত্বের সর্বশ্রেষ্ঠ রূপ ফরাসী বিপ্লবী তত্ত্ব। তৎকালীন বিশ্বে জ্ঞানের এই তিনটি ক্ষেত্রই মার্কসীয় মতবাদের উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়।

মার্কসবাদের তিনটি উপাদান

তিনটি উৎসকে ভিত্তি করে মতবাদ গড়ে উঠলেও উৎসগুলির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস বিশেষভাবে অবহিত ছিলেন। জার্মান দর্শন, ব্রিটিশ অর্থনীতি ও ফরাসী বিপ্লব তত্ত্বকে আরও সমৃদ্ধ করেই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মতবাদকে তাঁরা প্রতিষ্ঠিত করলেন।

দ্বান্দ্বিকতার তত্ত্ব জার্মান দর্শনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি। জার্মান দার্শনিক হেগেল এই দ্বান্দ্বিকতার তত্ত্বকে উপস্থিত করলেন। সমস্ত কিছুই গতির মধ্যে অবস্থান করছে এবং গতির ফলেই পরিবর্তন। সমস্ত কিছুকে পরিবর্তনের মধ্যে দেখতে হবে এভাবেই দ্বান্দ্বিকতাকে হেগেল তুলে ধরলেন। কিন্তু হেগেলের এই দ্বান্দ্বিকতার তত্ত্ব ভাববাদের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল। হেগেল পরম ভাব বা আত্মার ওপর বিশেষ জোর দিলেন। দ্বান্দ্বিকতা হেগেলের দর্শনের মধ্যে মাথা নিচে ও পা ওপরে করে রয়েছে, এ কথাই মার্কস বললেন। দ্বান্দ্বিকতা ও বস্তুবাদের সমন্বয় ঘটিয়ে মার্কসীয় দর্শন অর্থাৎ দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ প্রতিষ্ঠিত হলো। মার্কসীয় মতবাদের অন্যতম ভিত তথা উপাদান হলো তার দর্শন।

প্রকৃতি জগত হলো বস্তুময়। বস্তু কখনও স্থির থাকে না। নিরন্তর গতির মধ্যে অবস্থান করছে প্রতিটি বস্তু ও সমগ্র বস্তুজগৎ। বস্তু কথার অর্থ ব্যাপক। বস্তু, শক্তি, ঘটনা সমস্ত কিছুই বস্তুজগতের অন্তর্গত। গতির ফলেই বস্তুর রূপের পরিবর্তন ঘটছে। এভাবেই অচেতন পদার্থ থেকে চেতন পদার্থ তথা চেতনার আবির্ভাব ঘটে। ভাব বা চেতনা বস্তুর বিকা‍‌শের ধারায় উদ্ভূত। বস্তুর গতি ও পরিবর্তনের কারণ ও বিকাশধারাকে সুস্পষ্টভাবে উপস্থিত করলো মার্কসীয় দর্শন।

মার্কসীয় দর্শনের ধারায় অসাধারণ অবদান রেখেছেন ফ্রেডরিখ এ‍‌ঙ্গেলস, ভি আই লেনিন একে আরও সমৃদ্ধ করলেন। এক্ষেত্রে একটি বিষয়ের উল্লেখ করা খুব প্রাসঙ্গিক যে, বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতি দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী দর্শনকে আরও শক্তিশালী করেছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী দর্শন পরস্পরের পরিপূরক একথা আজ আরও বে‍‌‍শিভাবে প্রতিষ্ঠিত।

অ্যাডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো অর্থশাস্ত্রকে বিজ্ঞান হিসাবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এর ওপর দাঁড়িয়েই মার্কস ও এঙ্গেলস মার্কসীয় অর্থনীতি গড়ে তুললেন। মূল্যের শ্রমতত্ত্ব পূর্বসূরি দিকপাল অর্থনীতিবিদরা আবিষ্কার করলেও উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব পুরোপুরিভাবে মার্কসেরই আবিষ্কার। শ্রমের মূল্য ও শ্রমশক্তির মূল্যের ‍‌ফারাকই হলো উদ্বৃত্তমূল্য। এটাই তো মার্কসীয় অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান। উদ্বৃত্ত মূল্যের সৃষ্টি ও আত্মসাৎই হলো পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অন্তর্বস্তু। পুঁজির সৃ‍‌ষ্টি ও বৃদ্ধিই হলো পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতার মূল কারণ। পুঁজির কেন্দ্রীভবনের প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাদ অগ্রসর হয়।

মার্কসীয় অর্থনীতির আ‍‌লোচনায় দেখানো হলো যে, সামাজিক উৎপাদন ও ব্যক্তিগত মালিকানার দ্বন্দ্বই পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সমস্ত সঙ্কটের মূল কারণ। এই দ্বন্দ্বের সমাধান একমাত্র সম্ভব উৎপাদনের উপায়ের ওপর সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এইভাবে মার্কসীয় অর্থনীতি সামাজিক বিপ্লবের প্রশ্ন সামনে নিয়ে এলো।

উৎপাদিকা শক্তির বিকাশের ধারাতেই সমাজ শ্রেণীতে বিভক্ত হলো। মানব সমাজে শ্রেণীর আবির্ভাবের পর থেকে মানব সমাজের ইতিহাস হলো শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস। শ্রেণী সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সমাজ ব্যবস্থার বিকাশ ঘটেছে। দাস সমাজই ছি‍‌লো প্রথম শ্রেণী বিভক্ত সমাজ। ক্রমান্বয়ে সামন্ততান্ত্রিক, পুঁজিবাদী সমাজের আবির্ভাব ঘটেছে। পুঁজিবাদী সমাজে শ্রেণীশোষণ নগ্নতম এবং শ্রেণীসংগ্রাম সরলতর হয়েছে। পুঁজিপতি শ্রেণীর মুখোমুখি শ্রমিকশ্রেণী। আধুনিক শিল্পের সৃষ্টি সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণী। এই শ্রেণীর স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্যই উৎপাদনের উপায়ের ওপর সমস্ত ধরনের মালিকানার অবসান ঘটাতে হবে। অর্থাৎ শোষণের ভিত্তিটার অবসান ঘটাতে হবে। শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে পরিচালিত শ্রেণী সংগ্রাম পুঁজিবাদের অবসান ঘটিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাজতন্ত্রের রাজনৈতিক রূপ সর্বহারার একনায়কত্ব। এই একনায়কত্বর লক্ষ্য হলো শোষণহীন, শ্রেণীহীন সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণ। পুঁজিবাদ থেকে সমাজত‍‌ন্ত্রে উত্তরণ সম্ভব বিপ্লবের মাধ্যমে। সর্বহারার নেতৃত্বে বিপ্লবী সংগ্রাম সফল করার জন্য তার নিজস্ব পার্টি অর্থাৎ কমিউনিস্ট পার্টি গড়ার বিষয়টিও খুব গুরুত্ব দিয়ে মার্কস-এঙ্গেলস আলোচনা করেন।

মার্কসের কাছে জ্ঞান গতিশীল

মার্কস কখনও মতবাদকে আপ্তবাক্য হিসাবে মনে করেননি। গতিশীল মানব সমাজে জ্ঞানের বিকাশও অবধারিত। তাই চূড়ান্ত জ্ঞান বলে কিছুই হয় না। সেই জন্যই কার্ল মার্কস তাঁর জীবদ্দশায় প্রকৃতি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অগ্রগতির ওপর বিশেষভাবে নজর রাখতেন। বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন যখন প্রাণীজগতের বিবর্তন তত্ত্ব আবিষ্কার করলেন, এই আবিষ্কারকে মার্কস ও এঙ্গেলস তাদের মতবাদ প্রতিষ্ঠায় বিশেষভাবে ব্যবহার করেছেন। আদিম মানব সমাজ সম্পর্কে হেনরি মর্গানের সর্বশেষ আবিষ্কার (ঊনবিংশ শতাব্দীতে) মতবাদ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে মার্কস তৎপর হলেন।

সর্বহারার বিপ্লব পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অবসান ঘটানোর মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ উৎখাত ব্যতিরেকে সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণীর রাষ্ট্র গড়ে উঠতে পারে না। ১৮৭১ সালের প্যা রি কমিউনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই পুঁজিবাদী রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেঙে ফেলার বিষয়টি সামনে এসে দাঁড়ালো। মার্কস তার মতবাদে বিনা দ্বিধায় এই নতুন শিক্ষাকে গ্রহণ করলেন।

মার্কসবাদ আজ আরও প্রাসঙ্গিক

বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাদ ও শোষণ ব্যবস্থা বিরাজ করছে। পুঁজিবাদী শোষণের নির্মমতা, বর্বরতা সকলের চোখের সামনে। যে পুঁজিতে আধিপত্য হলো পুঁজিবাদের মর্মবস্তু, সেই পুঁজির আবির্ভাব ঘটে যখন তখন তার সমগ্র দেহ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত। পুঁজিবাদ, তার নির্মম শোষণ ও চক্রাকারে সঙ্কট এবং সঙ্কটের তীব্রতা বৃদ্ধি মার্কসবাদকে বর্তমান সময়ে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।

আত্মসর্বস্বতা, ব্যক্তিস্বার্থের চোরাগতিতে মানব মননকে টেনে নামানোর লক্ষ্যে বিশ্ব পুঁজিবাদ দর্শনের ক্ষেত্রে নতুন নতুন আক্রমণ নামিয়ে আনছে। উত্তর আধুনিকতা (পোস্ট মর্ডানিজম)-র দর্শন হলো সর্বশেষ নজির।

দর্শনের জগতে সংগ্রামের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমান সময়ে। সেই জন্য মার্কসীয় দর্শন হয়ে উঠেছে আরও প্রাসঙ্গিক।

সাম্রাজ্যবাদের যুগকে মার্কসীয় অর্থনীতির ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করলেন ভ্লাদিমির লেনিন। লগ্নীপুঁজির সম্পর্কে প্রকৃত শিক্ষা আমরা পেলাম সমৃদ্ধতর মার্কসীয় অর্থনীতির মাধ্যমে। বর্তমান পৃথিবীতে যখন আমরা দেখছি চরমভাবে কেন্দ্রীভূত আন্তর্জাতিক লগ্নীপুঁজির আধিপত্য তখন মার্কসীয় অর্থনীতি হলো প্রকৃত দিক্‌দর্শন। কার্ল মার্কসের অমর সৃষ্টি ‘পুঁজি’র সমাদর বৃদ্ধি পেয়েছে সমগ্র বিশ্বজুড়ে।

পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের পতন ছাড়া সমতা, শান্তি, প্রগতি সম্ভব নয় এই উপলব্ধি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয়ের পর সাময়িক দ্বিধা অতিক্রম করে সমগ্র বিশ্বজুড়েই পুঁজিবাদী শোষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-সংগ্রাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিপ্লবী মতবাদ-মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পুঁজিবাদের পতন ও সমাজতন্ত্রের বিজয় অনিবার্য

মানব সমাজের অগ্রগতির ধারায় পুঁজিবাদের পতন ঘটে সমাজতন্ত্র কায়েম হবেই। মানব সমাজ সাম্যবাদের দিকে এগিয়ে যাবেই। এটা অবধারিত। মার্কসীয় মতবাদ হলো বিজ্ঞান। সেই বিজ্ঞানই আমাদের শিখিয়েছে যে, সমাজের এই বৈপ্লবিক রূপান্তর সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে সমস্ত শোষিত-বঞ্চিত মানুষের সম্মিলিত বৈপ্লবিক সংগ্রামের মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে। দেশে দেশে পরিচালিত হবে এই বিপ্লবী সংগ্রাম।

মার্কসবাদ — মেহনতী মানুষের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী হাতিয়ার

মার্কসবাদের মর্মবস্তুকে মার্কস নিজেই তুলে ধরেছেন, ‘‘দার্শনিকরা এতকাল নানাভাবে দুনিয়াটাকে ব্যাখ্যা করেছে। কিন্তু আসল কথা হলো একে পরিবর্তিত করা।’’ শোষণহীন উন্নততর পৃথিবী গড়ার মতাদর্শ হলো মার্কসবাদ। সমগ্র দুনিয়ার মেহনতী মানুষের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী হাতিয়ার হলো মার্কসবাদ। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) মার্কসীয় মতবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভারতের বুকে শোষণহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে সি পি আই (এম) কাজ করছে। ‘নির্দিষ্ট পরিস্থিতির সুনির্দিষ্ট অনুশীলন’-এর প্রয়োগ ঘটিয়েই ভারতের বিপ্লবী সংগ্রামের কর্মসূচী প্রস্তুত করে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। ভারতীয় বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখে সংসদীয় ও সংসদ বহির্ভূত সংগ্রামের সমন্বয় ঘটিয়ে বিপ্লবী পরিবর্তনের লক্ষ্যে সিপিআই (এম) অগ্রসর হচ্ছে। এই জন্যই দেশী-বিদেশী সমস্ত প্রতিক্রিয়ার শক্তির আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু সিপিআই (এম)। ভারতে শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে বিপ্লবী আন্দোলনের শক্তিকে ওরা ভয় পায়। ওরা ভয় পাক। ওরা কাঁপতে থাকুক। শৃঙ্খল ছাড়া শ্রমিকশ্রেণীর হারাবার কিছু নেই। ‘জয় করার জন্য রয়েছে সমগ্র জগৎ।’

সংগ্রহ ও সম্পাদনা:
হাফিজ সরকার
লেখক ও কলামিস্ট,
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও
সাধারণ সম্পাদক, কুষ্টিয়া জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি

তথ্যসূত্র:
১) শ্রীদীপ ভট্টাচার্য
২) গণশক্তি
৩) পবিত্র সেনগুপ্ত

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ