১৬০ কোটি মানুষ জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে: আইএলও

প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২০

জেনেভা, ০৫ মে ২০২০: বিশ্বজুড়ে অব্যাহতভাবে কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় প্রায় ১৬০ কোটি মানুষ জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে আছে, যা মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক; বলছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা

ILO

(আইএলও)।

২৯ এপ্রিল কোভিড-১৯ নিয়ে জেনেভা অফিস থেকে আইএলওর তাদের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে যে পরিমাণ কর্মঘণ্টা কমেছে, তা আগে যা ধারণা করা হচ্ছিল তার চেয়েও অনেক বেশি। গত বছরের শেষ প্রান্তিকের (প্রাক-সংক্রমণের সময়) চেয়ে সাড়ে ১০ শতাংশ অবনতি আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা প্রায় সাড়ে ৩০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মসংস্থানের (সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ ধরে) সমান। পূর্ববর্তী অনুমান ছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ কমার অর্থাৎ সাড়ে ১৯ কোটি পূর্ণকালীন কর্মীর সমতুল্য।

বর্তমানে পরিস্থিতি সব বড় আঞ্চলিক গোষ্ঠীর জন্য আরও খারাপ হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ কর্মঘণ্টা হারাবে। ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া হারাবে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ কর্মঘণ্টা।

মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির প্রায় ১৬০ কোটি শ্রমিকের জীবিকা নির্বাহ ঝুঁকিতে পড়বে। মূলত করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশে দেশে নেওয়া লকডাউন পদক্ষেপের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এই সংকটের প্রথম মাসে বিশ্বব্যাপী অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকের আয় কমেছে ৬০ শতাংশ, যা আফ্রিকার দেশের ক্ষেত্রে ৮১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ৭০ শতাংশ।

আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পটিআইনেন বলেন, জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশ যেমন নারী, যুবক, বয়স্ক শ্রমিক, অভিবাসী ও চাকরিজীবী ব্যক্তিরা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আলাদাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তরুণ জনগোষ্ঠী এমনিতে উচ্চ বেকারত্বের হারে রয়েছে, তাঁরা জীবিকা হারাতে বসেছেন। বয়স্ক কর্মীরা কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় বেকারত্বের ঝুঁকিতে আছেন। নারীরা সামাজিক সুরক্ষার অভাবে রয়েছেন। স্ব-কর্মসংস্থানের কর্মীরা প্রচলিত সামাজিক সুরক্ষা প্রক্রিয়া দ্বারা সুরক্ষিত নন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ