সিলেট ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মে ২১, ২০২০
ঢাকা, ২১ মে ২০২০: করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে ক্ষতির মুখে পড়ার কথা তুলে ধরে বকেয়া পরিশোধের পাশাপাশি ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো।
মঙ্গলবার এই সংস্থাগুলোর মোর্চা অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এএএবি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এএএবি সভাপতি রামেন্দু মজুমদার বলেন, “হঠাৎ করে আয়ের উৎসে ধস নামায় বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো নগদ অর্থের প্রবাহ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
”আমাদের বিশেষ অনুরোধ, ব্যবসা চালু রাখার জন্য আমাদেরকে এক বছরের খরচের ৭০ শতাংশ ব্যাংকিং খাত থেকে চলতি মূলধনের জন্য ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হোক।”
তিন বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে চলতি মূলধন উত্তোলনের ছয় মাস পর থেকে সুদ আরোপ করা হোক।”
বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর বিল পরিশোধের দাবি জানিয়ে রামেন্দু মজুমদার বলেন, “অনেক মন্ত্রণালয় ও সরকারি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে আমাদের সদস্যদের বিল পাওনা আছে। অবিলম্বে সেসব বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করলে আমরা অত্যন্ত উপকৃত হব।
“যেহেতু আমরা বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে বিল আদায় করে সংবাদপত্র ও টিভি-রেডিও চ্যানেগুলোকে পাওনা পরিশোধ করি, দেশের গণমাধ্যমের স্বার্থে সকল বিজ্ঞানদাতাকে দ্রুত বিজ্ঞাপনী সংস্থাসমূহের বিল পরিশোধের নির্দেশ দিলে আমাদের অর্থ সংকটের কিছুটা সুরাহা হয়।”
আয়করের বিপরীতে অধিক উৎসে কর কাটার কারণে অগ্রিম জমা পড়া টাকা ফেরত দেওয়া কিংবা ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎসে কর না কাটার আহ্বানও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন রামেন্দু মজুমদার।
এক্সপ্রেশনস লিমিটেডের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “আমাদের ক্লায়েন্টরা যখন আমাদের বিল পরিশোধ করেন তখন উৎসে কর্তিত করের পরিমাণ আমাদের এজেন্সি কমিশন হিসেবে প্রাপ্ত আয় থেকে অনেক বেশি হয়। ফলে বছরের পর বছর আমাদের আয়কর নির্ধারিত পরিমাণের বেশি সরকারের কাছে সমন্বয়ের পরও অগ্রিম জমা হয়ে থাকে।
“তাই আমাদের অনুরোধ, যে যে প্রতিষ্ঠানের ২০১৮ সালের পর যে অগ্রিম টাকা সরকারের কাছে জমা আছে, তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দিলে এ দুঃসময়ে আমাদের উপকার হয়। অথবা এখন থেকে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত আমাদের বিলের টাকা থেকে অগ্রিম আয়কর উৎসে কর্তন না করার নির্দেশ দিলে বাধিত হব।”
বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো ২০২০ সালে ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশও অর্জন করতে পারবে না বলে শঙ্কা জানিয়ে রামেন্দু মজুমদার বলেন, “জানুয়ারি থেকে মার্চ আমাদের ব্যবসায় মন্দা ভাব থাকে। দুই ঈদ, নববর্ষ ও বছরের শেষ ২-৩ মাসে আমাদের ব্যবসা বিশেষ গতি লাভ করে।
“এবার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে যে, ঈদ-উল-ফিতরকে উপলক্ষ করে কোনো ব্যবসা যেমন হয়নি, ঈদ-উল-আযহাতেও তেমন কোনো ব্যবসার সম্ভাবনা নেই।”
সংবাদ সম্মেলনে এএএবি উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান নূর, সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ খান, নির্বাহী সদস্য সাইদ গাওসল আলম শাওন বক্তব্য দেন।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D