‘করোনাযুদ্ধ ও বর্তমান বিশ্ব’

প্রকাশিত: ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ৮, ২০২০

‘করোনাযুদ্ধ ও বর্তমান বিশ্ব’

মহি উদ্দিন মহিম, ০৮ জুন ২০২০ : মরণঘাতী মহামারি নভেল করোনাভাইরাস-

তার তাণ্ডবলীলায় বিশ্ব আজ লণ্ডভণ্ড,
এরিমধ্যে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ৬৮ লাখের বেশি, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। ছোট আয়তনের আমাদের বাংলাদেশ –
৮ মার্চ’২০ প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়,
আজ পর্যন্ত মৃত্যু ৮৪৬ জন
আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার ২৬ জন,
ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী –
দ্য ইকোনমিস্ট জানিয়েছে-
বাংলাদেশের ঢাকা শহরেই-
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাড়ে ৭ লাখ!
আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দিনদিন বাড়ছে,
তেমনি মৃত্যুর সংখ্যাও সমানতালে বাড়ছে,
অপরদিকে মূলত বিশৃঙ্খল অবস্থায় যোগাযোগ,
বন্ধ হয়ে যায়যায় অবস্থায় অর্থনীতির চাকা।
দেশ- বিশ্ব ব্যাপী বাস- রেল-বিমান-জলযান
সব ধরনের জনযানই বন্ধ বা বন্ধ অবস্থায়।
কলকারখানা, ব্যবসাবাণিজ্য, আমদানিরপ্তানি
বেশিরভাগই বন্ধ ও হুমকিতে।
জীবন-জীবিকা উভয় রক্ষায়
মানুষ ঘরে বাইরে অসমতালে –
টালমাটাল অবস্থায় চলছে তাদের দিনক্ষণ,
দেশ- জগৎ জুড়ে কাজকর্মে চলছে মন্দাভাব,
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ে –
নেই তাদের ক্ষমতা,
নেই প্রয়োজনমত আয়।
দরিদ্র-হতদরিদ্র-মধ্যবিত্ত-
শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর, খেতমজুর,
রিক্সাচালক, টেক্সিচালক,টলিচালক,
বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভার- হেলপার,
ক্ষুদ্রব্যবসায়ী, ফেরিওয়ালা
এসব মাঝারি প্রান্তিক গণমানুষ
আজ অসহায় ও দিশেহারা।
দিনদিন দরিদ্র হতদরিদ্র বাড়ছে,
সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে
দরিদ্রের হার জনসখ্যার ২০.৫ শতাংশ-
দরিদ্র ৩ কোটি ৩০ লাখ,
বর্তমান সময়ে করোনার কারণে-
দরিদ্র বাড়ে প্রায় ২২.৯ শতাংশ –
প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ,
এখন মোট দরিদ্রের হার প্রয় ৪৩ শতাংশ –
বর্তমানে দরিদ্র প্রায় ৭ কোটি।
‘আমাদের সময়’ পত্রিকার ২০ মে’২০ সংখ্যায়
এক প্রতিবেদনে বলা হয়-
করোনার কারণে বাংলাদেশের-
গ্রামে ৬২ শতাংশ,শহরে ৭৫ শতাংশ –
মানুষের আয় রোজগার কমেছে-
ভাঙারি ওয়ার্কারদের আয় কমেছে ৮৮শতাংশ,
রিকশাচালকদের আয় কমেছে ৮৪ শতাংশ,
দিনমজুর, শিল্পি সমাজের কমেছে ৮৩ শতাংশ,
মালি,কারখানা কর্মিদের কমেছে ৮০ শতাংশ,
দক্ষ শ্রমিকের আয় কমেছে ৭৯ শতাংশ,
কৃষি-শ্রমিকের আয় কমেছে ৭৫ শতাংশ,
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কমেছে ৭৩ শতাংশ,
দোকান,সেলুন,পর্লারের কমেছে ৭২ শতাংশ,
পোশাক কর্মিদের আয় কমেছে ৪৯ শতাংশ,
কৃষকের আয় কমেছে ৪৪ শতাংশ,
পিয়ন,নিরাপত্তাকর্মিদের কমেছে ৪৩ শতাংশ,
অফিসের আনুষ্ঠানিক কর্মিদের কমেছে ৩৩ শতাংশ,
পরিচন্ন কর্মিদের আয় কমেছে ২৭ শতাংশ।
হতদরিদ্রের আয় অনেকটা শূন্যের কোটায়,
এদের ভরণপোষণে যতটুকু প্রয়োজন
ত্রাণে তা পূরণ হচ্ছেনা,
আর আমাদের দেশ-
যেখানে ত্রাণ নিয়ে তেলেছমাতি হয়,
চুরিচামারি লুটপাট হয়।
মহামারি করোনাভাইরাস তাণ্ডবে
বিশ্ব-বাংলাদেশ সবখানে
আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হুহু করে বড়ছে,
একজন মরছে সাথে-
শতজনকে আক্রান্তে ভূমিকা রাখছে।
এমন মহামারি দুর্যোগকালে
প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য জিনিষপত্রের দাম বাড়ছে,
লুটেরা বুর্জোয়া- ব্যবসায়ী- মধ্যস্বত্বভোগীরা
হাজার হাজার লাখ কোটি টাকা
লুটপাট আত্মসাৎ করছে।
করোনাযুদ্ধের এই দুর্যোগময় সময়েও
লুটেরা গুষ্ঠি থামছেনা,
সব লুটেপুটে খাচ্ছে।
‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ২৫ মে’২০ সংখ্যায়-
এক প্রতিবেদনে ‘ফোবার্স’ ম্যাগাজিনের-
বরাত দিয়ে বলা হয় যে
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রমণে
মধ্যবিত্ত,দরিদ – হতদরিদ্রের
অর্থনৈতিক অবস্থা দিনদিন খারাপ হলেও
ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে,
এরিমধ্যে বিশ্বের ২৫ জন ধনকুবের
আরও বেশি বেশি ধনসম্পদের মালিক হয়েছে-
জেফ বেজোস এর অর্থ-সম্পদ-
২৯.৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৬.৯ বিলিয়ন ডলার,
বিল গেটস এর অর্থসম্পদ-
১১.৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ২০৬.৫ বিলিয়ন ডলার,
বারনার্ড আরনুল্ট এর-
১২.৮ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৪.১ বিলিয়ন ডলার,
মার্ক জাকারবার্গ এর অর্থসম্পদ-
৩১.৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৬.৫ বিলিয়ন ডলার,
ওয়ারেন বাফেট এর অর্থসম্পদ-
৬ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৯.২ বিলিয়ন ডলার,
ল্যারি এলিসন এর অর্থসম্পদ-
১০.৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৬.৪ বিলিয়ন,
স্টিভ বালমোর এর অর্থসম্পদ-
১৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৬৫.৪ বিলিয়ন ডলার,
ল্যারি পেজ এর–
১৪.২ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৬৩.৬ বিলিয়ন ডলার,
সার্গেই ব্রিন এর-
১৭.৭ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৬১.৩ বিলিয়ন ডলার,
আমানসিও ওরতেগা এর-
৫.২ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৬০.৫ বিলিয়ন ডলার,
জিম ওয়ালটন এর –
৩.৬ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৫৫.২ বিলিয়ন ডলার,
অ্যালিস ওয়ালটন এর–
৩.৬ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৫৫.২ বিলিয়ন ডলার,
রব ওয়ালটন এর-
৩.৬ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৫৪.৮ বিলিয়ন ডলার ডলার,
ফ্রান্সয়েস বিটেন কোট মায়েরস এর-
৬.৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৫৪.২ বিলিয়ন ডলার,
মুকেশ আম্বানি এর-
১৯.৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৫২.৭ বিলিয়ন ডলার,
কার্লাস স্লিম হেলু এর-
৪.২ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৫১.২ বিলিয়ন ডলার,
ম্যাকনজি বেজোম এর-
১০.৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৪৭.৪ বিলিয়ন ডলার,
মা হুয়াতাং এর অর্থসম্পদ-
৬.৮ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৪৬.৪ বিলিয়ন ডলার,
জ্যাক মা এর-
৩ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১.৩ বিলিয়ন ডলার,
ফিল নাইট এর-
৯.৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলার,
এলন মাস্ক এর-
৯.৫ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬.৭ বিলিয়ন ডলার,
কলিন ঝেং হুয়াং এর-
১৭.৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫.৬ বিলিয়ন ডলার,
ফ্রান্সয়েস পিনাল্ট এর-
২.১ মিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১.৮ বিলিয়ন ডলার,
শেলডন অ্যাডলসন এর-
১.৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০.৭ বিলিয়ন ডলার,
মাইকেল ডেল এর অর্থসম্পদ-
৩.৫ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮.৩ বিলিয়ন ডলার।
মহামারির এই দুঃসময়ে গণমানুষ নিঃস্ব হচ্ছে,
কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারয়ে বেকার হচ্ছে,
‘যুগান্তর’ ৩ মে’২০ সংখ্যায়
আই এম এফ-এর বরাত দিয়ে বলা হয়-
বিশ্বে করোনায় ৩৩০ কোটি শ্রমিক বেকার হতে পারে।
জাতীয় সংঘের খাদ্য কর্মসূচী সংস্থার প্রধানের মতে-
বিশ্বে করোনার কারণে-
অনাহারে মরতে পারে ৩ কোটি মানুষ,
আই এম এফ-এর মতে-
বিশ্ব জিডিপি- ৯ লাখ ডলার কমে যাবে।
‘বাংলা ট্রিবিউন’ পত্রিকা ১৫ এপ্রিল’২০ সংখ্যায়-
আই এম এফ- এর বক্তব্য –
১৯৩০ দশকের মহামন্দার পর -সবচেয়ে বেশি-
৩ শতাংশ সংকোচিত হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি।
বিশ্বে যখনই দুর্যোগ মহামারি
সংকটময় অবস্থার সৃষ্টি হয়,
তখনই গণমানুষ নিঃস্ব রিক্ত হয়
কিন্তু বুর্জোয়াশ্রেণী হাজার হাজার-
লাখ লাখ কোটি অর্থসম্পদের মালিক হয়!!!
ধনীকগুষ্ঠীর অর্থসম্পদ পর্বতসম হলেও-
তাদের লুটপাটের সহযোগী-প্রভু সাম্রাজ্যবাদের-
কর্তৃত্ববাদী অবস্থান হুমকির সম্মুখীন,
মহামারি করোনাভাইরাস বিশ্বকে –
আজ ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে,
এক মহা সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এতদিন পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদগুষ্ঠী
বিশ্বময় তাদের কর্তৃত্ব অব্যাহত রেখেছে,
করোনাযুদ্ধের কারণে-
পুঁজিবাদী- সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর পক্ষে
করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে যেতে পারবেননা।
আই এম এফ – যাই বলুক
বিশ্বে- শোষণ ভিত্তিক সমাজকাঠামোতে-
গণমানুষ বর্তমান সংকট , অসহায়ত্ব কাটছে না।
গরিবরা আরও শোষিত- দুর্বিষহ অবস্থায় পতিত হচ্ছে।
অপরদিকে ধনীকগুষ্ঠির শোষণ লুণ্ঠন কমছে না,
তাদের ধনসম্পদ অবিশ্বাস্য গতিতে বাড়ছে।
বিশ্বে পুঁজিবাদী -সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা,
বিশ্বায়ন- লুণ্ঠন ব্যবস্থা
ধনীকে দানব-ধনীতে পরিণত করছে।
এরা মুষ্টিমেয় অল্প কতেক বুর্জোয়া ও
তাদের নিয়ন্ত্রিত লুটেরা সিণ্ডিকেট
তামাম বিশ্বের ধনসম্পদ কুক্ষিগত করছে।
এত লুটপাট অর্থবিত্ত হরণ,
এত ‘উন্নয়ন’ সুপারপাওয়ার হয়ে
বিশ্বময় ছড়ি ঘুরানো,
সাম্রাজ্যবাদী-গণতন্ত্রের নামে
দেশে দেশে আধিপত্য বিস্তার,
নয়া উপনিবেশিক শোষণ লুণ্ঠন নিপীড়ন,
এই সাম্রাজ্যবাদী গণতান্ত্রিক মডেল-
করোনাযুদ্ধে থমকে দাঁড়িয়েছে।
সাম্রাজ্যবাদী -গণতন্ত্রীদের প্রধান নেতা-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ সাম্রাজ্যবাদীরা আজ অসহায়,
করোনায় সাম্রাজ্যবাদের দাপটকে
চুরমার করে দিচ্ছে।
বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদীদের মোড়ল-
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ করোনাযুদ্ধে দিশেহারা,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এপর্যন্ত –
করোনায় আক্রান্ত ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯১২ জন,
মৃত্যু ১ লাখ ১১ হাজার ৩৯৪ জন।
এডিবি- মতে কেভিড-১৯ মহামারিতে-
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতি-
২ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার,
করোনাযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে আজ ৪ কোটি বেকার।
মহামারি করোনাভাইরাস মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সহ
পুঁজিবাদী- সাম্রাজ্যবাদী বলয়কে যে ধাক্কা দিয়েছে,
তা আর সামলাতে পারছেনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনাযুদ্ধে ব্যর্থ হয়ে
রাজনৈতিক সংস্কৃতি লঙ্ঘন করে
অসংলগ্ন আচরণ করছে,
করোনাভাইরাসকে চিনাভাইরাস বলে,
চিনকে নানাভাবে হেয় ও কোণঠাসা করছে।
এরিমধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে
মার্কিন পুলিশ শ্বাসরোধ করে
অমানবিক নৃশংসভাবে হত্যার কারণে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ আন্দোলনে
সেখানে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে।
এই বিক্ষোভ আন্দোলন-
যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পার হয়ে আমেরিকা –
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
কারফিউ উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রে –
বর্ণবাদ ও পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে
এবং সমঅধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
কৃষ্ণাঙ্গ ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ
অব্যাহত রয়েছে,
দিনদিন বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়ছে।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে –
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যর্থতা,
অপরদিকে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা-
এই দুই ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিপাকে,
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট –
বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি –
‘চরম বিশৃঙ্খলা পূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও
বুদ্ধিজীবী নোয়াম চমস্কি বলেন যে,
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমদিকে-
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা অস্বীকার করে-
মার্কিন নাগরিকদের পিঠে ছুরি মেরেছেন,
আগামী নির্বাচনে নিজের জয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে এবং
বড় ধরনের ব্যবসা ধরতে-
করোনাভাইরাস মহামারিকে ব্যবহার করেছেন,
এজন্য তিনি হাজার হাজার-
মার্কিনীর মৃত্যুর জন্য দায়ী।
নোয়াম চমস্কি বলেন- এসময়ে
দেশের ত্রানকর্তা হওয়ার ভান করে
ট্রাম্প সাধারণ মার্কিনীদের পিঠে ছুরি মেরেছেন।
অবশ্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পূর্ব থেকেই
সারা বিশ্বে শাসন শোষণ লুণ্ঠন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর শাসনকাঠামো-
গণমানুষের কল্যাণে,
গণমানুষের মৌলিক সমস্যা পূরণে
দিনদিন ব্যর্থ হচ্ছে,
সাম্রাজ্যবাদের অসারত্ব প্রমাণিত হচ্ছে।
যুগযুগ ধরেই বিশ্বের গণমানুষ ঠকে আসছে,
প্রতারিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
সাম্রাজ্যবাদ- লুটেরা পুঁজিবাদীদের-
শোষণ লুণ্ঠন নিপীড়ন
অন্যায় অবিচার অমানবিক –
অপকর্মের কি প্রতিকার হবে???
কে করবে???
০৬/০৬/২০২০ ইং।