সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ১০, ২০২০
ঢাকা, ১০ জুন ২০২০: সেন্টার ফর পলিসি সংলাপ ডায়ালগ (সিপিডি) কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের আসন্ন জাতীয় বাজেটে জনগণের ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রোয়াজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে এই বছর এবং বর্তমান সংকট সাধারণত ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং মন্দার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আসন্ন জাতীয় বাজেটসহ অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণ ক্ষেত্রের হাতিটি হচ্ছে কোভিড-১৯ মহামারী। তাই লোকসান ও দুর্ভোগ থেকে মানুষকে বাঁচানো সর্বাধিক অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘টাইমস অফ প্যান্ডেমিক্সে পলিসি মেকিংয়ের চ্যালেঞ্জস’ সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এবং গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।
প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী বাজেট এই উদীয়মান চ্যালেঞ্জের পক্ষে উঠতে সক্ষম হবে।
তৌফিকুল ইসলাম ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেটে স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি ও কর্মসংস্থান এই চারটি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যদি সরকার যথারীতি ব্যবসার জড়তা দ্বারা চালিত সাধারণ বাজেটের কাঠামো থেকে বের না হয় তবে প্রয়োজনীয় সম্পদ এসব ক্ষেত্রে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, এসব ক্ষেত্রের চাহিদার প্রাক্কলনও বাস্তবসম্মত ও প্রমাণ-নির্ভর হওয়া দরকার।
তৌফিকুল ইসলাম অন্যান্য সহায়ক পদক্ষেপ যেমন বাংলাদেশী টাকার ক্রম অবমূল্যায়ন এবং যথাযথভাবে উদ্দীপনা প্যাকেজগুলো কার্যকর ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, অনিশ্চিত বৈশ্বিক পরিবেশ দেখার জন্য, সরকারের অভ্যন্তরীণ চাহিদা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ চাহিদাগুলো উদ্দীপিত করার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাজার বহুমুখীকরণের জন্য এবং বিদেশের কর্মসংস্থান ও রেমিটেন্স প্রবাহ এলাকায় চ্যালেঞ্জের মোকাবেলার জন্য আগ্রাসী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন হবে।
তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো দেশীয় চাহিদা বাড়ানো এবং বিশেষত নিম্ন ও মধ্য-আয়ের শ্রেণির পরিত্যাজ্য আয় ও খরচ বাড়ানোর জন্য আর্থিক নীতি ব্যবহার করা।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের প্রারম্ভিক স্তর ২,৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩,৫০,০০০ টাকা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও, আয়করে প্রথম তিনটি স্ল্যাব কমপক্ষে পরের দুই বছরের জন্য যথাক্রমে ৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশে পুনর্গঠন করা যতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
যথাযথ চাহিদা নির্ধারণের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বাজেট বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সুস্পষ্ট কারণে অর্থবছরের ২০২১ সালের জাতীয় বাজেটে অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। মহামারীর বিস্তার ও মাত্র প্রমাণ করেছে স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ব্যতীত কোভিড-১৯ মোকাবেলা করার কোনও উপায় নেই।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D