স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ও কৌশল-দুটিই অস্পষ্ট: বাদশা

প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২০

স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ও কৌশল-দুটিই অস্পষ্ট: বাদশা

ঢাকা, ১২ জুন ২০২০: “প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের নামে বরাদ্দ ও কৌশল দুটিই অস্পষ্ট। এই খাতে গবেষণার জন্য ১০০ কোটি টাকাও অপ্রতুল। এখন যখন কোভিড মোকাবিলায় আরও হাসপাতাল প্রয়োজন, সেখানে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বসিয়ে রেখে এবং বেসরকারি খাতের মুনাফার কাছে ছেড়ে দিয়ে সেটা কি সম্ভব?” বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ১১ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তুলেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে সেগুলো বন্ধ করেছিলো। পরে এই সরকার আবারও তা চালু করে। এই করোনাকালে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর প্রতিটিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা দরকার।
বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প ও কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হলেও, অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবনা এখনও প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ইতোমধ্যেই চলতি বছরের প্রবৃদ্ধির হিসাব ৫.২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু কোভিড আক্রান্ত দেশ ও বিশ্বের অর্থনীতির নীতির পরিস্থিতিতে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কতখানি বাস্তবসম্মত সেটা ভেবে দেখা প্রয়োজন।

বাদশা বলেন, উন্নয়ন বিলম্ব করা যায়, কিন্তু জীবন এক লহমার জন্য থেমে থাকতে পারে না। প্রবৃদ্ধিকে মানুষের জীবনের ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া সঠিক নয়। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও এর ৩৫ ভাগ চলে যায় সরকারি কর্মচারিদের পেনশনে। চলতি বছরে বাজেটে ব্যাংকিংখাত সংস্কার, সার্বজনীন পেনশন স্কিমের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো, এবারের বাজেটে তা অনুপস্থিত। প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ যেখানে ব্যাংকিংখাতের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা হবে, তখন এই ভঙ্গুর ব্যাংকিংখাত টিকিয়ে রেখে সেটা কীভাবে সম্ভব?

তিনি কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে সমবায়ী মালিকানা প্রবর্তনের কথা বলেন। বাদশা বলেন, বাজেটের রাজস্ব আহরণ প্রস্তাবনা নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে এখনও বাজেটে অপ্রত্যক্ষ করই প্রধান যা সাধারণ মানুষকে আঘাত করে।

তিনি সম্পদ ও মুনাফার ওপর করারোপ না করায় বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, এদেশের ধনীদের আর কত ছাড় দেয়া হবে? তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, বাজার অর্থনীতি ও সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ জলাঞ্জলি দেয়া চলবে না।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ