সিলেট ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২০
|| ফজলুল বারী || সিডনি (অস্ট্রেলিয়া), ২৫ জুন ২০২০ : ক্লিওপ্যাট্রার সময়েও মিশরে মহামারীতে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। তখনও যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় রাজা-বাদশারা যুদ্ধ-জৌলুস-যৌন সম্ভোগ নিয়ে যতোটা মনোযোগী ছিলেন প্রজাদের স্বাস্থ্য চিন্তা নিয়ে ছিলেন ততটা উদাসীন।
তখন সেই এলাকায় খ্রিস্টান মৌলবাদীদের দাপট ছিল। তাদের হাতে প্রতিপক্ষের নারী অপহরন-ধর্ষন-হত্যার ঘটনা ছিল নৈমত্তিক বিষয়। এরজন্যে তখন মহামারীতে মৃত্যুর ঘটনাকে বলা হয়েছে দেবতার অভিশাপ।
ঠিক যেমন বাংলাদেশ অঞ্চলে মহামারী এখনও আল্লাহর গজব হিসাবে চিহ্নিত। এবার এই মহামারী সংক্রমনের শুরুর দিকে বাংলাদেশের ওয়াজি ধর্মীয় অনলাইন মৌলভীরা ফতোয়া দিয়েছেন করোনা ভাইরাস ইহুদি-নাসারাদের রোগ।
এই রোগ মুসলমানদের হবেনা। কিন্তু এবারওতো দেখা গেলো মহামারী কোন ধর্ম, আস্তিক-নাস্তিক-ধনী-গরিব মানেনা। আমেরিকা-ব্রাজিলের মতো দেশে বিপুল মৃত্যুর কারন শুরুতে মহামারীকে পাত্তা না দেয়া।
বাংলাদেশ অঞ্চলে এক সময় আমাদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন বৌদ্ধ। সে জন্যে এখানে আবিষ্কৃত হয় ময়নামতি, পাহাড়পুরের মতো বৌদ্ধ যুগের পুরাকীর্তি। পাহাড়পুরে বৌদ্ধদের ধর্মীয় শিক্ষার বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।
পরে এই দেশ তল্লাট হিন্দু রাজ্য হয়। এই রাজ্যের নাম ছিল গৌড়। রাজার নাম ছিল গোবিন্দ। ‘জায়নামাজ বিছাইয়া তুমি দিলায় নদী বাড়ি, সেই না রাজা গৌড় গোবিন্দের দিশা গেলো উড়িরে, দিশা গেলো উড়ি’।
হযরত শাহজালালের (রঃ) হাতে গোবিন্দ রাজার পতন হলে এলাকায় গড়ে ওঠে মুসলিম সম্প্রদায়। গোবিন্দ রাজার বংশধর পাত্র সম্প্রদায় এখনও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে টিকে আছে। তারা এখনও পরিচয় লুকিয়ে থাকে।
পাহাড় থেকে কয়লা নিয়ে ভোরের দিকে সিলেট শহরে এসে বিক্রি করে তারা আবার দিনের আলো উজ্জ্বল হবার আগে পাহাড়ের ডেরায় ফিরে যায়। এখনও তারা মনে করে মুসলমানরা চিনতে পারলে তাদের মেরে ফেলবে!
তখন মুসলমান যুগে এ তল্লাটের সমাজ ছিল আলেম নির্ভর। আলেমরা ফতোয়া যেটা দিতেন, সেটা মেনে চলতো সমাজ। ব্রিটিশরা এখানে এসে মুসলমান শাসক যাদের পায় তাদের শিক্ষা দীক্ষা ছিলোনা।
মদ-নারী নিয়ে তাদের অনেকে ব্যস্ত থাকতো। তাদের কব্জা করে ক্ষমতা দখল করে ব্রিটিশরা। আর ইতিহাস লেখা হলো পলাশীর প্রান্তরে সিরাজউদ্দৌলার পতনের মাধ্যমে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাবের পতন হয়!
তখনও আলেমদের কেউ কেউ ফতোয়া দিলেন ইংরেজি শিক্ষা হারাম। এটি ইহুদি-নাসারাদের শিক্ষা। মুসলমানরা স্কুল-কলেজের শিক্ষা তথা ইংরেজি শিক্ষায় পিছিয়ে পড়লো। হিন্দুরা পড়াশুনা করে জমিদারি সহ নানাকিছু পেতে শুরু করলো।
আর মুসলমানরা হতে থাকলো আব্দুল, গফুর পাঁচক মাঝি এসব চরিত্র। হিন্দু জমিদার, ব্যবসায়ীরা তাদের বাবা-মা বা নিজেদের নামে স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল এসব বানাতে শুরু করে। খ্রিস্টান মিশনারিজরাও বানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-হাসপাতাল।
আর মুসলমানরা সুযোগ পেলেই বানিয়েছে মসজিদ-মাদ্রাসা। বাড়িতে মন্দির প্রভাবশালী হিন্দুরাও বানিয়েছে। কিন্তু মুরারি চাঁদ কলেজ, মদমোহন কলেজ বা নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এসব এ এলাকায় প্রভাবশালী হিন্দুদেরই কীর্তি।
স্যার সৈয়দ আহমদের সময় থেকে মুসলমানরা বিচ্ছিন্নভাবে ইংরেজি শিক্ষা তথা স্কুল-কলেজে পড়াশুনা করতে শুরু করে। কিন্তু ততদিনে হিন্দুরা এগিয়ে গেছে বহুদূর। ভারত ভাগ হয়ে গেলো। মুসলমানদের দেশ পাকিস্তান, হিন্দুদের দেশ ভারত।
কিন্তু পড়াশুনা জানা মুসলমান ভারত থেকে পাকিস্তানে এলো কম। মুসলমান প্রজা এখন শোধ নিতে পারে এই আশংকায় এ তল্লাটের জমিদাররা দেশ ছাড়লো। জমিদার বাড়ি সহ নানাকিছু হয়ে গেল ভুতুড়ে পরিত্যক্ত বাড়ি।
তাদের শহরাঞ্চলের বাড়িঘর দখল করলো প্রভাবশালী মুসলমান। অনেকগুলো শত্রু সম্পত্তি-অর্পিত সম্পত্তি নাম দিয়ে দখল চলতে থাকলো। হিন্দু শিক্ষক-ডাক্তার-প্রকৌশলী, অফিসের দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সিংহভাগ ভারত চলে গেলো।
শূন্য চেয়ারগুলো খালি থাকলোনা। কিন্তু সে চেয়ারে যারা গিয়ে বসলো তাদের বেশিরভাগ তুলনামূলক অযোগ্য ব্যক্তি। তুলনামূলক অযোগ্য রাজনীতিক! তুলনামূলক অযোগ্য আমলা, তুলনামূলক অযোগ্য শিক্ষক!
অযোগ্যদের পাল্লায় নানাকিছু পড়লে যা হয় তাই ঘটতে থাকলো। কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল হয়। আর আমরা চাইলাম কাঁঠাল গাছে আম! এখনও আমরা সেই সব কাঁঠাল গাছের নীচে দাঁড়িয়ে আম চেয়ে দোয়াখায়ের করেই যাচ্ছি!
পাকিস্তানি নতুন শাসকরা ভাষা বদলাও, কালীগঞ্জের নাম ইসলামগঞ্জ বানাও সহ এমন মুসলমানিকরন, রাজ্যনৈতিক ঝগড়াঝাটিতে ব্যস্ত হয়ে গেলো। এরমাঝে তাদের মনে হলো পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানগুলোও লোয়ার ক্লাস মুসলিম!
এরা হিন্দুদের সঙ্গে ওঠবস, পহেলা বৈশাখ, দূর্গাপুজা এসব নিয়ে হেচৈ করে। এদের জব্দ করতে সক্রিয় হলো শাসকচক্র। কিন্তু বারবার খেই হারিয়ে তারা কয়েকদিন মুসলিম লীগ-কয়েকদিন সামরিক শাসনে চলতে থাকলো।
নতুন দেশে স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল এসব সেভাবে হলোনা। যা হলো এর সবই পশ্চিম পাকিস্তানে! পূর্ব পাকিস্তানের চিকিৎসা তখনও বৈদ্য-কবিরাজ-পানি পড়া নির্ভর। কিছু এমবিবিএস ডাক্তার মানে তখন বিলাত ফেরত ডাক্তার।
এদের চেয়ে এলএমএফ ডাক্তার-পল্লী চিকিৎসক সংখ্যায় বেশি ছিলেন। এরা আবার গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে চাউল-তেল-ফসলও মজুরি হিসাবে আনতেন। পেটের পীড়া সহ একশ রোগের চিকিৎসার মাধ্যম ছিল পানি পড়া!
আর ‘বিষ খোয়াই, দাঁতের পোক খোয়াই’ বলে চিৎকার ঘোষনা করতে করতে গ্রাম ঘুরতেন বেদে পল্লীর মেয়েরা। মানসিক রোগীদের জিনে ধরা জ্ঞানে ঝাড়ফুঁক, জন্ডিস রোগীদের চুন মাখিয়ে বাড়িতে গোসল করানো হতো।
গ্রামের-গঞ্জের ফার্মেসিতে গিয়ে শারীরিক সমস্যা বললেই দেয়া হতো টেবলেট-সিরাপ সহ নানা ওষুধ। অধ্যক্ষ মধুর বাবুর সাধনা ঔষধালয়, কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের সারিবদি সালসার যুগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও জনপ্রিয় ছিল।
অনেক বাড়িতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বই, আর্নিকা সহ কিছু ওষুধ মজুদ থাকতো। এসবই ছিল চিকিৎসা ব্যবস্থা। এর বাইরে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলরা চিকিৎসার জন্যে কলকাতা বা লন্ডন যেতেন।
বামপন্থী নেতারা রুশপন্থী হলে মস্কোয়, পিকিংপন্থী হলে তাদের পিকিং তথা আজকের বেইজিং’এ চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হতো। বা কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছতে পারলে সিপিএম নেতারা তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুও চিকিৎসার জন্যে মস্কো গিয়েছিলেন। তখন সিপিবির নেতারাও চিকিৎসার জন্যে মস্কো যেতেন। রুশপন্থীরা পড়াশুনার জন্যেও যেতেন রাশিয়া। চীনপন্থীদের এসব সুযোগ তখনও তুলনামূলক কম ছিল।
চীন বরাবরই একটি ব্যবসা পছন্দ দেশ। ইসলামপন্থীদের চিকিৎসা দিতে সৌদি আরবও বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা গড়ে তোলে। কিং ফাহাদ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার পায়ের চিকিৎসা সৌদি আরবেও হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রভাবশালী ‘রাজকীয় অতিথি’ দাওয়াত জোগাড়ে সমর্থ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উমরাহ হজে গেলে কিং ফাহাদ অথবা আব্দুল আজিজ হাসপাতালে ফ্রি স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করে আসেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশিদের জনপ্রিয় চিকিৎসা গন্তব্য ভারতের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক। এসব গন্তব্যের মেডিকেল ট্যুরিজমও এখন বিশেষ জনপ্রিয় এবং বিশেষ অর্থকরী। এদের অফিস-এজেন্টও আছে ঢাকায়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও চোখের গ্লুকোমা চিকিৎসার জন্যে লাটবহর সহ নিয়মিত লন্ডনে যান। বিলাতে আমেরিকায় সিঙ্গাপুর ব্যাংককে চিকিৎসা করাতে যান দেশের পয়সাওয়ালা রাজনীতিক-আমলা-ব্যবসায়ীসহ সুবিধাভোগীরা।
এমন নানাকিছু বাড়লো শুধু বিদেশ নির্ভর। বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোল বোমা আগুন সন্ত্রাসের কথা বলে শেখ হাসিনা প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইউনিটের মতো নাম বলার মতো সরকারি হাসপাতাল হয়েছে কম। বাংলাদেশ আজ এর শাস্তি পাচ্ছে।
আর নিজস্ব শক্তিশালী চিকিৎসা অবকাঠামো গড়ে তোলায় ভারতে, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককে করোনায় মৃত্যুও কম। বাংলাদেশের যারা নিয়মিত এসব গন্তব্যে চিকিৎসা নিতে যেতেন তারা এই করোনার সময়ে বিপদে পড়ে গেছেন।
কারন আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ। সবাইতো আর বিএনপির মোর্শেদ খান বা আওয়ামী লীগের সোহেল রহমানের মতো সবাই আস্ত উড়োজাহাজ ভাড়া নিয়ে উড়াল দিতে বিলাত যেতে পারেননা।
অনেকের সামর্থ্য থাকলেও চক্ষু লজ্জায় উড়োজাহাজ ভাড়া করতে পারেননা। এই সময়ে মাহবুবুল আলম হানিফের কানাডায় যাওয়াতেইতো সেখানকার বেগমপল্লীতে তার স্ত্রী-সন্তান স্থায়ীভাবে থাকেন এ তথ্য প্রকাশ পেয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ থাকায় দেশে বড়লোকরা অনভ্যস্ত দেশি হাসপাতালে গিয়ে গরিবদের চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার সুযোগকেও অসম্ভব করে তুলেছেন। সরকারি রাজনীতিক মন্ত্রী-এমপিদের চাপে সিএমএইচে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে।
সশস্র বাহিনীর সদস্য-পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা পাচ্ছেনননা। করোনা দুর্যোগে পড়ে সামর্থ্যবানদের বেশিরভাগ এই প্রথম জানলেন স্বাস্থ্যবাজেটে প্রতিবছর যে বাজেট বরাদ্দ হয় তা দিয়ে শুধুমাত্র জনপ্রতি প্যারাসিটামল কেনা সম্ভব।
সেই প্যারাসিটামলও কেনা হয়না। বরাদ্দকৃত অর্থের মচ্ছব-চুরি-ডাকাতি হয়। ফেরাউনের সময়ও ফারাও রাজারা মৃত্যের পরের জীবন নিয়ে ভাবতেন বেশি। এই সময়েও সেই চিন্তার পর্যায়ে রয়ে গেছেন বাংলাদেশের প্রভাবশালীরা!
হাসপাতাল নির্মানের চাইতে তারা মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মানে মনোযোগী। কারন তাদের শেখানো পড়ানো হয়েছে শুধু মসজিদ-মাদ্রাসা বানালেই বেহেস্তে যাওয়া যায়! কিন্তু এখন তারা এমনভাবে মরে যাচ্ছেন জানতেই পারলেননা বেহেস্ত কতদূর!
এখন বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জেও এমন সব জৌলুসময় মসজিদ বানানো হয়েছে যার নির্মান ব্যয় দিয়ে একটি হাসপাতাল বানানো যেতো। কিন্তু মানুষের সেবার মাধ্যমেও যে পূণ্য অর্জন সম্ভব এমন জানা বা বিশ্বাসীর সংখ্যা কম।
বাংলাদেশের জনসংখ্যায় খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা খুবই নগন্য। কিন্তু গ্রামগঞ্জে এই নগন্য সংখ্যক খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পরিচালিত স্কুল-হাসপাতাল পরিচালনার যে অংশগ্রহন আছে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের নেই।
এই মহামারীতে সবাই জীবন দিয়ে তারা টের পাচ্ছেন মসজিদ তাদের জীবনরক্ষা করেনা। অথচ এই অর্থে তারা যদি হাসপাতাল বানাতেন তাহলে জীবন বাঁচতো, এরপর মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে বেহেস্তের যাবার পথ করা যেতো।
এই করোনা মহামারীর কারনে শেখ হাসিনার সরকার স্বাথ্যখাতে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, হাসপাতালের সামর্থ্য বাড়ানো সহ নানাক্ষেত্রে গত ছয়মাসে যা কিছু করেছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও হয়নি।
এই অবদানের জন্যেও শেখ হাসিনা স্মরনীয় হয়ে থাকবেন। মানুষের বিপুল মৃত্যুর বিনিময়ে এই উপলদ্ধি যাতে থেমে না যায়। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে কিভাবে তৃণমূলের মানুষের প্রয়োজনে কাজে লাগানো যায় তা ভাববার এখনই সময়।
গণস্বাস্থ্য বা ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের মতো কম টাকায় চিকিৎসার হাসপাতাল বাংলাদেশকে কমপক্ষে এক হাজার বানাতে হবে। এমন সহস্র হাসপাতাল তৈরির মতো সামর্থ্যবান ব্যক্তি বাংলাদেশেই আছেন।
এমন বেশি বেশি হাসপাতাল বানালে মানুষ চিকিৎসার জন্যে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে ছুটবেনা। অতএব আপাতত নতুন মসজিদ-মন্দির সহ সব ধরনের নতুন নির্মান বন্ধ রেখে হলেও বেশি বেশি হাসপাতাল বানান।
মসজিদ-মন্দির, বন্ধ স্কুল-কলেজে আইসোলেশন সেন্টার বানিয়ে করোনা আক্রান্ত মানুষদের বাঁচান। প্লিজ। মানুষ বাঁচলে মসজিদ-মন্দিরে বেশি বেশি যেতে পারবেন। মানুষ না বাঁচলে এসব খোদা আর ভগবানের ঘর দেখিয়ে কী হবে!
এই মহামারীতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা, সেবা সহায়তা, মৃতের লাশ দাফনে দেশ মহামানবদের দেখছে। এরা তথাকথিত চিহ্নিত নেতা নয়, কোন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নয়। প্রমান হয়েছে মহামানব হতে নেতা বা দরবেশ হওয়া লাগেনা।
নিজের জীবন নিরাপত্তাকে তুচ্ছজ্ঞান করে মানুষের বিপদে যে পাশে দাঁড়ায় তারাইতো মহামানব। এরাই বাংলাদেশ।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D