২৫ হাজার শ্রমিকের সাথে ৬০ লাখ পাটচাষীকেও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হলো: জাতীয় কৃষক সমিতি

প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২০

২৫ হাজার শ্রমিকের সাথে ৬০ লাখ পাটচাষীকেও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হলো: জাতীয় কৃষক সমিতি

ঢাকা, ০৫ জুলাই ২০২০: “পাট ও পাটশিল্প বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আজ যে জায়গায় তার পেছনে পাটের অবদান সবচেয়ে বেশি। পাটশিল্পের সাথে শ্রমিক ও কৃষক ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। পাটকল বন্ধের মধ্য দিয়ে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিককে যেমন বেকার করা হলো তেমনি ৬০ লাখ পাটচাষীকেও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হলো।” জাতীয় কৃষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পাটকল চালু অবস্থায় কৃষক পাটের মূল্য মনপ্রতি ২ হাজার টাকার উপরে পেয়েছে কিন্তু এখন পাটকারবারীরা ইচ্ছে মতন পাটের দাম নির্ধারণ করবেন। কৃষক চরম ভাবে বঞ্চিত হবে পাটের সঠিক মূল্য থেকে। কৃষক যাতে পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে না ফেলে ও সোনালী আশঁ তার সোনালী দিন ফিরে পায় সরকারের সেই আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন পাটকলের আধুনিকায়ন করার মধ্য দিয়ে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহালের মাধ্যমে। সরকারকে মনে রাখতে হবে পাট ও পাটশিল্প বাঁচলে, শ্রমিক ও কৃষক বাঁচবে, বাংলাদেশ বাঁচবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ