সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০
চট্টগ্রাম, ১২ জুলাই ২০২০: চট্টগ্রাম কাস্টমসে এবার বড় নিলামের আয়োজন করা হলেও তাতে গাড়ি ছিল মাত্র চারটি। নিলাম শেষে এ চারটি গাড়ির দাম উঠেছে মাত্র ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৫০ টাকা।
এর মধ্যে সবচেয়ে দামি গাড়িটি মার্সিডিজ বেঞ্জ। তবে ২০০৬ মডেলের এই গাড়িটির চাবি হারিয়ে গেছে কাস্টমস থেকে। নিলামে এটির দর উঠেছে মাত্র ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ টাকা। এটি পেয়েছেন ঢাকা উত্তরা ৭ নং সেক্টরের মোহতাসেম মুনির চৌধুরী।
shopping bag home delivery
চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, নিলামে মার্সিডিজ বেঞ্জ ছাড়াও ছিল আরও তিনটি গাড়ি— এর মধ্যে একটি জাপানি টয়োটা ভ্যানগার্ড, একটি টয়োটা হ্যারিয়ার। এ দুটি গাড়ি এক লটে বিক্রি হয়েছে ৩০ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। এটি পেয়েছেন চট্টগ্রামের চকবাজার জয়নগরের এসএম ইউসুফ।
অন্যদিকে চতুর্থ নম্বর গাড়ি ২০১৪ মডেলের অ্যাকোয়া হাইব্রিড কার বিক্রি হয়েছে ১০ লাখ ২৭ হাজার টাকায়। এটি পেয়েছে আগ্রাবাদের মেসার্স এসই এন্টারপ্রাইজ।
গত ৩০ জুন কাস্টমসের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৫ জুলাই সর্বোচ্চ দরপত্র প্রদানকারীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
নিলামে ওঠা চারটি গাড়ির মধ্যে ফোর হুইলার ৬ সিলিন্ডারবিশিষ্ট মার্সিডিজ বেঞ্জ কারটির ওজন প্রায় ৫ টন। এর নিলাম ক্যাটালগ সিরিয়াল নম্বর ২৭ এবং লট নম্বর ওবিপিসি ২/২০১/১০। গাড়িটি বন্দরের ওয়াই শেডে রাখা আছে বর্তমানে। এটি ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়েছিল। গাড়িটির চাবি নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে নিলামের বিবরণীতে। কিন্তু এটি দামি গাড়ি হলেও নামমাত্র মূল্যের দরদাতাকেই গাড়িটি দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে ২০১৪ মডেলের অ্যাকোয়া হাইব্রিড কারটি জাপানের তৈরি। চার সিলিন্ডারের গাড়িটি কালো রঙের। DAA-NHP10-AHXNB মডেলের গাড়িটি বর্তমানে রাখা আছে বন্দরের পি শেডে। টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি গাড়িটি ২০১৯ সালে বন্দরে আসে। এর সিসি ১৪৯৬ এমএল। সিরিয়াল নম্বর ৯৯ এবং লট নম্বর ওবিপি -১/২৮৭/১৯।
জাপানি টয়োটা ভ্যানগার্ড জিপ এবং টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি দুটির নিলাম হয় এক লটে। এর একটি DBA-ACA33W মডেলের জিপ, অপরটি মিনি ট্রাক। দুটি গাড়িই বর্তমানে রাখা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়াই শেডে। ২০১৯ সালে বন্দরে আনা হয় গাড়ি দুটি। এগুলোর ক্যাটালগ নম্বর ১৩২ এবং লট নম্বর ওবিপিসি-১/৭৬/২০২০।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদ আল মামুন বলেন, ‘সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মানে পণ্য খালাস নিয়ে যাবে তা নয়। স্ব স্ব গ্রুপ থেকে পণ্য ছাড় নেওয়ার আগেই তদন্ত করে দেখবে বাজারমূল্যের ৬০ শতাংশ সর্বনিম্ন দর পড়েছে কিনা। এর কম হলে খালাস হবে না কাস্টমস হাউস থেকে।’
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D