সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২০
ঢাকা, ২৪ জুলাই ২০২০: চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে স্থল সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত সরকার।
তবে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ঋণ সযোগিতা বা উন্নয়ন সহযোগিতার আওতায় থাকা প্রতিবেশীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে কার্যত চীন ও পাকিস্তান ছাড়া ভারতসীমান্তবর্তী অন্য কোনো দেশ নতুন এই বিধিনিষেধের মুখে পড়বে না।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরাসরি চীনের নাম উল্লেখ করে বাধা তৈরি করলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আপত্তি তৈরি হতে পারে। তাই কৌশলে সীমান্তবর্তী দেশের কথা বলে কার্যত চীন ও পাকিস্তানকে যে নিশানা করা হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
নতুন এই বিধিনিষেধের ফলে পণ্য বা পরিষেবা ক্রয়ের দরপত্র প্রক্রিয়ায় চীনা কোম্পানিগুলির অংশ নেওয়ার পথ কার্যত বন্ধ করে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বৃহস্পতিবার দেশটির এক সরকারি আদেশে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত আছে এমন কোনো দেশের ঠিকাদাররা যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পূর্ব-নিবন্ধন ছাড়া সরকারি পণ্য ও সেবার কার্যাদেশের জন্য ডাকা নিলামে অংশ নিতে পারবে না। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক।
‘জাতীয় নিরাপত্তার কারণ’ দেখিয়ে দেশটির সাধারণ আর্থিক বিধিমালা, ২০১৭ সংশোধন করে জারি করা এই আদেশে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও চীনকে লক্ষ্য করেই সরকার পদক্ষেপটি নিয়েছে ভারতের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে।
অন্যদিকে ছাড়ের ক্ষেত্রে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তাতে ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল ও মায়ানমারের ক্ষেত্রেও পূর্ব নিবন্ধন লাগবে না।
পৃথক আদেশে ভারত সরকার বলেছে, যে সব দেশের সঙ্গে ভারতের ঋণচুক্তি (এলওসি) চলমান অথবা যেসব দেশ ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা পায় সেসব সীমান্তবর্তী দেশের ঠিকাদাররা নতুন বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে।
ভারত সরকারের এক প্রেসনোটে বলা হয়, সব নতুন নিলামের ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। যে সব নিলাম ইতোমধ্যে আহ্বান করা হয়েছে কিন্তু প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের ধাপ পার হয়নি- সেগুলো অযোগ্য ঘোষিত হবে।
আর যেগুলো প্রাথমিক বাছাই হয়েছে সেগুলো সাধারণভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে এবং নতুন করে আবার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে বেসরকারি কার্যাদেশের নিলাম এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বে না।
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের অংশ হিসেবে এর আগে বেশ কিছু চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার, যেখানে ২০১৯ সালে চীন ভারত থেকে ৭ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। অর্থাৎ উল্টোদিকে চীন ভারত থেকে আমদানি করেছে মাত্র ২ হাজার কোটির ডলারের পণ্য।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D