সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০
ঢাকা, ১২ অক্টোবর ২০২০: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের এই খসড়াটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এটি এখন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি তার রাজধানীর গুলশানের বাসায় আজ এক ব্রিফিং-এ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ সংশোধন। বিদ্যমান এই আইনের ৯(১) উপধারায় যেখানে ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ছিল, সেখানে উপধারা (৪)-এর দফা (ক)-এর ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের পরিবর্তে ‘মৃত্যুদন্ড’ শব্দ সংযোজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংশোধনের পর ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ড ।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন। সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এখন ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি ধারা ৯ (১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।
ব্যাখ্যা- যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ষোল (১৬) বৎসরের অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া, অথবা ষোল (১৬) বৎসরের কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
ধারা ৯ (৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-
(ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন;
(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ (১০) বৎসর কিন্তু অন্যুন পাঁচ (৫) বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।
আইনমনন্ত্রী আজ বলেন, বিদ্যামন এই সংশোধনে আইনে ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ড করতে খসড়াটির চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভায় দেয়া হয়েছে।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ায় স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান বলেন, “এসিড নিক্ষেপজনিত সময়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে তদ্বিষয়ক আইনের পরিবর্তন ওই অপরাধ কমাতে সাহায্য করেছে ঠিকই, তবে সে ক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা রেখেছে সামাজিক প্রতিরোধ। ধর্ষণের ক্ষেত্রে এই সামাজিক প্রতিরোধের উপরেই বিশেষ গুরুত্বআরোপ করছি এবং এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থা, পাঠ্যসূচি, চলাফেরা ও কার্য্যক্ষেত্রে নারীকে সম্মান করা ও তার অধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়টি সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কাজের মধ্যে সামনে আনতে হবে।”
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D