হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুতে জনলোকের গভীর শোক

প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২০

হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুতে জনলোকের গভীর শোক

বিশেষ প্রতিনিধি || ঢাকা, ৩০ অক্টোবর ২০২০ : ঐতিহাসিক ১১ দফার অন্যতম রচয়িতা ঊনসত্তরের গণঅভূত্থানের সংগঠক এবং কমিউনিস্টবিপ্লবীদের সমন্বয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সামাজিক সংগঠন জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সাবেক ছাত্র নেতা রফিকুল ইসলাম সুজন।

এক শোক বিবৃতিতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুতে দেশবাসী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা ও প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার এক সাহসী যোদ্ধাকে হারালেন।

সেই সাথে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন হারালো এক নিবেদিত প্রাণ সংগঠককে। তিনি নেই, কিন্তু তার জীবন, কর্ম ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে জনলোক সামনের লড়াইয়ে এগিয়ে যাবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির শোক

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং শিবপুরেরর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। রাজনীতি পরবর্তীকালে তিনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন এবং সৃজনের সভাপতি ছিলেন। তিনি টিভি চ্যানেল বাংলা ভিশনের সাথেও যুক্ত ছিলেন।

সৈয়দ অামিরুজ্জামানের শোক

বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং শিবপুরেরর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অারও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক তাপস কুমার ঘোষ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি দেওয়ান মাসুকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন এবং শ্রীমঙ্গল পৌর শাখার সভাপতি শেখ জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক রোহেল অাহমদ।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ১১ দফার অন্যতম রচয়িতা উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ও কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের সমন্বয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শিবপুরের কমান্ডার হায়দার আনোয়ার খান জুনো ২৯ অক্টোবর দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)।
তিনি দীর্ঘদিন কিডনি রোগে ভুগছিলেন এবং নিমুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে স্কয়ার হাসপাতালে আইসিউতে ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি ১ কন্যা, ১ পুত্র ও ৩ নাতী রেখে গেছেন। তার বড় ভাই প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো। তার পিতা পিডব্লিউডি’র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মরহুম হাতেম আলী খান।
ছাত্র হিসেবে মেধাবী জনাব হায়দার আনোয়ার খান জুনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স ও এমএ করেন। তিনি বাংলায় পদার্থ বিজ্ঞানের ওপরে বই ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ও উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ওপর শিবপুরের রনাঙ্গণ, উনসত্তরের দিনগুলি এছাড়াও ১টি উপন্যাস লিখে গেছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ