মণিপুরী (মৈতৈ) সম্প্রদায়ের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র শিক্ষক ও আদর্শবান ব্যাংকার নীলচাঁদ সিংহ

প্রকাশিত: ৩:০৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২০

মণিপুরী (মৈতৈ) সম্প্রদায়ের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র শিক্ষক ও আদর্শবান ব্যাংকার নীলচাঁদ সিংহ

|| মোঃ খুরশেদ আলী || কমলগঞ্জ, ১৬ নভেম্বর ২০২০ : মণিপুরী (মৈতৈ) সম্প্রদায়ের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র শিক্ষক, আদর্শবান ব্যাংকার নীলচাঁদ সিংহ এবং গর্বিত পিতা। পিতাঃ মৃত তলেন সিংহ। মাতাঃ মৃত রাধারানী দেবী। স্ত্রীঃ অলি দেবী।

সন্তানঃ
১। টিএইচ নিমা : বিএসএস( অনার্স), এমএসএস (অর্থনীতি) সিলেট এমসি কলেজ, এমবিএ (মার্কেটিং) লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট, এমবিএ ( মালয়েশিয়া)। কর্মকর্তা, ব্রাক ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা। ও অধিনায়ক, ১ম সিলেট মহিলা ক্রিকেট টিম ও সংগঠক।

২। টিএইচ অসিতা : বিএসএস (অনার্স) এমএসএস (এনথ্রপোলোজি) শাস্ট, সিলেট।
কর্মকর্তা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিলেট।

৩। ডাঃ টিএইচ নিশিতা : বিসিএস (স্বাস্হ্য), মেডিকেল অফিসার, কমলগনজ হাসপাতাল, মৌলাভীবাজার।

৪। থৌদাম লৈবী : বিএ (অনার্স) এমএ ( ইংলিশ), লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট।
শিক্ষক, সিলেট স্কলার্স হোম, সিলেট।

ভাইঃ
নীলমণি সিংহ : প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সচিবালয়, ঢাকা।

জন্মঃ ১/৬/১৯৫৭ ইং।
সাগৈঃ থৌদাম।

স্হায়ী ঠিকানাঃ
গ্রামঃ হক্তিয়ার খোলা, ডাক- আদমপুর, উপজেলাঃ কমলগনজ, জেলাঃ মৌলভীবাজার।

বর্তমান ঠিকানাঃ
৩৪/কলকাকলী, লালাদিঘীর পূর্বপাড়, সিলেট।

শিক্ষাজীবনঃ

প্রাথমিকঃ
তিনি ১৯৬৫ সালে হক্তিয়ার খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৪র্থ শ্রেণি পাশ করেন এবং ১৯৬৬ সালে আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আদমপুর ৫ম শ্রেণি কেন্দ্র পরীক্ষায় ১ম স্হান অর্জন করে উত্তীর্ণ হন।

মাধ্যমিকঃ
তিনি ১৯৭২ সালে এম এ ওহাব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ১ম বিভাগে পাশ করেন।
# উচ্চ মাধ্যমিক ঃ তিনি ১৯৭৪ সালে সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

স্নাতকঃ
১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাত্র ৯ জন ২য় বিভাগে স্নাতক পাশ করে ছিলেন তার মধ্যে তিনি একজন।

স্নাতকোত্তর:
তিনি স্নাতকোত্তর (এমএসএস) পলিটিকেল সাইন্সে ১ম বিভাগে পাশ করেন।

ব্যাংকিং ডিপ্লোমা:
তিনি ডিপার্টমেন্টাল ব্যাংকিং ডিপ্লোমা অত্যন্ত সুনামের সাথে পাশ করেন।

কর্মজীবন:
তিনি প্রায় ১ বছর দয়াময় সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়, তিলকপুরে শিক্ষকতা করেন।

তিনি তেতইগাঁও রসিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, আদমপুর বাজার, কমলগন্জ, মৌলাভীবাজারে প্রায় ২ বছর শিক্ষকতা করেন।

অতপর বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে BRC কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৩ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে রাস্ত্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংক,সিলেট অাঞ্চলিক কার্যালয়ে যোগদান করেন।

মাঠপর্যায়ে ব্যবস্হাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেনঃ
১।অগ্রণী ব্যাংক ছাতক শাখা, সুনামগঞ্জ।
২।মাধবপুর শাখা, কমলগনজ।
৩। নবীগন্জ শাখা, হবিগন্জ।
৪।কুলাউড়া শাখা, মৌলভীবাজার।
৫। শ্রীমংগল শাখা, মৌলভীবাজার।
৬। হবিগন্জ প্রধান শাখা, হবিগন্জ।
৭। সিলেট স্টেশন রোড শাখা, সিলেট।
৮। অগ্রণী ব্যাংক কুমিল্লা প্রধান শাখা সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২৬ বছর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
৯। সিলেট অগ্রণী ব্যাংক অাঞ্চলিক কার্যালয় (পশ্চিম) – এ আঞ্চলিক প্রধানের গুরু দ্বায়িত্ব পালন করেন।
১০। সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
১১। তিনি সিলেট অঞ্চলে অগ্রণী ব্যাংক ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের ১ম প্রধান সমন্নয়ক হিসেবে প্রায় ২ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

অতপর, তিনি ১লা জুন ২০১৭ তারিখে সোনালী কর্মজীবন থেকে “সহকারি মহাব্যবস্থাপক” হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

সাংগঠনিক :

১। তিনি সিলেটস্হ মৌলভীবাজার মণিপুরী সমিতির প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে অদ্যাবধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

২। মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স, তেতইগাঁও, আদমপুর বাজারের একজন সক্রিয় সদস্য।

এ ছাড়াও মণিপুরী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনু্ষ্ঠানে বৈদেশিক ডেলিগেইটদের সমন্বয়ক ইংরেজী দুভাষির দায়িত্ব পালন করছেন।
একজন আদর্শ শিক্ষক, গর্বিত পিতা, সর্বোপরি জনপ্রিয় কর্মকর্তা, মণিপুরী সমাজে এক বিরল দৃষ্টান্তের নাম নীলচাঁদ সিংহ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ