নিবেদিতপ্রাণ প্রকৌশলী পীরজাদা সৈয়দ গোলাম মুরসালিন

প্রকাশিত: ৩:০৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২০

নিবেদিতপ্রাণ প্রকৌশলী পীরজাদা সৈয়দ গোলাম মুরসালিন

এম শহীদুল ইসলাম || ঢাকা, ১৭ নভেম্বর ২০২০ : মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ প্রকৌশলী পীরজাদা সৈয়দ গোলাম মুরসালিন।

ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম মানবতার ধর্ম, ইসলাম উগ্রবাদ সন্ত্রাসবাদকে কখনো পশ্রয় দেয় না। এবং এ ধর্মের মানুষ মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ বিশ্বাস করে না। ইসলাম পরমত সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয়। ইসলাম সাম্য ও ভ্রতৃত্ববোধের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখে চলেছে। বৃহত্তম ভারত উপমহাদেশে সফলতম ইসলাম প্রচারক হযরত খাজা গরীব নাওয়াজ মঈনুদ্দীন চিশতী রহ. মানবতার আদর্শ প্রচার ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এভূখণ্ডে কোটি কোটি মানুষকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় দান করেছেন।
এই ঐতিহাসিক সিলসিলার অপার দায়িত্ব শরীয়তপুর জেলাধীন নড়িয়া উপজেলার পন্ডিতসার গ্রামে অবস্হিত চিশতীনগরের খানকায়ে চিশতীয়া যুগযুগ ধরে পালন করে যাচ্ছে।
চিশতীয়া তরিকায় ধর্মীয় কর্মমুখীতার সহযোগী হিসেবে মানব সেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। “সৃষ্টির সেবা ব্যাতিত শুধুমাত্র নামাজের বিছানায় বসে তসবিহ গুনলে আল্লাহর ইবাদত হবে না”। বলেছেন- জগদ্বিখ্যাত চিশতী সাধক ও ফার্সি কবি হযরত শেখ সাদী রহঃ।
হযরত খাজা গরীবনাওয়ায মঈনুদ্দীন চিশতী(রহ.) সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও মানব সেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এ আদর্শের অনুসরণে চিশতীনগর খানকায়ে চিশতীয়া তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান চিশতীনগর জনকল্যাণ প্রকল্পের মাধ্যমে স্হানীয় সকল ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষের জন্য সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চিশতীনগর খানকায়ে চিশতীয়ার প্রতিষ্ঠাতা মহান অলিআল্লাহ হযরত কোতবুল আলম শাহ সুফি সৈয়দ গোলাম মাওলা হোসায়নী চিশতী (রহ.) ১৯৮৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী ইন্তেকাল করেন এবং এই চিশতীনগরেই সমাহিত হন। সেদিন থেকেই তার তৃতীয় পুত্র বুয়েট থেকে পাশ করা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ গোলাম মুরসালিন শহরের জীবন পরিত্যাগ করে এই প্রত্যন্ত গ্রামে স্হায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। এবং ১৯৮৬ সাল থেকেই মূলতঃ চিশতীনগর জনকল্যাণ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়।
আমার পরম শ্রদ্ধেয় ও বৃহত্তম ফরিদুরের সর্বজনশ্রদ্ধেয় অভিভাবক শিক্ষাব্রতি, সমাজ সংস্কারক, উদার জনগণতান্ত্রিক ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অপরিসিম জ্ঞান সাধক সৈয়দ গোলাম মুরসালিন আজ আমাদের নিউজ লেটার পত্রিকা অফিসে তশরিফ আনেন। এরপর গণমানুষের জন্য চিশতীনগর খানকায়ে চিশতীয়ার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিষয়ে সারগর্ভ আলোচনা হয়। তার জ্ঞানের আলোর স্পর্শে কিছু সময় কাটাতে পেড়ে আমি খুবই মুগ্ধ ও কৃতজ্ঞ। আমি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ