সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট ঘোচাতে আজীবন সংগ্রাম করেছেন কমরেড বরুণ রায়

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২০

সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট ঘোচাতে আজীবন সংগ্রাম করেছেন কমরেড বরুণ রায়

সৈয়দ অামিরুজ্জামান || ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ : যে কয়েকজন কমিউনিস্ট মানবতাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ভাটিবাংলার সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট ঘোচাতে তাদের পাশে থেকে, তাদের একজন সাথী হয়ে লড়াই সংগ্রাম ও সংগঠন গড়ে তোলাসহ বিপ্লবী জীবন কাটিয়েছেন, তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও দাবি আদায়ে নিজেকে সার্বক্ষনিক সম্পৃক্ত করেছেন, আজীবন তাদের জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভাটি বাংলার কৃষকবন্ধু কমিউনিস্ট বামপন্থী বিপ্লবী জননেতা কমরেড প্রসুন কান্তি রায় ওরফে বরুণ রায়। সবাই তাঁকে কমরেড বরুণ রায় বলেই চিনতেন তবে সবার কাছে তিনি তাদের প্রিয় বরুণ দা বলেই পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন ভাটি বাংলা তথা এদেশের একজন সাম্যবাদী আদর্শে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত বামপন্থী কিংবদন্তি কমিউনিস্ট নেতা এবং আমৃত্যু তিনি এই আদর্শকেই লালন করে গেছেন। তিনি ছিলেন এদেশের ত্যাগী রাজনীতির এক অনন্য উদাহরণ।

আজীবন ত্যাগী ও বিপ্লবী এই মহান নেতা কমরেড বরুণ রায় ১৯২২ সালের ১০ নভেম্বর বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী গ্রামের এক স্বনামধন্য জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম করুণাসিন্ধু রায় এবং মাতার নাম সুভাষিনী রায়। বাবা করুণাসিন্ধু রায় একজন জমিদার পরিবারের সন্তান হলেও প্রজাদের স্বার্থে ছিলেন সদা সোচ্চার ও আপসহীন। তাই তাঁকে বলা হত ‘প্রজা বন্ধু করুণাসিন্ধু’। কমরেড বরুণ রায়ের পিতামহ ছিলেন রায় বাহাদুর কৈলাশ চন্দ্র রায়। যিনি ছিলেন তৎকালীন বিহার রাজ্য শিক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি।

কমরেড বরুণ রায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার কাছাকাছি বর্তমান কুমিল্লা জেলার মোগরা হাইস্কুল থেকে ১৯৪২ সালে প্রবেশিকা পাশ করে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে আইএ ভর্তি হন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক কারণে তার লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটায় ঐ কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে আইএ পাশ করেন এবং একই বৎসর এমসি কলেজে বি.এ ক্লাসে ভর্তি হন।

বরুণ রায় ছাত্র জীবন থেকেই তাঁর বাবার মত ছিলেন মার্কসীয় চিন্তা ধারায় বিশ্বাসী এবং আমৃত্যু এই ধারা ও আদর্শকেই লালন করেছেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্র ফেডারেশন এর একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে মাত্র ২০ বৎসর বয়সে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ণ সদস্য পদ লাভ করেন।

১৯৪৩ সাল। তখন তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র। ঐ সময় তিনি লালা শরবিন্দু দে, রবি দাস, চিত্তরঞ্জন দাস, দীনেশ চৌধুরী প্রমুখ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে আন্দোলন সংগ্রামে কাজ করেন। ঐ সময়ে সিলেট সহ সারাদেশব্যাপী দুর্ভিক্ষ সহকারে মহামারী দেখা দিলে দুর্গতদের সাহায্য ও সেবা করার জন্য তিনি এগিয়ে আসেন। এই সময় তিনি কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলার গঠিত স্কোয়াডের ও গণনাট্য সংঘের গানের স্কোয়াডের সদস্য হয়ে দুর্গত এলাকা বানিয়াচং চলে যান। সেখানে তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাস, খ্যাতনামা লোকসংগীত শিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরী, সন্ধ্যা লাহিড়ী, প্রখ্যাত চিত্র শিল্পী খালেদ চৌধুরী, গোপাল নন্দী, হেনা দাস প্রমুখদের সাথে থেকে গান শিখেন এবং পরিবেশন করেন। ঐ সকল শিল্পীদের সাথে থেকে তিনি, ‘বিচারপতি তোমার বিচার’, ‘বাঁধ ভেঙ্গে দাও’, ‘জাগো অনশন বন্দী ওঠারে যত’ ইত্যাদি তৎকালীন বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গান গ্রামে-গঞ্জে পরিবেশন করে মানুষকে সাহসী ও প্রতিবাদী করে তোলেন।

কমরেড বরুণ রায় ১৯৪৮ সালে সিলেট জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বৎসরে স্বাধীনতা দিবস পালন করার সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৪৯ সালে বি.এ টেস্ট পরীক্ষা দিবার সময় তিনি তৎকালীন সময়ের ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং আন্দোলনরত অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ গ্রহণ করেন এবং শহরে মিছিল, মিটিং ও অনশনে নেতৃত্ব দেন। তৎকালীন গোবিন্দপার্ক (বর্তমানে হাসান মার্কেট) এলাকায় অনুষ্ঠিত এক জনসভা থেকে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে প্রায় ৫ বৎসর কারাবরণ করে ১৯৫৬ সালের দিকে মুক্তি লাভ করেন। কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর তার গ্রামের বাড়িতেও তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নজরবন্দী অবস্থায় দিন কাটান। এভাবে কারাগার হয়ে গিয়েছিল তাঁর নিত্যদিনের আবাসস্থল। ঢাকা সেন্ট্রাল কারাগারে থাকা অবস্থায় আব্দুল হামিদ, ঢাকার ইয়ার মোহাম্মদ, ফেনীর খাজা আহমদ, নোয়াখালীর মোহাম্মদ তোয়াহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দেওয়ান মাহবুব আলী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে তাঁর সান্নিধ্য গড়ে উঠেছিল।

তৎকালীন সরকারের জেল জুলুম ও হুলিয়া একসময়ে হয়ে উঠেছিল তাঁর নিত্যদিনের সাথী। জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি এগুলো ভোগ করেছেন এবং মাথায় নিয়ে চলাফেরা করেছেন। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর পিতার মৃত্যু হলে তিনি শেষবারের মত পিতার মুখ দর্শন করতে পারেন নাই এবং সন্তান হিসেবে পিতার মুখাগ্নিও করতে পারেন নাই। অবশ্য জেল, জুলুম ও হুলিয়া মাথায় নিয়ে মাতার মৃত্যুর সময়ে সাহস করে গোপনে বাড়িতে এসেছিলেন এবং মায়ের মৃত্যু ও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগদান করে আবারও আত্মগোপনে গিয়েছিলেন।

১৯৫৪ সাল। দেশে অনুষ্ঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন। কমরেড বরুণ রায় তখন নজরবন্দী থাকা অবস্থায় কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জের একটি আসনে ঐ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ঐ সময় নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি আবারও গ্রেপ্তার হন এবং জেলে বন্দী অবস্থাতেই ২৭ হাজার ভোটে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। অবশ্য পরে দেশে ৯২ (ক) ধারা জারি হলে আইন সভা ভেঙ্গে যায় এবং তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন।

১৯৫৮ সালে আয়ুব খান পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করলে কমরেড বরুণ রায় আবারও গ্রেপ্তার হন। এই সময় ঢাকা জেলে প্রায় ৫ বৎসর কারাবরণের পর ১৯৬৩ সালে আবারও মুক্তিলাভ করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ভাসান পানি আন্দোলন, পান্ডার খাল আন্দোলন ও ইজারাদারদের বিরুদ্ধে কৃষক ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় করতে গিয়েও জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তোলেন।

১৯৬৬ সালে কমরেড বরুণ রায় জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে পার্টি দ্বিধাবিভক্ত হলে বরুণ রায় তখন জেলার সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। ঐ সময় তিনি কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদও লাভ করেন। তাছাড়া তিনি বহুদিন যাবৎ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।

১৯৬৮-৬৯ সাল। দেশ জুড়ে চলছিল তখন আয়ুব বিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান। এই সময় কমরেড বরুণ রায় আত্মগোপনে ছিলেন বিধায় প্রকাশ্য রাজপথে মিছিল মিটিং ও আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন নাই। তারপরও তিনি জননেতা পীর হবিবুর রহমানের দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে, গোলাপগঞ্জের রফিপুর, রনকেলী, ভারতের কলকাতা, আগরতলায়, শিলচর, করিমগঞ্জ, বালাট, শিলংসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে সমাবেশ করে আয়ুব বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেছেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। এই সময় তিনি ন্যাপ-কমিউনিস্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে গঠিত গেরিলা বাহিনীর সাথে কাজ করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন।

স্বাধীনতা উত্তর মুক্ত বাংলাদেশ ও ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনকালে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়েও কারাবরণ করেছেন। পরবর্তীতে এরশাদ সরকারের শাসন আমলে ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৮ দলীয় জোটের শরীক হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৮৬ সালের নির্বাচনের পর আবারও বিভিন্ন ইস্যুতে এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে বরুণ রায় ঐ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং আন্দোলনরত অবস্থায় ১৯৮৭ সালে বন্দী হয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৯০ এর দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন এবং ঐ সময়ে সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড, মিছিল-মিটিং ইত্যাদি হতে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে নিজ থানায় অনেকটা অবসর জীবনযাপন করতে শুরু করেন। অবসরে গিয়ে ঘরে বসেও তিনি দেশের কথা ভাবতেন, সাধারণ মানুষের কথা ভাবতেন, তাদের ন্যায় সংগত দাবী দাওয়া ও অধিকারের কথা নিয়ে ভাবতেন। অর্থাৎ রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা নিয়ে তিনি তখনও সক্রিয় থাকতেন। দেশের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে, রাজনৈতিক সংকটাপন্ন মুহূর্তে বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ সামাজিক নেতৃবৃন্দ তাদের প্রিয় বরুণদার বাসায় গিয়ে হাজির হতেন এবং তাকে সবকিছু অবহিত করে তার মূল্যবান পরামর্শ গ্রহণ করতেন। দেশে কোন অগণতান্ত্রিক বা নির্যাতনমূলক কর্মকান্ড ঘটলে তিনি তার তীব্র প্রতিবাদ করতেন, ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়েও তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠতেন, পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে তার জোড়ালো প্রতিবাদ করতেন।

১৯৯৯ সাল। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের নামকরণকে কেন্দ্র করে সিলেট তখন আন্দোলনে উত্তাল। ঐ সময় ২৬ মার্চ সিলেট আসেন দেশবরেণ্য কথা সাহিত্যিক ডক্টর হুমায়ুন আহমদ ও তাঁর পরিবার। ঐ দিন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দিনব্যাপী অবস্থান করে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। তখন বিপ্লবী জননেতা কমরেড বরুণ রায় দুর্বল স্বাস্থ্য নিয়েও সুদূর সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটে ছুটে এসে অনশন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এবং দিন শেষে হুমায়ুন আহমদকে পানি পান করিয়ে তাঁর অনশন ভঙ্গ করান।

আজীবন সাম্যবাদী দর্শনে বিশ্বাসী, কৃষক-মজুর ও সাধারণ মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবী ও অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রামী, বাংলাদেশে প্রগতিশীল রাজনীতির কিংবদন্তী এই বিপ্লবী জননেতা কমরেড প্রসুন কান্তি রায় ওরকে বরুণ রায় ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ৮৭ বৎসর বয়সে সুনামগঞ্জ জেলার হাসন নগরে তাঁর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

কমরেড বরুণ রায় ছিলেন এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারের সন্তান। ইচ্ছে করলেই তিনি জীবন কাটাতে পারতেন অত্যন্ত আরাম-আয়েশ ও সুখ-শান্তিতে। কিন্তু এই সুখ-শান্তি ও জমিদারী তাকে টেনে রাখতে পারে নাই। তিনি মিশে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের কাতারে, বেছে নিয়েছিলেন তাদের মত সাধারণ জীবনযাপন। শরীক হয়েছিলেন তাদের দাবী দাওয়া আদায়ের সংগ্রামী মিছিলে। ভাটি বাংলার হাওরের জল, কাদা-মাটি আর সংগ্রামী মানুষের কাছে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয় ও আপনজন। পেয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা ও হৃদয় নিংড়ানো সীমাহীন অকৃত্রিম ভালবাসা।

কমরেড বরুণ রায় ছিলেন ভাটি বাংলার এক প্রবাদ পুরুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী একজন আলোকিত মানুষ। তিনি আজীবন শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। সংযম ও ত্যাগের রাজনীতির ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন কিংবদন্তীর নায়ক। বিপ্লবী বরুণ রায় বেঁচে থাকবেন ভাটি বাংলার তথা এদেশের নিপীড়িত, নির্যাতিত ও শোষিত মানুষের ভালবাসায়, হৃদয়ের মণিকোঠায়, তাদের প্রতিদিনের মুক্তির মিছিলে, মিটিং ও আন্দোলন সংগ্রামে। তাঁর রেখে যাওয়া নীতি ও আদর্শ সহজ সরল জীবন প্রণালী, যুগ যুগ ধরে শক্তি ও সাহস যোগাবে এবং পথ দেখাবে এদেশের প্রতিটি সৎ, নীতিবান, ত্যাগী ও বিপ্লবী আদর্শবাদী দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মীকে।

সৈয়দ অামিরুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট;
বিশেষ প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক নতুনকথা;
সম্পাদক, অারপি নিউজ;
সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, মৌলভীবাজার জেলা;
‘৯০-এর মহান গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক ও সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী।
সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়ন।
সাধারণ সম্পাদক, মাগুরছড়ার গ্যাস সম্পদ ও পরিবেশ ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ অাদায় জাতীয় কমিটি।
প্রাক্তন সভাপতি, বাংলাদেশ অাইন ছাত্র ফেডারেশন।
E-mail : rpnewsbd@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৬৫৯৯৫৮৯।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ