বরুড়া মুক্ত দিবস ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

প্রকাশিত: ১:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২০

বরুড়া মুক্ত দিবস ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

Manual1 Ad Code

অালী হোসেন || ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ : সাত ডিসেম্বর বরুড়া মুক্ত দিবস। একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সারাদেশের ন্যায় বরুড়ার কৃষক,শ্রমিক, ছাত্র, যুবকসহ সর্বস্তরের মানুষ। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-শামস, আল-বদর এর নির্যাতনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীসহ সর্বস্তরের জনগণের ”জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু” স্লোগান ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে বরুড়া সদর। ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুক্ত হয় বরুড়া। বরুড়া সদরের উপজেলার পরিষদের নিকটে বরুড়া বাজার হতে কলেজ রোড –তলাগ্রাম রোডস্থ পূর্ব-পশ্চিমের পাটবাজার পুল হয়ে রাস্তার পাশেই উপজেলা ডাক-বাংলোর বিপরীতে বরুড়া থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিস (১৮৭০ সালে বৃটিশ ভারতের চান্দিনা থানার অধীনস্ত ত্রিপুরা জেলার কুমিল্লা মহকুমার পরবর্তীতে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার(১৯৪৭) সাবেক ৭নং (উঃ) দেওড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস) ও বরুড়ায় নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মহান মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ এর ৭ ডিসেম্বর বরুড়া হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়ে বীরের বেশে বরুড়ার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিপাগল বাঙীলারা এ স্থানটিতে মিলিত হয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নয়মাসের মুক্তিসংগ্রামের সশস্ত্র মোকাবেলা করে দেশ শক্রমুক্ত করেছিল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে শহীদের স্মৃতিকে ধরে রাখার নিমিত্তে বরুড়ার প্রথম শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়ে কালের স্বাক্ষী হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে অবহলোয়। এ ঐতিহাসিক স্থানটিকে সংস্কার ও সংরক্ষণ করা অতীব জরুরী। এ স্থানটি বরুড়া সদরের মুক্তিযুদ্ধকালিন ও স্বাধীনতাত্তোর ঐতিহাসিকভাবে ইতিহাস ঐতিহ্যের স্মৃতিচিহ্নভূমি। নিকটেই বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ যাহা দেশের স্বাধীনতায় ও মাতৃভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদের স্মৃতিকে ধারণ করেই এ বিদ্যাপীঠের নামকরণ। বাংলাদেশের হাতেগনা কয়েকটি বিদ্যাপীঠের শহীদদের স্মৃতিকে স্মরণ করে কালের স্বাক্ষী হয়ে বরুড়ায় ইতিহাস ঐতিহ্যে প্রগতির ধারক বাহক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মহিমাম্বিতত করছে। বরুড়ার প্রথম শহীদ মিনার ও সাবেক ৭নং দেওড়া উঃ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় হালের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিস ও বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজকে কেন্দ্র করে বরুড়া পশ্চিম বাজারের ঐতিহাসিক পাট বাজারের পুল থেকে শুরু করে পাশের প্রবাহমান খালগুলোকে সংস্কার করে পশ্চিমের প্রতিবন্ধী হাসপাতাল ধরে কলেজের দক্ষিণের অফিসপাড়া এবং পূর্ব-দক্ষিণের থানা কার্যালয়কে নিয়ে বেষ্টনির মতো করে থানা প্রশাসনসহ উপজেলা পরিষদ, ডাক-বাংলো, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালসহ উপজেলা দিঘিটিকে প্রাকৃতিক গাছগাছালির আবহে এবং কৃত্রিম নান্দনিক সৌন্দর্য্যে সাংস্কৃতিক ও পরিবেশ বান্ধব বলয় ও পরিকল্পিত আবাসন হিসেবে চিহ্নিত করে সাজিয়ে তুললে বরুড়ায় হবে নান্দনিক ও সৌন্দয্যের দৃষ্টিনন্দন সাংস্কৃতিক বলয়। এতে ঐতিহাসিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মন্ডিত গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত হয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যের মাত্রাকে মানুষের নিকট তুলে ধরলে মন্দ হবে না। অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মাঝে মধ্যে এ স্থানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্থানের মর্যাদা দিয়ে আসছে। এর পাশেই দক্ষিণে উপজেলা ডাক-বাংলো এবং বরুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। উপজেলা দিঘির পশ্চিমে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর, পূর্বদিকে উপজেলা সরকারী বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা আবাসিক ভবন, উপজেলা পরিষদের দিঘির চারপাশঘেষেই সারি সারি গাছ গাছালি এবং দিঘির দক্ষিণপাড়ঘেষে স্বাধীনতা চত্বর, উপজেলা জামে মসজিদ, বরুড়া উপজেলা পরিষদ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির সম্মানার্থে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল। এ ম্যুরালে জাতীয় দিবসে জাতির জনকের প্রতি সর্বসাধারাণের এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিশু সংগঠনের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে জানার প্রক্রিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের প্রতীকে পরিণত হয়ে বরুড়ায় ইতিহাসের মাইলফলকে সম্মানিত। বরুড়ার মানুষ ৭ ডিসেম্বর বিজয় উৎসবে নানাবিদ আয়োজন করে বিজয় দিবস উদযাপন করে স্বাধীনতার স্বাদ আস্ফালন উপভোগ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। আজকের বাংলাদেশ ত্রিশ লাখ শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে এবং আড়াই লাখেরও বেশি মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ। আজকের বিজয়ের দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বরুড়ার কৃতি সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি , তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, যার ডাকে সাড়ে সাতকোটি বাঙালী অস্ত্র হাতে আধুনিক রণসম্ভারে সজ্জিত পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে জীবন-বাজি রেখে লড়াই সংগ্রাম করে দেশকে শত্রুমুক্ত করে, সেসব শহীদ ও জীবিতদের হাজার সালাম। চলছে মুজিবশতবর্ষ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষের উদযাপন কালীন মুজিব’শতবর্ষটি আমাদের বাঙালীদের হৃদয়ে চিরভাস্মর হয়ে চিরদিন থাকবে। কোভিড’১৯’র আপদকালীন সময়ের জন্য মুজিববর্ষ সীমিত আকারে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের দিকনির্দেশনায় উদযাপনের নিমিত্তে সরকারীভাবে নানা পদক্ষেপের কর্মসূচী চলছে। আর কয়েকদিন পরই ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করবে। রক্তিম লাল সবুজের পতাকার সৃজনকারী এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ বিনিমার্ণের সারথীদের জীবন-মরণ লড়াই সংগ্রামের আত্মত্যাগে বলীয়ান সকল শহীদের প্রতি হাজার ও লাখ ছালাম এবং বিনম্র শ্রদ্ধা। দেশের ক্ষমতাসীন সরকার বাংলাদেশ স্বাধীনতার নেতৃত্বের দানকারী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। যার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের কল্যানে বিশ্বের দরবারে দেশকে একটি আধুনিক ও সভ্যতার উন্নত শিখরে নিয়ে যাবার জন্য কল্যানমূলক কাজের মাধ্যমে শত প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক হিসেবে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধারাবাহিকভাবে অগ্রসরমান হিসেবে অগ্রবর্তী বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাহক বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স বর্তমানে সরকারের বাস্তবায়নাধীন একটি বড় প্রকল্প হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় নির্মাণাধীন চলমান। আমাদের বরুড়ায়ও এ প্রকল্পটি হাসপাতাল রোড হয়ে বরুড়ার ঐতিহাসিক কৃষ্ণ সাগর উত্তর পাড়ঘেষে বরুড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহের উত্তর পূর্ব কোনে রাস্তার মোড়েই ”বরুড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি”র(নির্মাণাধীন) অবস্থান । মহান মুক্তিযুদ্ধে বরুড়ার বিশাল অবদান রয়েছে। তাই বরুড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটিকে কেন্দ্র করে বরুড়ায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্যকে রক্ষার অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তার মাধ্যমে বরুড়ায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অগ্রসরমান করার জন্য বরুড়ার সকল সাংবাদিকবৃন্দ, বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ এবং বরুড়ার জাতীয় অভিভাবক মাননীয় এমপি মহোদয়সহ উপজেলা প্রশাসনের নিকট আপামর বরুড়ার জনগনের (নিবন্ধে উল্লেখিত বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ এবং বরুড়ার প্রথম নির্মিত শহীদ মিনার(মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিস প্রাঙ্গনে) ও বরুড়া মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর’ ৭১ এ বরুড়ার আপামর জনতা ও মু্ক্তিযুদ্ধাদের মিলিত স্থান স্মৃতিচিহ্নসমূহের স্মরণীয় রাখতে সংরক্ষণ ও সংস্কারকরণ, স্মৃতিফলক স্থাপনকরণসহ) আবেদন-নিবেদন-

১. বরুড়া উপজেলার যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি সেসব বিদ্যাপীঠের আঙ্গিনায় সরকারী পর্যায়ে শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার পরিকল্পনাকরণ;
২. বরুড়ার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রনয়ন করা,
৩. সাংগঠনিকভাবে আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করেছেন এমন আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের নামের তালিকা করে সম্মান করা,
৪. এখনও যে সব মুক্তিযোদ্ধার কবর শনাক্তকরণ করা যায়নি, সেগুলো শনাক্ত করা;
৫. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোকে চিহ্নিত করণ;
৬. বরুড়ার যেসকল মুক্তিযোদ্ধা এখনও সরকারীভাবে গেজেটেড হয়নি তাদেরকে চিহ্নিতকরণ;
৭. অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করণ;
৮. মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অনেক গণকবর এখনও চিহ্নিত হয়নি। সেগুলো চিহ্নিত করণ;
৯. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করণ;
১০. শহীদ মুকিযুদ্ধা পরিবারের আর্থিক সাহায্যকরণ;
১১. ভূমিহীন-অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা;
১২. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত প্রতিটি যুদ্ধক্ষেত্র, বধ্যভূমি, গণকবর শনাক্ত ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ;
১৩. ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বরুড়ার বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা শত নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করে এবং অনেক হিন্দু বাড়িতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে লুটতরাজ সহ নির্মমভাবে অত্যাচার নিপীড়ন করেছে সেসব পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে তাদেরকে সরকারী পর্যায়ে সম্মানের ব্যবস্থা করা একান্তভাবে অপরিহার্য। এসব ঘটনায় বরুড়ার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল অরক্ষিত অবস্থায় ছড়িয়ে রয়েছে। সেসব সমাধি যথাযথভাবে সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চিরস্মরণীয় করে রাখা অপরিহার্য;(স্মরণযোগ্য- তলাগ্রামের ভাওয়াল বাড়ি, অর্জুনতলা মিঞা বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব দেওয়ান মেধাদ উদ্দীন সাহেব এর বাড়ি, দেওড়া’র মধ্যম পাড়ার(দেওড়া স্কুলের বিপরীতে পুকুরের দক্ষিণপাড়ের ভূইয়া বাড়ি) বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক ভুইয়া(কালু) এবং পশ্চিম পাড়ার সেনবাড়িসহ বরুড়ার বিভিন্ন স্থানের নাম না জানা অনেক বাড়ির মানুষ যাহা এখনো ৭০ উর্ধ্ধে বয়সীদের সাক্ষাত নিলে সঠিকতা পাওয়া যাবে ।)

Manual5 Ad Code

১৪. বরুড়ায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের ধারাকে অগ্রসরমান রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে উজ্জীবিত করে বরুড়ার প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বিদ্যালয়ে ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদেরকে এবং বরুড়া আপামর জনগনকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিশেষ দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশেষ করে ম্যাগাজিন বই আকারে পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে জনগনের দৌড়গড়ায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরস্মরণীয় করার ব্যবস্থাকরণ।

Manual7 Ad Code

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ অর্জন আমদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। একে আরও স্বার্থক ও সুন্দরভাবে বরুড়ায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বছর ব্যাপী নানাবিদ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সর্বসাধারনকে উজ্জীবিত করার সুদীর্ঘ পরিকল্পনা গ্রহন করে বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়টাকে গতিশীল রাখার পরিকল্পনা নিয়ে বরুড়াকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধাবিত করার অনুরোধ করছি। শুভ কামনা। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

Manual8 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code