‘৬৯-এর ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস অাজ

প্রকাশিত: ২:৫১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২১

‘৬৯-এর ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস অাজ

ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি ২০২১ : বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস অাজ।

মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদ মতিউর স্মৃতিসৌধে (নবকুমার ইনস্টিটিউট, বকশীবাজার, ঢাকা) শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঐতিহাসিক ২০ জানুয়ারি ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) নেতা শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি এই অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করে।
ঊনসত্তরের এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মতিউর ও রুস্তম শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়েরদেয়ালভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব-মোনায়েম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসাবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান অবজারভারে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনগণ আইয়ুবগেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদগেইট নামকরণ করেন।

 

আজ ২৪ জানুয়ারী, ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইল ফলক। মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল গণঅভ্যুত্থান।এই অভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাঙালি জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

উনসত্তরের ২৪ জানুয়ারি পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ এবং আইয়ুব খানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিলে রাজপথে পুলিশের গুলিতে শহীদ ঢাকার নবকুমার ইনষ্টিটিউশনের দশম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান মল্লিক স্মরণে আজ সকাল ৯ টায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে নবকুমার ইনস্টিটিউট স্কুল প্রাঙ্গনে শহীদ মতিউরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয় ও লাল সালাম জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর অন্যতম নেতা কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড আবুল হোসাইন, কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন কমরেড মুর্শিদা আখতার নাহার, ঢাকা মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মহানগর নেতা কমরেড আব্দুল আহাদ মিনার, কমরেড মামুন মোল্লা, পার্টির সদস্য কমরেড হুমায়ূন মুজিব ।

বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস ও পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ এবং আইয়ুব খানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিলে রাজপথে পুলিশের গুলিতে শহীদ ঢাকার নবকুমার ইনষ্টিটিউশনের দশম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান মল্লিক স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান।