সিলেট ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
নুরুল ইসলাম শেফুল॥ মৌলভীবাজার, ২৯ জানুয়ারি ২০২১ : মৌলভীবাজার পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার পর থেকে নিজ কর্মগুণে যে কয়জন চেয়ারম্যান ও মেয়র পৌর নাগরিকদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমান। তাঁর হাত ধরেই পৌরসভা আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে এ কথা বলাই বাহুল্য। তাই বেশিরভাগ নাগরিকরাই মনে করেন বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমানের বিকল্প নাই।
গত পাঁচ বছরে রাস্তাঘাট প্রশস্থকরণ ও নির্মাণকাজ, কোদালীছড়া সংস্কার, পৌর ঈদগাহ নির্মান, প্রবীণাঙ্গন নির্মান ইত্যাদি ক্ষেত্রে পৌরসভায় যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে তা ধরে রাখতে ফজলুর রহমানের ধারাবাহিকতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন পৌর নাগরিকরা। অনেকেই মনে করেন সৈয়দ মহসীন আলী, মাহমুদুর রহমান এদেরই প্রতিফলন ফজলুর রহমান। শহরকে সাজাতে আধুনিক করতে এই দুজনের পরিকল্পনারই বাস্তবায়ন করছেন তিনি।
তাঁর সময়ে সবচেয়ে বেশি শোভাবর্ধন হয়েছে পৌর এলাকার। শহরের শোভাবর্ধনে তাঁর জুড়ি নেই একথাটি নিন্দুকেরাও স্বীকার করে থাকেন। সৌন্দর্যপ্রিয় এই মানুষটির হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে একটি প্রবীণাঙ্গন। এই মানুষটির হাত ধরে নির্মিত এই প্রবীণাঙ্গণে এই সকাল বিকেল ফুল ফোটে, নবীন ও প্রবীনরা আরাম আয়েশে হাঁটাচলা করে থাকেন। এখানে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ বিনোদন খোঁজে পান। রয়েছে শারিরিক চর্চা কেন্দ্র। কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই এই প্রবীণাঙ্গণে লোকজন ইচ্ছেমতো আড্ডা দেন।
শহরবাসীর দু:খ ছিলো কোদালী ছড়া। যে ছড়ায় পানি নিষ্কাশণ হতোনা। কিন্তু এই ছড়াকে তিনি এখন নৌকা চলাচলের উপযুক্ত করেছেন। এখন সকাল বিকেল নিরবধি পানি চলে ছড়া দিয়ে। তাঁর হাত ধরেই ইতোমধ্যে ছড়াকে শহরবাসীর সকাল বিকেলের হাটাচলা ও বিনোদনের উপযুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই শহরের সংস্কৃতিসেবীদের সমস্যাও তার নজর এড়ায়নি। তিনি মেয়র চত্বরে পৌরসভার পুকুর অংশে একটি মুক্তমঞ্চ করার পরিকল্পনা করেছেন। এর কাজ খুব দ্রুতই শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া সব বয়েসী মানুষের বিনোদনের জন্য তিনি চাঁদনীঘাট ব্রিজের পশ্চিমপাশ থেকে নদীর কোল ঘেঁষে একটি বিনোদন কেন্দ্র নির্মানের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। অচিরেই সেই প্রকল্পের কাজও শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও তাঁর পরিকল্পনায় আরও উন্নয়নকাজ রয়েছে। নির্বাচনে জয়লাভ করলে বেরি লেইক সংস্কার ও আধুনিকায়ন করবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বর্তমান মেয়র ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলুর রহমান। পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে বেরি লেইককে ঢাকার হাতিরঝিলের রূপে রূপান্তর করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
মৌলভীবাজার শহরের বুকে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া হ্রদ ‘বেরি লেক’। লেকের আয়তন ১৪ একর ৬৫ শতক। বর্তমানে লেকটি দখল-দূষণের কবলে থাকায় হারিয়েছে সৌন্দর্য তি হচ্ছে পরিবেশের।
লেকের একপাশ ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অন্যপাশে শাহ মোস্তফা সড়ক এবং উত্তর পাশে বেরির চর নামে একটি পাড়া গড়ে উঠেছে। সেখানে অনেকগুলো দালান গড়ে উঠেছে, রয়েছে কাঁচা পাকা ঘর।
লেকটির চারদিকে নানা ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম পানীয়ের বোতল, খাবারের প্লাস্টিকের বাক্স, প্যাকেট, চটের বস্তা, চিপস প্যাকেট ইত্যাদি। পাড় ঘেঁষে গজিয়েছে বিভিন্ন জাতের জলজ ঘাস, কচুরিপানা ও আগাছা।
শাহ মোস্তফা রোডের পাশে লেকের দণি পাড়ে গড়ে উঠেছে ট্রাক স্ট্যান্ড। পাথরের স্তুপ, অস্থায়ী স্থাপনা, এবং অস্থায়ী বাজার। শহরের বুকে পড়ে থাকা এ হ্রদ নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
কোদালীছড়া ছিলো মৌলভীবাজার শহরের অভিশাপ, আমাদের দাবী ও কাজের ফলে বর্তমান মেয়র কোদালীছড়া উন্নয়নে কাজ করেছেন, এখন এটি আশীর্বাদ। শীঘ্রই এ স্থানটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হবে। একইভাবে বেরিলেইক আমাদের শহরের অক্সিজেন, একে রা করে আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণায় আমরা আশাবাদী।
এসব কাজের কারণে পৌরসভায় তাঁর বিকল্প নাই মনে করছেন ভোটারসহ আশেপাশের ইউনিয়ন ও জেলার মানুষ।
অনেকেই মনে করেন, জেলার তিন পৌর সভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করার পেছনে মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমানের দিক নির্দেশনা ও কৌশল কাজ করেছে। যার ফলে সেসব পৌরসভায় নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। তারই প্রতিদান দিতে গিয়ে বড়লেখা,কুলাউড়া ও কমলগঞ্জের মেয়ররাও তার পক্ষে গনসংযোগ করছেন।
আগামী নির্বাচনে যদি ফজলুর রহমান জয়লাভ করেন তাহলে মৌলভীবাজার জেলার পৌরসভাগুলোতে একটি ভারসাম্য আসবে এবং পৌরসভাগুলোতে ভবিষ্যত উন্নয়ন কাজ ত¦রান্বিত হবে। বিগত পাঁচ বছরে মৌলভীবাজার পৌরসভায় যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সেভাবে বাকী তিন পৌরসভায়ও কাজ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সাধারণ মানুষ।
ফজলুর রহমান শুধু মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়রই নন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি থেকে শুরু করে যুবলীগের নেতা এবং বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। সারা জেলায় রয়েছে তাঁর অনুসারী বিশাল একটি কর্মীবাহিনী। এছাড়া গত পাঁচ বছরে তিনি মৌলভীবাজার পৌরসভার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন করে শুধু পৌর নাগরিক নয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে তিনি উন্নয়নের রূপকার হিসেবে ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন।
ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠন দিনরাত তাঁর বিজয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে তাদের হারানো কঠিন। এর প্রমান আমরা বহুবার পেয়েছি। উঠোন বৈঠক, সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণসহ তাঁর বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন বিশাল কর্মীবাহিনী। নির্বাচনী প্রচারণায় পিছিয়ে নেই তিনিও। এসব প্রচারণার মাঝেও তিনি থেমে নেই। পৌর নাগরিকের যেকোন সমস্যা সমাধানে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যেকোন নাগরিকের সমস্যার কথা শুনতে মোবাইল ফোন ধরছেন এবং সমস্যাগুলো সাথে সাথে সমাধান করার ব্যবস্থা করছেন। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে অবশ্যই ফজলুর রহমানকে নির্বাচিত করা উচিত বলে আমি মনে করি।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D