অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কাকিয়াছড়া স্কুল কমিটির সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১

অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কাকিয়াছড়া স্কুল কমিটির সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || শ্রীমঙ্গল, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ : শ্রীমঙ্গলের কাকিয়াছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জগাই রাজবংশীর বিরুদ্ধে স্কুলের মালামাল অাত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে টিন, জানালা, কাঠ ও রাবিশগুলো বিক্রি করার সত্যতা পাওয়ায় সকল বিষয় বিস্তারিত পর্যালোচনার পর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার পূর্বে ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে যথাযথ কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম জাকিরুল হাসান।

অদ্য ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার দুপুরে তিনি এ কথা জানান।
এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটির তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা শিক্ষা অফিস।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অারও বলেন, এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই অাইনী ব্যবস্থা হিসেবে এ নোটিশ প্রদান করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, কাকিয়াছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক গঠিত ২ সদস্যের কমিটি এ তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে।
এবছরের গত মাসের ১০ জানুয়ারি রোববার সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। প্রায় ৩ ঘন্টায় এ তদন্ত কাজ শেষ হয়। ২ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে ছিলেন সিনিয়র সহকারী শিক্ষা অফিসার মনোরমা দেবী ও সহকারী শিক্ষা অফিসার অাবুল হাসনাত মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। তদন্ত কাজে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিটিঅারঅাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ও কাকিয়াছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি রিতা দত্ত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান; দৈনিক খোলাচিঠি পত্রিকার বার্তা সম্পাদক নান্টু রায় ও দৈনিক যায়যায়দিনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি মো: শফিকুল ইসলাম, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির পাইকারি প্রতিষ্ঠান ‘লাইট হাউস’-এর স্বত্বাধিকারী সুধীর সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিযুক্ত অত্র স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জগাই রাজবংশী ও অভিযোগকারীগণ যথাক্রমে সর্বজনাব মুহম্মদ অালী, হরু অাহমেদ, সালেহ অাহমদ, ধিরেন বাকতি, বিমল দাস, দেবেন দাস ও নকুল দাস প্রমূখ।
অভিযোগের পক্ষে সাক্ষ্য দেন এলাকার মুরব্বি রুহিনী পাল ও ইউপি মেম্বার সুবল নায়েক সহ অন্যান্যরা।
অভিযোগকারীরা তাদের স্বপক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অভিযুক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জগাই রাজবংশী অাত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য দেয়। জগাই রাজবংশী তার বক্তব্যে কিছু মালামাল বিশেষ করে টিন, কংক্রিট, রড, ৭টি জানালা বিক্রির কথা স্বীকারোক্তি দেন। বাকী মালামালগুলো স্কুলেই অাছে বলে জানান।
১৯৮৪ সালে স্থানীয় জনসাধারণের উদ্যোগে ও সহায়তায় স্থাপিত এ বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে সরকারি হওয়ার পর ২০২০ সালে নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ করা হয়।