ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশে শুরু হয়েছে করোনা টিকাদান কার্যক্রম

প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১

ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশে শুরু হয়েছে করোনা টিকাদান কার্যক্রম

ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ : সারাদেশে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ শুরু হয়েছে (কোভিড-১৯) করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম। প্রতিটি জেলায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা করোনা প্রতিরোধে সকল ভয়ভীতি ও কুৎসা রটনা থেকে বিরত থেকে করোনা প্রতিরোধে টিকা গ্রহণের আহবান জানান।

করোনার টিকা নিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় করোনার টিকা নিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, ঢাকা মহানগর সদস্য কমরেড তৌহিদুর রহমান, মামুন মোল্লা, যুবনেতা এম এম মিলটন, সাবেক ছাত্রনেতা মানোয়ার হোসেন, ফাহাদ বিন হাসান সজিব প্রমুখ।

টিকা নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় মেনন বলেন, মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি কাটিয়ে সবাইকে করোনার টিকা নিতে হবে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি প্রতিরোধে অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে। জনগণকে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি মাত্রায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি-অনিয়ম যেন না হয় সে দিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এছাড়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি একইদিন সকাল ১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে টিকা নেন। আরও টিকা নেন তার সহধর্মীনি নারী মুক্তি সংসদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কমরেড তাসলিমা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালে শামিম ইয়াজদানি, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড দেবাশিষ প্রমাণিক দেবু, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর জেলা কমিটির সদস্য কামরুল হাসান সুমন প্রমুখ।

জেলা সংবাদদাতারা জানান-
গোপালগঞ্জ : ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলামকে ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে করোনাভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাকির হোসেন, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার এস এম সাকিবুর রহমান ভ্যাকসিন নেন। পরবর্তিতে অন্যান্যদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়। সিনিয়র স্টাফ নার্স রমা রাণী ভক্ত এই বিশিষ্ট জনদেরকে করেনা ভ্যাকসিন পুশ করেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আয়শা সিদ্দিকা, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুর : এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিজেই করোনা টিকা গ্রহণ করে করোনা টিকাদান (কোভিট-১৯) কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। এ সময় দিনাজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, বিপিএম (বার), দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মো. নাদের হোসেন, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শাহ মোজাহিদুল ইসলাম ও সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, করোনা টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর পর্যায়ক্রমে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার ১৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া টিকাদানের জন্য দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে ৮টি, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪টি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর প্রতিটিতে দু’টি করে সর্বমোট ৩৮টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে দু’জন করে টিকাদান কর্মী ও ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। সিভিল সার্জন জানান, টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এ্যাড.কামরুল ইসলাম নিজে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, টিকা নিয়ে যারা অপপ্রচার করছেন তারা কেউই দেশের ভালো চান না। তিনি সকল ভয়-ভীতি ও বিভ্রান্তির উর্ধ্বে উঠে সবাইকে টিকা নেয়ার জন্য আহবান জানান। এর পর টিকা গ্রহণ করেন কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর অপারেশন আসাদুজ্জামান টিটু, কেরাণীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. সালাহ উদ্দিন মিয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ইসমাইলসহ কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে সামনের কাতারে থাকা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ৫২জন মানুষ।
ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাইনুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেব নাথ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহা. মশিউর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি : জেলার ১০ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, রাঙ্গামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসাসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও হাসপাতালের ডাক্তাররা উপস্থিত থেকে করোনার টিকা গ্রহণ করেন। টিকা গ্রহণের পর চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠিসহ সকল সম্প্রদায়কে করোনা টিকা গ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, কারো বিভ্রান্তিকর কথা না শুনে, সরকারের উপর আস্থা রেখে এই টিকা গ্রহণ করা উচিৎ। দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং পর্যায়ক্রমে যাতে সকলেই এ টিকার আওতায় আসতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান। এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন জানান, উদ্বোধনের প্রথম দিনে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ৪০জনকে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে যথা নিয়মে ৪টি কেন্দ্রে ৩শ থেকে ৪শ মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে।
ফেনী : জেলায় প্রথম কোভিড-১৯ টিকা নিলেন সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন। সিভিল সার্জন জানান, সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত নির্ধারিত কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ জন মানুষকে টিকা দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে জেলার মোট ২৪ হাজার মানুষকে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হবে। এজন্য জেলা জুড়ে ১৯টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আটটি, পাঁচ উপজেলায় দুইটি করে ১০টি ও ফেনী পুলিশ লাইনে একটিসহ মোট ১৯টি বুথে করোনা টিকা দেয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল : জেলার মোট ৪২টি কেন্দ্রে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয় সকালে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনির শরীরে প্রথম ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। তারপর জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ভ্যাকসিন নেন। এছাড়া কালিহাতীতে স্থানীয় এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নেন।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে করোনাভাইরাসের টিকার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান। এ সময় সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট কর্নেল ওয়ারেন্ট অফিসার আক্তার হাসিব দেওয়ান, রফিকুল ইসলাম ও নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল লতিফ টিকা গ্রহণ করেন।
টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৯টি কেন্দ্র ও বাকি ১১টি উপজেলার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি করে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি বুথে দুইজন করে টিকাদান কর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। জেলায় মোট ১ লাখ ২০ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
কুমিল্লা (দক্ষিণ) : জেলা সদর হাসপাতালে জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরকে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এর পরেই জিওসি ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, কুমিল্লা এরিয়া মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন, এসজিপি, এনডিসি, এমফডব্লিউসি, পিএসসি, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, জেলা প্রশাসক পতিœ মনিরা নাজনীন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুস ছালাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার নিয়াতুজ্জামান জানান, জেলা সদর হাসপাতাল, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিটি করর্পোরেশন কেন্দ্র ছাড়াও জেলার ১৭ উপজেলায় করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। কুমিল্লার জন্য প্রাপ্ত ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকা, ১ লাখ ৪৪ হাজার লোককে দুই ডোজের মাধ্যমে দেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম : জেলা জেনারেল হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ভ্যাকসিন নিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে টিকা গ্রহণ করেন সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বীবপ্রতীক ও কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন। সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে ১১৯ জনসহ জেলার ৯টি টিকাদান কেন্দ্রে মোট ৪৫০ জন টিকা গ্রহণ করেছেন।
মৌলভীবাজার : জেলার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর সংসদ সদস্য একটি বুথে নিজে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: পার্থ সারথী দত্ত কাননগো, প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ সালামসহ স্ব্যাস্থ্যকর্মী শিক্ষক, নার্সসহ সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধারা টিকা নেন। আজ জেলায় সব মিলিয়ে টিকা নেন ৮১৬জন। সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আগেই প্রস্তুত করা হয় মোট ৮টি বুথ। চলতি মাসের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১২ দিন চলবে টিকাদান ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১,২০০ জন ব্যক্তিকে টিকা দিতে পারবেন তারা। তবে সেক্ষেত্রে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
হবিগঞ্জ : ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি এবং তিনি প্রথমে টিকা গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা, মুখলেছুর রহমান উজ্জলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম পিপিএম, সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ান, ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন ও জেলা রেডক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম।হাসপাতালের ৮টি বুথে শুরু হয় টিকাদান কার্যক্রম। উদ্বোধনের পরই টিকা নিতে আসেন ৮০ বছরের প্রবীণ ব্যাক্তিত্ব সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ভট্টাচার্য্য। তিনি টিকা নিতে পেরে আনন্দিত। সবাইকে টিকা গ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, আমি টিকা গ্রহণ করেছি। কিন্তু কোন সমস্যা হয়নি। হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জল জানান, হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রথম দিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হয়। এই সময়ে ১০৪জন টিকা গ্রহণ করেন। এর মাঝে ৩৪জন নারী। জেলার অন্য ৭টি উপজেলায়ও শুরু হয়েছে টিকা প্রদান কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার লোক রেজিস্ট্রেশন করেছেন। জেলার ২৪টি বুথে ২জন করে ৪৮জন ভ্যাকসিন প্রদানকারী দায়িত্ব পালন করেন।
নীলফামারী : জেলায় সাতটি কেন্দ্রে ২৩০ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে নারী ৪১জন নারী রয়েছেন। জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। এসময় জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার মো. মোখলেছুর রহমান, সিভিল সার্জন মো. জাহাঙ্গীর কবির, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ প্রমুখ। প্রথম টিকা গ্রহণ করেন ওই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জেসমিন নাহার সেতু। জেলার সাতটি কেন্দ্রে ২২টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরের নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ১১টি, অন্য ৫ উপজেলায় ২টি করে এবং সৈয়দপুর সেনানিবাস হাসপাতালে একটি রয়েছে। সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর কবির বলেন,‘প্রথম দিনে টিকা প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। টিকা গ্রহিতাদের মধ্যে কারো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর : জেলা সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. সাদমান সাকিবকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে শুরু হলো করোনা প্রতিরোধের টিকাদান কার্যক্রম। সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুল্লাহ-আল-মুরাদ বাসস’কে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দে জেলায় ৩৬ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল চত্বরে ৪টি বুথের মাধ্যমে আজ থেকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্য পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮ বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রতিদিন কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান করা হবে। প্রথম পর্যায়ে টিকা পাবেন করোনা প্রতিরোধে প্রথম সারির যোদ্ধা ১৮ বছরের উপরের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য বিভাগের ব্যক্তিবর্গ, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ৫৫ বছরের উপরের বয়সী নাগরিক। টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান, সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুল্লা-আল-মুরাদ, পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান, সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. মুনির আহমেদ খান প্রমুখ।
নওগাঁ : জেলা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশিদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আবু হানিফ টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে নওগাঁয় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, জেলায় ৮৪ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা দিয়ে ৪২ হাজার ব্যক্তিকে টিকা দেয়া যাবে। জেলায় এ পর্যন্ত ৬ হাজার ব্যক্তি টিকা পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। রোববার জেলা সদরে ৫ টি বুথে মোট ১১০ জনকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে।
জয়পুরহাট : জেলা আধুনিক হাসপাতাল চত্বরে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও করোনা ভ্যাকসিন প্রদান জেলা কমিটির সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন ডা: ওয়াজেদ আলী প্রমুখ। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত ওই টিকা প্রদান কার্যক্রম চলবে বলে জানান, সিভিল টিকা প্রদান কার্যক্রম সফল করতে জেলায় ৫৮ টি সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬ জন করে দায়িত্ব পালন করবেন। এ জন্য ৩৪৮ জন টিকাদানকর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
নাটোর : জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে দুপুর ১২ টায় টিকা গ্রহণ করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ এবং পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। এরআগে হাসপাতালের পুরুষ বুথে জেলার প্রথম টিকা গ্রহণ করেন হাসপাতালের সিনিয়র সেবক মোহাম্মদ আলী। এরপর মহিলা বুথে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন হাসপাতালের স্টাফ নার্স কাকলী কস্তা। টিকা প্রদান কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি প্রমুখ। সদর হাসপাতাল ছাড়াও জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এবং কাদিরাবাদ সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। প্রথমেই টিকা নেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারহানা সুলতানা।টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল,উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী সহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
নোয়াখালী : প্রথম করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের নির্ধারিত বুথে তিনি ভ্যাকসিন নেন। অন্যদিকে, চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একই সময়ে সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে উপজেলায় ভ্যাকসিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য জেলায় মোট ১০টি কেন্দ্রে ৩৩টি বুথ খোলা হয়েছে। প্রতিটি ভ্যাকসিন কেন্দ্র্রে ২ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন করে স্বেচ্চাসেবক নিয়োজিত করা হয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য এ পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে প্রায় ৩ হাজার। এদিকে হাতিয়া উপজেলার সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস ভ্যাকসিন দান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় ডা. নিজাম উদ্দিন মিজান ভ্যাকসিন গ্রহণ করে ভ্যাকসিন কর্মসূচির সূচনা করেন।
লক্ষ্মীপুর : সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্রথমে টিকা নিলেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, সির্ভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার, জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম সালাহ উদ্দিন টিপু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম। সির্ভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার জানান, ১ম দিনে টিকার নেয়ার জন্য ২২৭৩ জন আবেদন করেছে। মোট ২১ টি বুথ তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে স্বল্প সময়ে রেজিষ্ট্রেশন কাজ শেষ করে টিকা নিতে পারে।
সিরাজগঞ্জ : ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে প্রথম টিকা গ্রহণ করে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। এসময় জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম, হাসপাতালের তত্বাবধাক ডা. সাইফুল ইসলাম. আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম হীরা উপস্থিত ছিলেন। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সসহ ৩৬টি বুথে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা প্রদান করবেন। তবে জেলা ৯৬ হাজার ডোজ থাকলেও মাত্র ৩ হাজার ৩ ৪৮জন টিকা গ্রহণের জন্য নিবেদ্ধন করেছেন।
মাগুরা : ২৫০ শয্যা হাসপতালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ রবিবার থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। প্রথম ভ্যাকসিন নেন ২৫০ শয্যা হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তর স্বপন কুমার কুন্ডু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুুলিশ সুপার মো.জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, মাগুরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার মো. দীন-উল-ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাক্তার শহিদুল্লাহ দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ প্রমুখ।
সিভিল সাজর্ন ডাক্তার শহিদুল্লাহ দেওয়ান জানান, জেলার সদর হাসপাতলে ৮ টি বুথ ও বাকি ৩ উপজেলায় ৩ টি করে মোট ১৭ টি বুথে একযোগে এ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। প্রতিকেন্দ্র মোট ২ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জেলার চার উপজেলায় ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬৩ জন্য তালিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের ৭৪৫ জন, সরকারি প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৮৬৩ জন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭৫৫ জন। নিবন্ধনের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
মেহেরপুর : জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল জুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন, পুলিশ সুপার মুরাদ আলি, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, পিপি অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। উদ্বোধনের পর মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান জেলায় প্রথম টিকা নেন। মেহেরপুর সদরে ১০টি, গাংনীতে ৩টি , মুজিবনগরে ৩টি বুথে টিকা দেয়া হবে। প্রথম ধাপে জেলায় ১২ হাজার ডোজ টিকা প্রত্যেককে দুই ডোজ করে ৬ হাজার জনকে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগে করা হবে।
বরগুনা : কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব উদ্দীন এবং ডা. মো. কামরুল আজাদ দু’জনের টিকা গ্রহণ এর মধ্য দিয়ে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গির মল্লিক, সিভিল সার্জন ড. মারিয়া হাসানসহ অন্যান্যরা। সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানিয়েছেন, প্রথমত যারা রেজিস্ট্রেশন করবে তারাই টিকা পাবে, আর যারা রেজিস্ট্রেশন করবে না তারা টিকা পাবে না এবং বরগুনায় প্রথম ধাপে ২৪ হাজার ডোজ করোনা টিকা পেয়েছি। এই টিকা দেয়া হবে ১২ হাজার মানুষকে। প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিক ১৫টি ক্যাটাগরির লোককে এই টিকা দেয়া হবে। এজন্য অগ্রাধিকার তালিকাভূক্ত সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইট বা গুগল প্লে­স্টোর থেকে সুরক্ষা অ্যাপস ডাউনলাডের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। তবে ৫৫ বছরের উর্ধ্বে সকল নাগরিক নিবন্ধন করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকার প্রয়োজন নেই।
এছাড়াও পাবনা, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা, শেরপুর ও সাভারে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।