সিলেট ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
বিশেষ প্রতিনিধি || ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অস্বীকৃতি বন্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের ভূমিকার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার আহবান জানালো বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটে সেমিনার হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এ আহবান জানানো হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলার ঘোষণা’ দিবসের ৫১ বছর পূর্তিতে ওই আলোচনা সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী শক্তির সাথে এদেশের বামপন্থীরাও কেবল গুরত্বপূর্ণ অবদানই রাখেন নি, অনেকক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকাও পালন করেছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছিলো। কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে বামপন্থীরাই আগুয়ান ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সময় সামরিক শাসনের মধ্যেই ’৭০ এর ২২ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন বামপন্থীরা। ওই সমাবেশের বক্তাদের ৭ বছর ও ১ বছরের সশ্রম কারাদ্ডাদেশ দেয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, কেবল তাই নয়, তার আগ থেকে মওলানা ভাসানী ও বামপন্থীরা এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাতে অগ্রগামী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধেও বামপন্থীরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে এখন ইতিহাসের বামপন্থীদের অস্বীকার কেবল নয়, অনেকক্ষেত্রে অসত্য তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।মেনন আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে মওলানা ভাসানী ও বামপন্থীদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার মধ্যদিয়েই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন স্বার্থক হয়ে উঠবে। আগামী প্রজন্ম জানবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইহিাস। ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের ভূমিকা’- শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক
কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেই এগিয়ে যাবে ওয়ার্কার্স পার্টি। এক্ষেত্রে কোনো ধরণের দ্বিধা, সংশয়, কোনো আপোষকামীতার প্রশ্রয় ওয়ার্কার্স পার্টি দিবে না।
সংসদে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কর্তন করে প্রচারের সাথে জড়িতদের খুজে বের করার দাবি জানিয়ে কমরেড বাদশা আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে কে স্বাধীনতার সংগ্রামের নেতা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কর্তন করলো, কে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বাদ দিল ওয়ার্কার্স পার্টি তার জবাব চায়। আমরা মনে করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লক্ষ্য বাদ দিয়ে সামনে এগোনো যাবে না।
পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিকের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে ভারতের কমিউনিস্ট পাটি (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড গৌতম দাস মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশের শহিদদের এবং মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে সিপিএম প্রথম দাবি উত্থাপন করেছিল। কেবল দাবিই নয়, ধর্মঘট হরতালও করেছে।
ইন্দিরাগান্ধীর কাছে আমাদের পার্টি দাবি করেন, বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। এছাড়া আমরা আমাদের পার্টির সামর্থ অনুযায়ী বাংলাদেশের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক সামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন প্রমুখ।
শুরুতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগীত পরিবেশনা করেন ‘গণ সাংস্কৃতিক মৈত্রী’র শিল্পীরা।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অস্বীকৃতি বন্ধ করে বামপন্থীদের ভূমিকা তুলে ধরুন: মেনন
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D