সাইবার ক্রাইম এ্যাক্টের পর্যালোচনার দাবি ওয়ার্কার্স পার্টির

প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২১

সাইবার ক্রাইম এ্যাক্টের পর্যালোচনার দাবি ওয়ার্কার্স পার্টির

বিশেষ প্রতিনিধি || ঢাকা, ০৫ মার্চ ২০২১ : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর ৫ মার্চের সভা সাইবার ক্রাইম এ্যাক্ট নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক সম্পর্কে অভিমত প্রকাশ করেছে যে এই আইনে সম্প্রতি সময়ে মুক্তিবুদ্ধির অনুসারী মুশতাকের হেফাজতে মৃত্যু, ধৃত ব্যক্তিদের জামিন প্রদান না করা এবং বিশালসংখ্যক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপ্রপ্রয়োগ এবং অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির বাংলাদেশ, রাষ্ট্র, সংবিধান, জাতীয় সংগীত, নারী অধিকার সম্পর্কে বিরোধী প্রচারণা এবং বিশেষ করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো সম্পর্কে বৈষম্যমূলকভাবে প্রয়োগ না করার প্রেক্ষিতে এই আইন বাতিল, ন্যূনপক্ষে তার নিপীড়ণমূলক ধারা সমূহ বাতিলের বিষয়ে যে দাবি উত্থাপিত হয়েছে তার ভিত্তিতে উচ্চ আইনের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা আশু ও জরুরি হয়ে পড়েছে। ১৪ দলেও এর পর্যালোচনাও বিশেষ প্রয়োজন। ওয়ার্কার্স পার্টি এই আইন প্রণয়নের সময়ই এর নির্দিষ্ট ধারাসমূহ সম্পর্কে তার প্রবল আপত্তির কথা উত্থাপন করেছিল। এই আইন পাশ করার সময় আইনমন্ত্রী এর অপপ্রয়োগ রোধ ও প্রয়োজনে ঐ সকল ধারা পর্যালোচনার কথা বলেছিল, যা তিনি সম্প্রতি সময়েও উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিতে এই আইনের পর্যালোচনা করে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় আহ্বান জানান হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর অপর এক প্রস্তাবে বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়াত্ত মিলগুলোকে লীজে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পাট মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে বলা হয় সেটা হবে সংবিধান ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের অভিপ্রায় অনুযায়ী পাটশিল্পকে রাষ্ট্রায়ত্বখাতে রাখার বিষয়ে কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার শামিল। প্রস্তাবে বন্ধকৃত পাটকল সমূহকে স্কপ ও পাটকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রায়াত্ত খাতে রেখেই খুলে দেবার দাবি জানান হয়।
পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর সভা গত ২৮ ফেব্রুয়ারির পাটকল, চিনিকল শ্রমিক ও আখচাষীদের সমাবেশের সাফল্যে অভিনন্দন জানান হয়।
সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা মূল বিষয়সমূহের ওপর আলোকপাত করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, কমরেড ড. সুশান্ত দাস, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড নুর আহমদ বকুল, কমরেড কামরূল আহসান, কমরেড হাজেরা সুলতানা, কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ, কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, কমরেড অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী, কমরেড হাজী বশিরুল আলম, কমরেড জ্যোতি শংকর ঝন্টু, কমরেড অধ্যাপক নজরুল হক নীলু, কমরেড আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ