মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও আরও যুদ্ধ

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২১

মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও আরও যুদ্ধ

মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও যুদ্ধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন || ১২ মার্চ ২০২১ : যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গত ২০ বছরে প্রতিদিন ৪৬টি বোমা ফেলেছে!

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ২০০১ সাল থেকে অদ‍্যাবধি বৃহত্তর মধ‍্যপ্রাচ‍্য তথা উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে কমপক্ষে ৩,২৬,০০০ বার বোমা এবং ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ‘কোডপিংক’ নামক একটি যুদ্ধ-বিরোধী সংগঠনের নতুন গবেষণা থেকে সম্প্রতি এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই সহিংসতার সবচেয়ে বড় শিকার হয় ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইয়েমেন, তবে লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, প‍্যালেস্টাইন ও সোমালিয়াকেও ভুগতে হয়েছে। অর্থাৎ গত বিশ বছরে ওই অঞ্চলে প্রতিদিন গড়ে ৪৬ বার বোমা বর্ষণ করা হয়েছে।
৩,২৬,০০০ সংখ‍্যাটা অনেক বড় মনে হলেও, হিসাবটা এখানে কম করেই দেখানো হয়েছে, কারণ ২০২০ সাল থেকে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের বোমা হামলা চালানোর পরিসংখান দেওয়া বন্ধ করে দেয়, ফলে আগের দুই বছরে ইরাক, সিরিয়া বা আফগানিস্তানের কোনো ডাটা পাওয়া যায় নাই। তাছাড়া এখানে পৃথিবীর অন‍্যান‍্য স্থানে মার্কিন বাহিনীর চালান হামলার হিসাবটাও ধরা হয় নাই।
একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ২৪৪ বছর আগে, এর মধ্যে ২২৭ বছরই সে কোনো না কোনো দেশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বারাক ওবামা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়েই যুদ্ধবিরোধী বাগাড়ম্বর করেছিল, কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তারা তাদের প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গিয়ে দৃঢ়ভাবে সাম্রাজ‍্যবাদী যুদ্ধের নীতিই গ্রহণ করে।
বাইডেন প্রশাসনেরও প্রারম্ভিক হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে মধ‍্যপ্রাচ‍্য সংক্রান্ত মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিতে কোনো ছেদ ঘটার বদলে পূর্বেকার যুদ্ধংদেহী মনোভাবই বজায় থাকবে।
‘কোডপিংক’-এর ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন যুদ্ধ বাজেট অন‍্যান‍্য সকল দেশের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রায় সমান হলেও, এই ধারাবাহিক যুদ্ধের প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে খুব কমই অনূভুত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ রাজনীতিকরা বিশ্বব‍্যাপী যে হত‍্যালীলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে সে সম্পর্কে আমেরিকার জনগণ তথা গোটা পৃথিবীকেই মনে হয় এখন পর্যন্ত তারা অন্ধকারে রাখতে সক্ষম হয়েছে!

সূত্র : মিন্টপ্রেসনিউজ ডট কম
০৫ মার্চ ২০২১

ছবি: মার্কিন বোমায় বিধ্বস্ত ইরাকের মসুল শহর

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ