রাষ্ট্রায়ত্ত পাট ও চিনিকল চালুর দাবিতে ঢাকায় সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১

রাষ্ট্রায়ত্ত পাট ও চিনিকল চালুর দাবিতে ঢাকায় সংহতি সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || ঢাকা, ১৬ মার্চ ২০২১ : আধুনিকায়ন করে পাটকল চালু, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধ নয়- আধুনিকায়ন ও বহুমুখীকরণ, বদলি শ্রমিকসহ সকলের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, পিপিপি বা ব্যক্তি মালিকানার নামে লুটপাট বন্ধ, পাটচাষি-আখচাষি রক্ষা, বিরাষ্ট্রীয়করণ বাতিলের দাবিতে আজ ১৬ মার্চ দেশব্যাপি বিক্ষোভ ও ঢাকায় সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাট, চিনিকল লুটপাটের জন্য ব্যক্তি মালিকানায় তুলে দেওয়ার যে কোন সিদ্ধান্ত প্রতিহত করা হবে মর্মে হুসিয়ারি উচ্চারণ করেন নেতৃবৃন্দ।

দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এবং বাংলাদেশ আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত সংহতি সমাবেশে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম.এম আকাশ বলেন, সংবিধানে তিন ধরণের মালিকানার কথা বলা আছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় খাত অন্যতম। আজ এইখাতকে দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবে চালু না করে ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক।
তিনি বলেন, দক্ষ শ্রমিকদেরঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আধুনিকায়নের মাধ্যমে পরিচালনা করা হলে রাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন,পুরনো প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতিরা তাদের পাটকল চালাতে পারে নাই। ইতোমধ্যে ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া ৩৮টি পাটকলের মধ্যে মাত্র ৮টি চালু আছে। তাই ব্যক্তি মালিকানায় নতুন করে দিলে এইসকল মালিকরা চালাতে পারবেনা জেনেও জাতীয় সম্পদ লুটপাটের লক্ষ্য পুরনের পায়তারা করছে।
তিনি আরও বলেন, একদিকে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তি উদযাপন হচ্ছে ওপর দিকে লুটপাটের মহা উৎসবের অংশ হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রায়ত্ত খাতকে ব্যক্তি মালিকানায় তুলে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক-কর্মচারিদের স্বার্থ এবং জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী লুটেরা মালিকদের হাতে তুলে দেওয়ার নীলনক্সা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চলছে।
তিনি সকল শ্রমিক-কর্মচারি দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। এছাড়াও রাজশাহী, নাটোর, খুলনা, চট্টগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নরসিংদী, ঝিনাইদহ ও ডেমরা সহ ২২টি জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কামরূল আহসান, কৃষক নেতা মাহমুদুল হাসান মানিক, শ্রমিক নেতা আব্দুলকাদের হাওলাদার, আমিনুল হক আমিন, মাহবুব আলম, আবুল হোসাইন, শাহানা ফেরদৌসী লাকী প্রমুখ।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন-ক্ষেতমজুর নেতা ডা. ফজলুর রহমান, আইবিসি’র মহাসচিব কামরুল হাসান, আইনজীবি নেতা হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, লেখক ও কলামিষ্ট মাহা মির্জা প্রমুখ। সংহতি সমাবেশ পরিচালনা করেন, সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কিশোর রায় ও শরিফুজ্জামান শরিফ।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ