ঢাকায় দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন শুরু ৮ এপ্রিল

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২১

ঢাকায় দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন শুরু ৮ এপ্রিল

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট || ঢাকা, ৩১ মার্চ ২০২১ : বাংলাদেশ ৮ এপ্রিল দশম ডেভেলপিং-৮ (ডি-৮) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। সংগঠনটির সদস্যভুক্ত দেশগুলোর কাছ থেকে অধিকতর বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের লক্ষ্যে ভার্চুয়ালি সম্মেলনটির আয়োজন করা হচ্ছে।

আজ এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শীর্ষ সম্মেলনের পর, বাংলাদেশ দুই বছরের জন্য ডি-৮ এর সভাপতিত্ব করবে, যার ফলে বাংলাদেশ তার অসামান্য অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সাফল্যের কথা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের জন্য ডি-৮ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিস (সিসিআই)’র সভাপতিত্ব করবে, যা ঢাকাকে ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের কাছ থেকে অধিকতর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আনতে ঢাকাকে সহায়তা করবে।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শীর্ষ সম্মেলনটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন এবং অপর সাতটি ডি-৮ সদস্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন।
ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন, যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। সংগঠনটি আটটি উন্নয়নশীল মুসলিম দেশ নিয়ে গঠিত। সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক। শীর্ষ সম্মেলনে ডি-৮ এর বর্তমান সভাপতি তুরস্ক আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে।
মোমেন বলেন, শীর্ষ সম্মেলন শেষে, সদস্য-রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পূর্ণ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ডি-৮ প্লাটফরমটিকে অধিকতর কার্যকর করতে ‘ডি-৮ ডেসেনিয়েল রোডম্যাপ ২০২০-২০৩০’ এবং ‘ঢাকা ডিক্লিয়ারেশন ২০২১’ গৃহীত হতে পারে।
তিনি বলেন, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে, সদস্য রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যের পাশাপাশি ব্যবসা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, পরিবহণ, জ্বালানী এবং খনিজ সম্পদ ও পর্যটন- আন্তঃডি-৮ সহযোগিতার এই ছয়টি ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত নীতিমালা তৈরি করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী উদযাপনকালে এই ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন ঢাকার জন্য বহুমুখী কূটনীতির সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি ঢাকাকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে ভার্চুয়ালি ৫-৬ এপ্রিল ডি-৮ কমিশনের ৪৩তম অধিবেশন এবং ৭ এপ্রিল ১৯তম ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স অনুষ্ঠিত হবে। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ৫ এপ্রিল ডি-৮ বিজনেস ফোরাম ও প্রথম ডি-৮ ইয়ুথ সামিট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনটির প্রতিপাদ্য-‘পার্টনারশিপ ফর এ ট্রান্সফরমেটিভ ওয়াল্ড: হার্নেসিং দ্য পাওয়ার অব ইয়ুথ এন্ড টেকনোলোজি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইয়ুথ সামিটে ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ১৫০ তরুণ প্রতিনিধি অংশ নেবে।
তরুণদের উদ্ভাবন ও সম্ভাব্যতা তুলে ধরতেই এই প্রতিবাদ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মোমেন বলেন, দি ইউনিয়ন অব চেম্বার্স এন্ড কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব তুর্কি (টিওবিবি) পরবর্তী দুই বছরের জন্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও ব্রিফিংকালে কথা বলেন।
গত বছরের মে মাসে দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এটি বিলম্বিত হয়। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান উন্নয়নে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে বৈচিত্র ও নতুন সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে ডি-৮ গঠিত হয়। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ২য় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ