শ্রমজীবি ও দরীদ্রদের আপদকালীন নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিন: জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন

প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২১

শ্রমজীবি ও দরীদ্রদের আপদকালীন নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিন: জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন

বিশেষ প্রতিনিধি || ঢাকা, ১২ এপ্রিল ২০২১ : জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরূল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন আজ এক বিবিৃতিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়া ও মৃত্যুর মিছিল দির্ঘ হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।অন্যদিকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা না করেই কারখানা চালু রাখায় শ্রমিকরা স্বাস্থঝুকিতে রয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন করে লকডাউনের কারণে কর্মে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীরা বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের পরিবার নিয়ে জীবনধারণ সংকটে পড়বে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিক ও শ্রমজীবি মানুষের সংখ্যা শতকরা ৮৫%। এরা তাদের আয়ের অর্থ দিয়ে শুধু নিজেরাই বাঁচে না; গ্রামীণ অর্থনীতিকেও সচল রাখে। দেশের এ্ই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবিকা অর্জনের পথ বন্ধ হয়ে কঠিন সংকটে নিপতিত হবেন। পরিস্থিতি মোকাবেলা ও সংকট উত্তরনে তাদের জরুরি খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন। বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রথম ধাপের করোনাকালে সরকার জীবন-জীবিকা রক্ষা ও উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে বেশ কিছু ‘সহায়তা কর্মসুচি’ গ্রহন করেছিল। কিন্তু সেই সহায়তার বেশির ভাগই গেছে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস মালিকদের ঘরে। সেদিন দাবী উঠেছিল সরকারের প্রদত্ত প্রনোদোনা তহবিলে থেকে সকল অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক ও শ্রমজীবিদের জন্য আপৎকালীন বিশেষ তহবিল গঠন, জনপ্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত তদারকি কমিটির মাধ্যমে তা তাদের মাঝে দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহনের, কিন্তু তা হয়নি। জানা যায় সরকার ঐ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবার ও কাজ হারানো শ্রমিকদের সহায়তা দিতে ২৭৫০ কোটি টাকার তহবীল বরাদ্দ করেছিল। বরাদ্দকৃত সেই তহবীলের ২০০০ কোটি টাকা বিতরণ করা যায়নি। আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে শ্রমজীবি মানুষ তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিবৃতি তারা, পরিস্থিতি মোকাবেলায় শ্রমজীবি মানুষের প্রয়োজন মিটাতে সেই অব্যবহৃত তহবীলের ২০০০ কোটি টাকার সাথে আরো ৩০০০ কোটি টাকা যোগ করে মোট ৫০০০ কোটি টাকার নতুন সহায়তা তহবীল গঠনের আহবান জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ, গার্মেন্টস মালিকদের সমালোচনা করে বলেন, তারা নিজেদের স্বার্থে কঠোর লকডাউনেও কারখানা খোলা রেখে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর যে আবদার করছেন তা শুধু অমানবিকই নয়, বিবেক বর্জিত নিষ্ঠুর মানষিকতার বহিঃপ্রকাশ। বিবৃতিতে তারা, করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের চিকিৎসা পাওয়ার অগ্রাধিকার ও বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।