ইদানিং গুলি করার একটা ট্রেন্ড চালু হয়ে গেছে

প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২১

ইদানিং গুলি করার একটা ট্রেন্ড চালু হয়ে গেছে

কাজী আবদুল মোতালেব জুয়েল || ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২১ : কিছু হলেই ইদানিং গুলি করার একটা ট্রেন্ড চালু হয়ে গেছে মনে হয়। আর সেটা যদি শ্রমিক হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই! কিন্তু কেন? আপনি পুলিশ, আপনিও মানুষ মানলাম। তর্কের খাতিরে মেনেই নিলাম আপনাদের ইট-পাটকেল মেরেছে অশিক্ষিত কিংবা স্বল্প শিক্ষিত শ্রমিকেরা। কিন্তু তার জবাবে আপনাদের (পুলিশ) গুলি ছুঁড়তে হবে! জনগণের বুককে জনগণের টাকায় কেনা ঐ বুলেটের টার্গেট পয়েন্ট করার সময় আপনাদের বিবেক-বুদ্ধি সামান্যতম কাজ করে না!

তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে মস্তিষ্কে। সমস্যা রাষ্ট্রযন্ত্র যাদের নখদর্পনে তাদের চিন্তা শৈলীতে। সমস্যা বেনিয়াদের হাতের মুঠোয় রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের জিম্মি হয়ে যাওয়াতে।

ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শ্রমিকের পরিবারের দায়িত্ব কি রাষ্ট্র নিবে? আর দায়িত্ব নিলেই কি তরতাজা এতগুলো প্রাণের মূল্য দেয়া সম্ভব হবে? বরাবরের মত এই খুনের বিচারকার্যও কি দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যকে কেবলমাত্র অপসারণ করার মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে?

শ্রমিকের পক্ষে সাধারণ মানুষের আবেগ জাগ্রত হোক। এই শোষণনীতির অবসান ঘটুক। শ্রমিক হত্যার তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি জানাই।
#
কাজী আবদুল মোতালেব জুয়েল
সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী