সিলেট ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২১
ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়েছিলেন বিরসা মুন্ডা। ৯ই জুন তাঁর ১২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা সহ।
১৫ নভেম্বর ১৮৭৫ সালে তৎকালিন বিহার বর্তমান ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাচির উলিহাতু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ১৮৯৯-১৯০০ সালে ‘মুন্ডা বিদ্রোহ’ সংগঠিত। এই বিদ্রোহকে মুন্ডারি ভাষায় বলা হয় ‘উলগুলান’। যার অর্থ ‘প্রবল বিক্ষোভ’।
ব্রিটিশদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরে বিরসাসহ তাঁর শতাধিক সঙ্গী গ্রেপ্তার হন। বিচারে তাঁর ফাঁসির হুকুম হয়। ফাঁসির আগের দিন ৯ ই জুন ১৯০০ সালে বিষ্ময়করভাবে রাঁচি জেলের অভ্যন্তরে খাদ্যে বিষ প্রয়োগের ফলে তাঁর মৃত্যু ঘটে। ধৃত অন্যান্য দুজনের ফাঁসি, ১২ জনের দ্বীপান্তর এবং ৭৩ জনের দীর্ঘ কারাবাস হয়।
বিরসার অভীষ্ট উদ্দেশ্য ছিলঃ
* ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা।
* জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে মুন্ডাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য।
* বিরসার মতে ইউরোপীয়দের প্রভাবমুক্ত পৃথিবীতেই শুধু এ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং
* তারই জন্য দরকার মুন্ডারাজ।
ষড়যন্ত্রে ভীত ব্রিটিশরা ১৮৯৫ সালে বিরসাকে দুবছরের জন্য কারারুদ্ধ করে। কিন্তু বিরসা আরও বেশি বিপ্লবী চেতনা নিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। ১৮৯৮-৯৯ সালে গভীর জঙ্গলে একাধিক নৈশসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় বিরসা ঠিকাদার, জায়গিরদার, রাজা, হাকিম আর খ্রিস্টানদের হত্যা করার জন্য তাঁর অনুসারীদের প্রতি আহবান জানান।
বিপ্লবীরা থানা, গির্জা, সরকারি কর্মকর্তা ও মিশনারিদের আক্রমণ করে। ১৮৯৯ এর বড়দিনের প্রাক্কালে মুন্ডারা রাঁচি ও সিংভূম জেলার ছয়টি থানা এলাকার গির্জায় অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করে। ১৯০০ সালের জানুয়ারি মাসে তারা থানাগুলি আক্রমণ করে। ইতোমধ্যে গুজব রটে যে, ৮ জানুয়ারি তারা রাঁচি আক্রমণ করবে। এতে সেখানে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। অবশ্য ৯ জানুয়ারি বিপ্লবীরা পরাজিত হয়। বিরসাকে বন্দি করা হয়।।
হাফিজ সরকার
কলামিস্ট-লেখক
কুষ্টিয়া জেলা সাধারণত সম্পাদক ও
কেন্দ্রীয় সদস্য
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি
তথ্যসুত্র :
তারাশংক ভট্টাচার্য
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D