করোনা প্রতিরোধে আমাদের করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা

প্রকাশিত: ৫:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২১

করোনা প্রতিরোধে আমাদের করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা

বিশেষ প্রতিনিধি | রংপুর, ০৫ জুলাই ২০২১ : তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে আজ সোমবার (৫ জুলাই ২০২১)বিকালে করোনা প্রতিরোধে আমাদের করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারন সম্পাদক শফিয়ার রহমান। মূখ্য আলোচনায় ছিলেন কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ অনন্যা ভট্টাচার্য।

টেলি মেডিসিন সেবা গ্রহণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ডাঃ বিউটি আকতার।
মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোউত্তর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের স্টেয়ারিং কমিটি সদস্য গেরিলা লিডার ড. এস এম শফিকুল ইসলাম কানু, স্টেয়ারিং কমিটির সদস্য সাদিকুল ইসলাম দুলাল, কমিটির সদস্য ওবায়দুর রহমান, আশরাফুল আলম আশরাফ প্রমুখ।
মূখ্য আলোচক ডাঃ অনন্যা ভট্টাচার্য বলেন, করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব আগেও ছিল। কিন্তু যখন মানুষ থেকে মানুষের মাঝে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল তখন বিশ্ববাসী আতঙ্কগ্রস্থ হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকে জয় করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এই মাস্ক পরিধান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর।
দ্বিতীয়ত: আমাদেরকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ঠিকা নিতে হবে। নিজের পরিবার, গ্রাম, মহল্লা পাড়াস্থ ইউনিয়নে, উপজেলা, জেলায় অর্থাৎ সর্বত্র মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। মৃদু আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিজ বাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসা দিতে হবে। অপরদিকে যাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪% এর নীচে তাকে অবশ্যই হাসপাতালে কিংবা করোনা ইউনিটে ভর্তি করাতে হবে। সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। হাত পরিষ্কার না করে মুখে কিংবা নাকে হাত দেয়া যাবে না।
ডাঃ বিউটি আখতার বলেন, করোনা বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তায় ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করে পরামর্শ নেয়া যাবে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সনাক্তের হার বেশি। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সভাপতি বক্তব্যে নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেয়ার এক বছর পরেও প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে আইসিসিইউ বেড স্থাপন করা হয়নি। ফলে আইসিসিইউ বেডের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকা বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৭৮% আইসিসিইউ বেড রয়েছে। অথচ রংপুর বিভাগে সরকারী হাসপাতালে আইসিসিইউ বেডের সদস্য খুবই কম। রংপুরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে।