বিসিকের উদ্যোগে আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন-২০২১ অবহিতকরণ কর্মশালা

প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২১

বিসিকের উদ্যোগে আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন-২০২১ অবহিতকরণ কর্মশালা

ঢাকা, ০৮ অক্টোবর ২০২১ : বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা (বিসিক)’র উদ্যোগে আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন-২০২১ সম্পর্কে লবণ উৎপাদনকারিসহ স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের এ আইনের বিধি-বিধান অবহিতকরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

বাংলাদেশের অন্যতম লবণ জোন নারায়ণগঞ্জে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর ২০২১) নারায়নগঞ্জ ক্লাবে এক কর্মশালা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিসিক’র এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বিসিক’র চেয়ারম্যান মোঃ মোশতাক হাসান এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিসেফ, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন (গেইন) ও নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল (এনআই) বাংলাদেশ’র র সার্বিক সহযোগিতায় বিসিক আয়োজিত এ কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, পরিশোধন, সংরক্ষণ ও সরবরাহ বাধ্যতামূলক করে ভোক্তা পর্যায়ে তা সরবরাহ বা বিপণন নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট বিধান রেখে আইন মন্ত্রণালয় গত ২৪ জুন আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন-২০২১’র প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এ আইনের ফলে আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন – ১৯৮৯ রহিত হয়।
নতুন আইনে (আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন-২০২১) আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহ, উৎপাদন, পরিশোধন, সংরক্ষণ নিশ্চিত করার বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি করে ১৪ সদস্যের ‘জাতীয় লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটি’ গঠনের বিধান রয়েছে। এছাড়া,আইনে জেলা ও প্রান্তিক লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিধানও রাখা হয়েছে। নতুন আইনে, আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, সংরক্ষণ সরবরাহ ও পাইকারি বিক্রি করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এছাড়া আইনে, লবণে আয়োডিনযুক্তকরণ ও এর পরিমাণ, প্যাকেটিং, লেভেলিং, নিবন্ধন নবায়ন, নিবন্ধন বাতিল, রেজিস্টার কর্তৃক পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ, লবণ প্রক্রিয়াকরণ শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা, আইনের বিধি লংঘনজনিত অপরাধের দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া, বিধি প্রণয়নের সক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে বলে কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়।
জাতীয় লবণনীতি অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায়‘ বিসিক’ লবণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিক’র লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষে সার্বিক সহায়তা প্রদান এবং নিয়মিতভাবে লবণ উৎপাদন ও মজুদ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে মূলত সপ্তাহভিত্তিক লবণ উৎপাদনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।