বিপ্লবী স্ফুলিঙ্গ চে গুয়েভারা স্মরণে

প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২১

বিপ্লবী স্ফুলিঙ্গ চে গুয়েভারা স্মরণে

চে গুয়েভারা-

চে মানে বিপ্লব
চে মানে বিপ্লবী স্ফুলিঙ্গ,
ল্যাটিন আমেরিকা সহ দেশে দেশে
যে বিপ্লবী স্ফুলিঙ্গ তীব্র তেজে
শোষিত নিপীড়িতের মানসজগৎয়ে
দ্রোহের দাবানল সৃষ্টি করেছিল
চে-দাবানলের লেলিহান শিখা
শোষক নিপীড়কদের
আজও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে যাচ্ছে।
চে গুয়েভারা –
যাঁর চিন্তা-চেতনায় জাগ্রত ছিল
পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী
বিদ্রোহ লড়াই সংগ্রাম,
বিপ্লবের মধ্য দিয়ে
পুরাতন সমাজ ভেঙ্গে
নতুন সমাজ গড়ার অঙ্গীকার।
যাঁকে নিয়ে
কিউবার মহান কমিউনিস্ট নেতা-
বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রো
বলেছিলেন,” আমি নতজানু হই –
সেই ব্যতিক্রমী যোদ্ধার কাছে
যার নাম চে গুয়েভারা।”
সেই মহান বিপ্লবী চে গুয়েভারা
১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর শহীদ হন।
এদিন- মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নির্দেশে –
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদপুষ্ট
বলিভিয়ার স্বৈরাচারী সরকার ও
তার পেটুয়া বাহিনী
গুলি চালিয়ে চে গুয়েভারাকে
নির্মম নৃশংসভাবে হত্যা করে।
কিউবা ও ল্যাটিন আমেরিকার
মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক,
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আতঙ্ক,
ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রো-এশিয়া সহ
বিশ্বের শ্রমিক,কৃষক, তরুণ- তরুণী,
মেহনতি মানুষের মুক্তির
লড়াই সংগ্রামের অন্যতম দিকনির্দেশক,
মানবতাবাদী কবি,সাম্যবাদী চে গুয়েভারা,
যিনি বিশ্বের তরুণ তরুণী –
মেহনতি মানুষকে উজ্জীবিত করছেন,
প্রেরণা যোগাচ্ছেন,
এই মহান নেতা চে গুয়েভারা
১৯২৮ সালে ১৪ জুন আর্জেণ্টিনার রোজারিওতে
এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পরিবারের সকলে মুক্ত সংস্কৃতি মনা হওয়াতে
অল্প বয়স থেকে তিনি প্রগতিশীল সংস্কৃতি মনা ও বিজ্ঞানমনস্ক হিসাবে গড়ে উঠেন।
ডাক্তারি পড়ার উদ্দেশ্যে
১৯৪৮ সালে তিনি মেডিকেলে ভর্তি হন।
ডাক্তারি পড়া অবস্থায় তাঁর ভ্রমণের নেশা জাগে।
১৯৫১ সালে বন্ধু আলবাতে গ্রাণ্ডোকে নিয়ে
তিনি মটর সাইকেল যোগে ভ্রমনে বাহির হন।
আর্জেন্টিনা সহ চিলি, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা,
পেরুর বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করেন,
এসব দেশে গরিব- শ্রমিক,কৃষক,
মেহনতি মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে,
বিশেষত পেরুর লেবার কলোনির
শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশা
তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে।
তাদের মানবেতর অবস্থা –
তাঁর চিন্তা-চেতনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনে।
চে গুয়েভারা পেরুর লেবারদের সাথে
বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুললেন।
এসব অঞ্চলের কমিউনিস্টদের সাথেও
তাঁর যোগাযোগ হয়।
যা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলে।
পেরুতে এসে লাটিন আমেরিকার অন্যতম মার্কসবাদী তাত্ত্বিক নেতা,
পেরুর সোস্যালিসষ্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা-
কার্লোস মারিয়াতোগির বিপ্লবী চিন্তা-চেতনা
চে গুয়েভারাকে প্রভাবিত করে। মারিয়াতোগির সংস্পর্শে এসে
চে গুয়েভারা প্রগতিশীল রাজনীতিতে জড়িত হন।
মার্কসবাদ অধ্যয়ন ও অনুশীলন,
অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি বিশ্লেষণ ও
সমস্যা সমাধানে শুরু হয় তাঁর পথচলা।
বাস্তবভিত্তিক প্রায়োগিকে
সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখা,
তখনই তাঁর উপলব্ধি হয় যে,
লড়াই সংগ্রাম বিপ্লব ছাড়া
লাটিন আমেরিকার জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়।
তখনকার সময়ে ল্যাটিন আমেরিকায়
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও
তার দালালদের শাসন শোষণ
লুণ্ঠন নিপীড়ন দিনদিন বাড়ছিল।
লাটিন আমেরিকার জনগণের মুক্তির জন্য
চে গুয়েভারা সশস্ত্র সংগ্রামের পথে
অগ্রসর হওয়াকে প্রধান্য দেন।
লাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ সফর শেষে
তিনি আবার আর্জেণ্টিনায় ফিরে আসেন।
ডাক্তারি পাশ করে পুনরায় ভ্রমণে বের হন।
বলিভিয়া, ইকুয়েডর, পানামা, পেরু, হণ্ডরাস,
এল সালভেদর, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা ভ্রমন করেন, ১৯৫৩ সালে ডিসেম্বর মাসে তিনি গুয়েতেমালায় যান, এখানে প্রগতিশীল অর্থনীতিবিদ –
হিল্ডা গাদিয়া আকোস্তার সাথে তাঁর পরিচয় হয় এবং উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
হিল্ডার সংস্পর্শে এসে
চে গুয়েভারা মার্ক্সীয় রাজনীতি অর্থনীতি
আরও গুরুত্ব দিয়ে
অধ্যয়ন অনুশীলন গবেষণা করেন।
গুয়েতমালায় নির্বাসনে থাকা
কমরেড ফিদেল কাস্ত্রোর কিউবান সহকর্মীদের সাথে এখানে কমরেড চে গুয়েভারার সাক্ষাৎ হয়।
১৯৫৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে চে গুয়েভারা
মেক্সিকো আসেন, এখানেই কিউবার বিপ্লবী নেতা
ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এরপর হতে চে গুয়েভারার জীবন আরও
পাল্টে যায়, সুনির্দিষ্টভাবে ভাব লক্ষ্য স্থির করে
বিপ্লব, শোষণ মুক্ত সমাজ কায়েমের লক্ষ্যে
তাঁর অগ্রযাত্রা শুরু হয়।
ফিদেল কাস্ত্রো ও চে গুয়েভারার উদ্যোগেই
কিউবার বিপ্লবী লড়াই সংগ্রাম পরিচালনায়,
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পুতুল –
বাতিস্তা সরকারকে পরাজিত করার
বিপ্লবী লড়াই সংগ্রামে
চে গুয়েভারা হয়ে উঠেন
ফিদেল কাস্ত্রোর প্রধান সহযোগী।
একজন বিপ্লবী সেনাপতি ও
ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোদ্ধা হিসাবে
কিউবার জনগণের মুক্তি লড়াই সংগ্রাম বিপ্লবে
চে গুয়েভারা সফলতার পরিচয় দেন।
ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে চে গুয়েভারা সহ
কিউবার বিপ্লবী বাহিনী
১৯৫৬ সালের ২৬ নবেম্বর
জাহাজে করে মেক্সিকো থেকে কিউবা আসেন।
বিপ্লবীরা সাগর উপকূলে নামার পর
বাতিস্তা সরকারের পেটুয়া বাহিনী
বিপ্লবীদের অতর্কিতে আক্রমণ করে,
তাদের গুলিতে অনেক বিপ্লবী শহীদ হন।
কাস্ত্রো ও চে সহ বেঁচে যাওয়া বিপ্লবীরা
পর্বতাঞ্চলে আশ্রয় নেন এবং
গেরিলাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
১৯৫৭ সালে চে গুয়েভারাকে বিপ্লবী বাহিনীর
কমান্ডার পদে উন্নীত করা হয়।
১৯৫৭ –১৯৫৯ ইং সময়ে বিপ্লবী সমরনায়ক
চে গুয়েভারা একাধিক লড়াই সংগ্রামে
সাহসী ভূমিকা রাখেন।
১৯৫৯ সালে জানুয়ারি মাসে
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের লেজুড়
বাতিস্তা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে
কিউবার বিপ্লব সম্পন্ন হয়।
বিপ্লবী সরকার ক্ষমতায় বসে
১৯৫৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে
চে গুয়েভারাকে কৃষি সংস্কার ইনস্টিটিউটের
প্রধান নিযুক্ত করেন।
একই বছর চে কে জাতীয় ব্যাংকের সভাপতি,
১৯৬১ সালের শেষ দিকে
তাঁকে শিল্পমন্ত্রী নিযুক্ত নিযুক্ত করা হয়।
১৯৬৫ সালে কিউবার সকল কমিউনিস্টদের নিয়ে
বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ-
কিউবার কমিউনিস্ট পার্টি গঠন হলে
চে গুয়েভারাকে
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা হয়।
যাঁর মাথায়-দেহমনে বিপ্লবে নেশা,
তিনি কি এক স্থানে বসে থাকতে পারেন!
না, বিপ্লবী চে গুয়েভারা
কিউবায় স্থিতি হয়ে থাকতে পারেননি।
অন্যান্য দেশে শোষণ মুক্ত সমাজ কায়েমের জন্য
১৯৬৫ সালের এপ্রিলে
তিনি কিউবা থেকে বিদায় নিয়ে কাঙ্গো যান।
‘৬৫ সালের ডিসেম্বরে
তিনি আবার কিউবা ফিরে আসেন।
‘৬৬ সালের ডিসেম্বরে বলিভিয়া যান,
সেখানে মার্কসবাদী গেরিলাদের সাথে
একত্র হয়ে গেরিলাযুদ্ধ শুরু করেন।
একপর্যায়ে ১৯৬৭ সলে মার্কিন মদদপুষ্ট বলিভিয়া সামরিক জান্তা তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নির্দেশে বলিভিয়ার সামরিক জান্তা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি শহীদ হওয়ার পর হতে এখনও পর্যন্ত
চে বিশ্বে আলোচিত হচ্ছে ,
জনতা চে গুয়েভারাকে
নতুন নতুন ভাবে আবিষ্কার করছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে –
শ্রেণী সংগ্রাম,
জাতীয় সংগ্রাম,
অঞ্চল ভিত্তিক সংগ্রাম-
নব নব ভাবে
মার্কসবাদী- লেনিনবাদী
বিপ্লবী সংগ্রামে রূপ নিচ্ছে।
জাতীয়,
আঞ্চলিক,
ভৌগলিক অবস্থার নিরিখে বিভিন্ন জাতি,
বিভিন্ন দেশের সমস্যা-
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও
লুটেরা পুঁজিবাদ বিরোধী-
লড়াই সংগ্রামে পরিনত হচ্ছে।
এসব লড়াই সংগ্রামে
চে গুয়েভারা-
আদর্শিক চেতনা হিসাবে
শ্রমিক,কৃষক, নারী,যুবক,ছাত্র,
বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত করছে।
সাম্রাজ্যবাদ চে গুয়েভারাকে
নির্মম ভাবে হত্যা করেছে।
চে এর দৈহিক মৃত্যু ঘটেছে,
কিন্তু তাঁর চেতনার কি মৃত্যু হয়েছে?
না চে-চেতনার মৃত্যু হয়নি।
তাঁর ছবি-
তেজদ্বীপ্ত চাহনিতে
জ্বলজ্বল করে বিপ্লবের আগুন জ্বলছে।
লাটিন আমেরিকা, আফ্রো-এশিয়া সহ
বিশ্বের শোষিত, নিপীড়িত
মেহনতি মানুষের
লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই
জেগে উঠছে চে এর আদর্শিক চেতনা।
মার্কসবাদ শুধু তত্ত্ব নয়,
মার্কসবাদ হলো –
তত্ত্ব-প্রয়োগ-তত্ত্ব চক্রের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায়
চলমান দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদী দর্শন।
চে গুয়েভারা-
মার্কসবাদী- লেনিনবাদী তত্ত্ব গ্রহণেই থেমে থাকেনি। তিনি মার্কসবাদ লেনিনবাদকে
প্রায়োগিক লড়াই সংগ্রামে নিয়ে গেছেন।
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন-
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ,
পুঁজিবাদী শাসন শোষণ লুণ্ঠন নিপীড়নের বিরুদ্ধে
শুধু নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলেই
শোষণ লুণ্ঠন নিপীড়ন বন্ধ হবেনা।
অর্থাৎ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই শেষ কথা নয়,
এর সাথে যোগ করতে হবে বিদ্রোহ বিপ্লব।
তাঁর মতে- সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা
আপনা আপনি শেষ হবেনা,
তার জন্য চাই আরও অনেক অনেক ভিয়েতনাম,
অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদ শান্তিপূর্ণভাবে ভিয়েতনাম ছাড়েনি, লড়াই সংগ্রাম বিপ্লবের মধ্য দিয়েই
ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টি,
ভিয়েতনামের জনগণ
সাম্রাজ্যবাদীদের তাড়ায়ে
পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদ ও
শোষকদের পরাজিত করে
শোষণমুক্ত সমাজ কায়েম করেছে।
রুশ বিপ্লব, চীন বিপ্লব,
ভিয়েতনাম বিপ্লব থেকে শিক্ষা নিয়ে
কমরেড চে গুয়েভারা –
আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন।
মার্কসবাদ, লেনিনবাদের মতাদর্শিক চেতনায়-
চে গুয়েভারার তেজদ্বীপ্ত লড়াকু প্রতিচ্ছবি
জীবন্ত হয়ে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে
মেহনতি মানুষের মাঝে চড়িয়ে পড়ছে।
আজ বিশ্বে জনতার মধে
চে এর বহুমাত্রিক অবস্থান,
শ্রমিক,কৃষক,নারী,যুবক,ছাত্র,
মেহনতি মানুষের সংগ্রামে
তিনি বিপ্লবের প্রেরণা।
বিশ্বের পুঁজিবাদীরা –
তাদের তৈরি পণ্য আকর্ষিত করা,
বেশি বেশি বিক্রয় করার জন্য
চে এর ছবিকে ব্যবহার করছে।
শতশত কোটি জনতা তাদের খরিদা
পন্যের মাধ্যমে চে গুয়েভারাকে
জনতার মাঝে উপস্থাপন করছে।
পুঁজিবাদীরা চে- এর চেতনাকে
মলিন করতে চেয়েছিল।
কিন্তু চে- এর বিপ্লবী চেতনা বিলীন না হয়ে,
তার ছবি ব্যবহারের ফলে বিশ্বের
তরুণ তরুণী সংগ্রামী জনতা
তাঁকে নব নব ভাবে জানছে, চে-
তাদের আরও বেশি প্রভাবিত করছেন।
আজকের বিশ্বে চে এর আদর্শিক চেতনা
শ্রমিক, কৃষক,মধ্যবিত্ত, ছাত্র, যুবক, নারী,
কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ সহ
বিপ্লবী মেহনতি মানুষকে সংগ্রামী করে তুলছে।
তাঁর লাড়াকু ও সংগ্রামী জীবন-
বিশ্বের শোষিত নিপীড়িত জনতা,
তরুণ তরুণীরা তাদের সার্ট গেঞ্জিতে বুকের অংশে,
টুপিতে বিপ্লবের প্রতীকী চিহ্ন হিসাবে
চে গুয়েভারার ছবি ধারন করছে।
লাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া সহ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে-
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের
নগ্ন হস্তক্ষেপ সহ
শ্রেণী, জাতি, অঞ্চল, বর্ণ,
সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করছে। এবং
নয়া উপনিবেশিক শোষণ লুণ্ঠন
আধিপত্য বিস্তার করছে এবং
তা অব্যাহত রাখতে সাম্রাজ্যবাদ,
লুটেরা পুঁজিবাদ,সাম্প্রদায়িকতাবাদ
এই তিন অপশক্তির শোষণ লুণ্ঠন
আধিপত্যবাদী অপতৎপরতা দিনদিন বাড়ছে।
এর বিরুদ্ধে বিশ্ব ব্যাপী ভিন্ন ভিন্ন দেশে
ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে সাম্রাজ্যবাদ,
লুটের পুঁজিবাদ,সাম্প্রদায়িকতাবাদ বিরোধী
লড়াই সংগ্রাম তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
আর এসব লড়াই সংগ্রামে
বিপ্লবীদের প্রেরণা জোগাচ্ছে
মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন, স্তালিন, মাও সেতুং,
হো চি মিন, ফিদেল কাস্ত্রো ও চে গুয়েভারা।
ভবিষ্যতেও আমাদের চিন্তা চেতনায়,
লড়াই সংগ্রামে চে গুয়েভারা
বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি হয়ে
আমাদের উজ্জীবিত করবে,
সাহসী প্রদক্ষেপ নিতে প্রেরণা জোগাবে।
মহান বিপ্লবী, তারুণ্যের প্রতীক
কমরেড চে গুয়েভারার মৃত্যুদিবসে
তাঁকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও লাল সালাম।

০৮ অক্টোবর ২০২১ ইং।