শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বন্ধ থাকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২১

শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বন্ধ থাকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান

ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০২১: বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১ উপলক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুল আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা কোভিডকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

ঘাসফুল চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব ও ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল করিম, ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী আইসিডিডিআরবির মিউকোসাল ইমোনোলজি এন্ড ভ্যাকসিনোলজি ইউনিটের প্রধান ড. ফেরদৌসী কাদরী, ঘাসফুলের প্রধান উপদেষ্টা ডা. সাদিয়া আফরোজ চৌধুরী, সাবেক সচিব ও ঘাসফুল সাধারণ পরিষদ সদস্য মাফরুহা সুলতানা এবং ঘাসফুলের সিইও আফতাবুর রহমান জাফরী, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. নায়লা জামান খান, সিনেসিস হেলথ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ডা. নিজামউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত বলেন, দেশের উন্নয়নে একজন মানুষ কেবলমাত্র নিজেদের কাজের দায়িত্ব থেকে নয়, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির মাধ্যমে শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষায় আরও কার্যক্রম গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল করিম বলেন, শিশুর সুরক্ষায় বিশ^ এবং রাষ্ট্র সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। স্কুলে মূলশিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল শিক্ষার গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে শিশু সুরক্ষার আইন রয়েছে এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে ড. ফেরদৌসী কাদরী বলেন, বাংলাদেশে টিকা নেওয়া পর শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে। তবে রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রযুক্তিগত উপকরণের অভাবে শিশুদের দ্রুত রোগনির্ণয় অনেকক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
ঘাসফুলের প্রধান উপদেষ্টা ডা. সাদিয়া আফরোজ চৌধুরী বলেন, করোনায় মানুষের আয় কমেছে, যার প্রভাব পড়ছে শিশুদের উপর। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. নায়লা জামান খান তার বক্তব্যে বলেন, শিশু বিকাশ কেন্দ্রে শিশুদের স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের ৮০ শতাংশ সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। এটা পর্যাপ্ত নয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নে শিশু বিকাশ কেন্দ্রের মাধ্যমে আরও কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিশুদের পরাণ-ঘাসফুলের শিশু বিষয়ক কার্যক্রমের উপর ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ