শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই ’৭২-এর সংবিধানের মূল লক্ষ্য : স্পিকার

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২১

শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই ’৭২-এর সংবিধানের মূল লক্ষ্য : স্পিকার

ঢাকা, ০৪ নভেম্বর ২০২১ : ’৭২-এর সংবিধানকে দীর্ঘ ২৪ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিফলন উল্লেখ করে বলেছেন, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই ’৭২-এর সংবিধানের মূল লক্ষ্য।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ৫০তম সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব।
এসময়, অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষাকবচ ‘৭২-এর সংবিধান’ সময়োপযোগী বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
স্পিকার বলেন, গণপরিষদের ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন অনেক রক্তের বিনিময়ে এই সংবিধান। শাসনতন্ত্র ব্যতীত কোন দেশ পাল ও মাঝিবিহীন নৌকার সমান বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। শাসনতন্ত্রে মানুষের অধিকার ও কর্তব্য সংবলিত থাকবে, যার প্রতিফলন আমরা তার ৪ নভেম্বর গণপরিষদে প্রদত্ত ভাষণে দেখতে পাই। বাহাত্তরের সংবিধানকে বঙ্গবন্ধু ‘জনগণের শাসনতন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন।
স্পিকার বলেন, ৪৮-৪৯থেকে শুরু করে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৬-এর ৬দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে রচিত হয়েছে বাহাত্তরের সংবিধানের ভীত ও চারটি মৌলিক স্তম্ভ- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সমগ্র প্রেক্ষাপটকে পাল্টে দেয়া হয়। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে এবং সংবিধানকে নানাভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ ও মানুষের আর্থসামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যে সংগ্রাম করেছেন, তার ভিত্তিতে রচিত বাহাত্তরের সংবিধানের লক্ষ্য অর্জনে সকলের অব্যাহত প্রচেষ্টা জরুরি।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও আরমা দত্ত এমপি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্যরিস্টার আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও রামেন্দু মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।