শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা কাল

প্রকাশিত: ১১:০০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২১

শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা কাল

সৈয়দা হাজেরা সুলতানা শানজিদা, বিশেষ প্রতিনিধি | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ১৫ নভেম্বর ২০২১ : অাগামীকাল শ্রীমঙ্গলে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

অপরাজিতা’র নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের অাওতায় ডেমোক্রেসি ওয়াচ, রূপান্তর, খান ফাউন্ডেশন ও প্রিপ ট্রাস্টের যৌথ ব্যবস্থাপনায় অাগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর ২০২১) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার কৃষি অফিসের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

অপরাজিতা প্রকল্পের জেলা কো-অর্ডিনেটর মর্জিনা আক্তারের উপস্থাপনায় ও উপজেলা কো-অর্ডিনেটর তাহমিনা পারভীনের সহযোগিতায় এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান; বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব বেভুল ও সাধারণ সম্পাদক সহিদ হোসেন ইকবাল, জাতীয় পার্টির মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: কামাল হোসেন, ন্যাশনাল অাওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নিহারেন্দু হোম সজল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি দেওয়ান মাসুকুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জলি পাল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি হাজী লিটন অাহমদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রীমঙ্গল পৌর শাখার সভাপতি শেখ জুয়েল রানা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি হাজী এলেমান কবির ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)- এর উপজেলা শাখার সংগঠক প্রীতম দাশ প্রমূখ।

এতে অপরাজিতাদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সদস্যগণ।

অপরাজিতা প্রকল্পের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর তাহমিনা পারভীন জানান, “নারী জনপ্রতিনিধিরা শুধু নারীদের নয়, প্রতিনিধিত্ব করেন পুরুষ সমাজেরও। সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে নারী-পুরুষের সমানধিকার তথা ন্যায্য সুযোগ সুবিধা লাভের দিকনির্দেশনার আলোকে এ যাবত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যারমধ্যে ১৯৯১’র সংসদ নির্বাচনের পরে নির্বাচন কমিশনের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী প্রথমবারের মতো দলীয় রাজনীতিতে সকল কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শতকরা ৩০ ভাগ নারীর জন্য সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের একটি বড় সুযোগ তৈরী হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোতে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সভাপতি বা সম্পাদক পদে নারীদের নির্বাচিত হতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে নারীদের কি করণীয় তা আলোচনা করাটা খুবই জরুরী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোতে যে নারীরা রয়েছেন তাদের চ্যালেঞ্জগুলো শুনা এবং সে অনুযায়ী এগুনোটা এখন সময়ের দাবী।”

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান জানান, “নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন যদি না হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষমতায়ন হলেও তার কাঙ্খিত ফল আমরা দেখতে পাবো না৷ আমি মনে করি, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন অনেক বড় বিষয়৷ এটা চর্চার মাধ্যমে আসতে হবে৷ সেটার জন্য চর্চার ক্ষেত্রটা তৈরি করতে হবে আমাদেরকে৷
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে একটি রাজনৈতিক বিশ্বাস। এই দৃষ্ঠিভঙ্গী থেকে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ