১১১ জন যুদ্ধাহতের যুদ্ধদিনের কথা ও ৪৬৫টি আলোকচিত্র নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে ‘৭১-এর আকরগ্রন্থ

প্রকাশিত: ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২১

১১১ জন যুদ্ধাহতের যুদ্ধদিনের কথা ও ৪৬৫টি আলোকচিত্র নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে ‘৭১-এর আকরগ্রন্থ

| সালেক খোকন |

১১১ জন যুদ্ধাহতের যুদ্ধদিনের কথা ও ৪৬৫টি আলোকচিত্র নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে ‘৭১-এর আকরগ্রন্থ’: ছবিতে নিচে বসা দ্বিতীয় যুবকটি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম জুলফিকার। ছয় নম্বর সেক্টরের অধীনে তিনি যুদ্ধ করেন মিরপুর, কোটগজ, তেঁতুলিয়া, বাউড়া, বুড়িমারি, বড়খাতা প্রভৃতি এলাকায়। ছবিটির অন্তরালের ইতিহাস শুনি তাঁর মুখেই। তিনি বলেন- এক অপারেশনে আমার পা ছাড়াও শরীর ও মুখে লাগে অসংখ্য স্প্লিন্টার। চিকিৎসার জন্য ক্যাম্প থেকে তাই পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভারতের বাকডোকরা সিএমএইচ-এ। সেখানেই প্রথম অপারেশন হয়। পরে গেংগ্রিন হয়ে পায়ের মাংসে পচন ধরে। ফলে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমাকে পাঠানো হয় ব্যারাকপুর, রাঁচি, নামকুম, খিরকি ও পুনা হাসপাতালে। অপারেশন হয় আরও ছয়বার। দেশ যখন স্বাধীন হয় তখন আমরা পুনা হাসপাতালে। নার্সরা আমাদের ফুল দিয়ে সম্মান জানায়। উল্লাস করে মুখে আবির মাখিয়ে। স্পেশাল খাবারও দেওয়া হয় আমাদের। ৫ জানুয়ারির ১৯৭২। পুনা হাসপাতালেই আমাদের দেখতে আসেন শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। আমি বসা ছিলাম মেঝেতে। সেদিন আমাদের উৎসাহ দিয়ে তিনি বললেন- ‘চিন্তা কর না, পা লাগিয়ে আবার তোমরা চলতে পারবে। দেশে ফিরলে তোমরা বীরের সম্মান পাবে। তোমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু ফিরে আসবে তোমাদের মাঝে।’ ভারতের সাহায্যের জন্য সেদিন আমরাও তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ইন্দিরার সঙ্গে সেদিনকার একটি ছবি আমার হাতে তুলে দেন সেসময়কার কমান্ড ইনচার্জ ডা. টিডি দাস। ছবিটির দিকে তাকালে আজও সব জীবন্ত হয়ে ওঠে।’
মুক্তিযোদ্ধারা পৌরাণিক কোনো চরিত্র নয়, বরং বাঙালি বীর। তাঁদের রক্ত, ঘাম, ত্যাগে সৃষ্ট বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সামনেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। তাই ১১টি সেক্টরের ১১১জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধদিনের কথা ও ৪৬৫টি আলোকচিত্র সন্নিবেশিত করে Kathaprokash কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে-’৭১-এর আকরগ্রন্থ’। একেকজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনের গদ্যই মুক্তিযুদ্ধের একেকটি জীবন্ত ইতিহাস। তাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে এই গবেষণা গ্রন্থটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বিস্তারিত আসছে …..