পাকিস্তানের জার্সি ও পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশের ঘটনায় রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রয়েছে: প্রগতিশীল ৫ যুব সংগঠন

প্রকাশিত: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২১

পাকিস্তানের জার্সি ও পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশের ঘটনায় রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রয়েছে: প্রগতিশীল ৫ যুব সংগঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৭ নভেম্বর ২০২১ : “বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন ও পাকিস্তানের কথিত সমর্থকদের পাকিস্তানের জার্সি ও পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশের ঘটনায় রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রয়েছে।” ৫টি প্রগতিশীল যুব সংগঠনসমূহের যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

দেশে ক্রিয়াশীল ৫টি যুব সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী চলাকালে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি প্রদর্শনের মধ্যে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রয়েছে। এর দায় বিসিবিকেই নিতে হবে। এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তারা বলেন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের গণহত্যা এখনো বিস্মৃত হয়নি। একাত্তরে পাকিস্তান বাহিনী পরাজিত হলেও তাদের দোসররা এখনো সক্রিয়। পাকিস্তান এখনো নিঃশর্ত ক্ষমা চায়নি এবং সে সময়ের লুণ্ঠিত সব সম্পদ ফেরত দেয়নি। বিবৃতিতে যুব নেতৃবৃন্দ বলেন,  অনুশীলনের সময়ে পাকিস্তান দল মাঠে পাকিস্তানের পতাকা গেড়েছিল, বিষয়টি অভুতপূর্ব এবং ধৃষ্টতাপূরণ অশোভন আচরণ।  বিসিবি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এক্ষেত্রে লিখিত নির্দেশনা বা শর্ত আরোপিত না থাকায় আইনের ফাঁক গলে এহেন কান্ড ঘটানো সম্ভব হলেও,  বিসিবির নিরবতা ভবিষ্যতে এধরণের আচরণকে সুযোগ দিবে।  যে কোন দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা ঐ দেশের অফিসিয়াল এম্বাসেডর। ফলে এবিষয়ে প্রতিবাদ অফিসিয়ালি হওয়া কাঙ্খিত ছিল। কিন্তু বিসিবি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে।  আরো গুরুতর যে অপরাধটি বিসিবির সরাসরি প্রশ্রয়ে ঘটে গেলো তাহলো,পাকিস্তানের জার্সি পড়িয়ে ও পতাকা হাতে দিয়ে একদল ভাড়াটে মানুষকে গ্যালারিতে বসানো হলো রীতিমতো বাণিজ্যিক অর্থায়নে। কথিত সমর্থকদের দিয়ে পাকিস্তানের গ্যালারি সাজানো হয়েছে কার পরামর্শে সেটাও অনুসন্ধানের দাবি রাখে।
খেলা চলাকালীনও মাঠে পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা আমাদের খেলোয়াড়দের সাথে একের পর এক যে অসৌজন্যমূলক ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করছে, তাতে একথা মনে করা অসঙ্গত হবে না যে, পুরো বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত এবং  বিশেষ মহলের প্রশ্রয়ে ঘটেছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিসিবির সভাপতি ও তার তল্পিবাহকেরা দেশের খেলোয়াড়দের শায়েস্তা করতে এতোটাই ব্যস্ত, বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশ ও দেশের খেলোয়াড়েরা অসম্মানিত হলে তাদের যেন কিছুই আসে যায় না।
দেশের ক্রিকেট এবং জাতীয় মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে সভাপতিসহ তার তল্পিবাহকদেরকে বিসিবি থেকে অপসারণ করা জরুরী।
বিবৃতিতে যুব নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরণের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশের যুবসমাজকে আরো সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।
স্বাক্ষরকারি যুব সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ হলেন-

সাব্বাহ আলী খান কলিন্স
সভাপতি
বাংলাশে যুব মৈত্রী
মোতাসিম বিল্লাহ সানি
সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত)
বাংলাশে যুব মৈত্রী
হাফিজ আদনাল রিয়াদ
সভাপতি
বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন
খান আসাদুজ্জামান মাসুম
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন
রোকরুজ্জামান রোকন
সভাপতি
জাতিয় যুব জোট
শরিকুল কবির স্বপন
সাধারণ সম্পাদক
জাতিয় যুব জোট
মোশাহিদ আহমেদ
সভাপতি
বাংলাদেশ যুব আন্দোলন
পল্লব পাল
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ যুব আন্দোলন
খায়রুল আলম
সভাপতি
জাতিয় যুব ঐক্য মিনহাজ সেলিম
সাধারণ সম্পাদক
জাতিয় যুব ঐক্য

বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন ও পাকিস্তানের কথিত সমর্থকদের পাকিস্তানের জার্সি ও পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশের ঘটনায় রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে ৫টি প্রগতিশীল যুব সংগঠনসমূহের যৌথ যে বিবৃতি প্রদান করেছে, এরসাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ অামিরুজ্জামান ভবিষ্যতে এ ধরণের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশের যুবসমাজকে আরও সতর্ক এবং সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অাহবান জানিয়েছেন।