মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ৮১তম প্রতিবেদন প্রকাশ

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ৮১তম প্রতিবেদন প্রকাশ

ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১: মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ৮১তম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন-নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে লালমনিরহাটের চারজনের বিরুদ্ধে আজ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তদন্ত সংস্থা।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম. সানাউল হক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
চার আসামি হলেন- মো. এনামুল হক ওরফে মৌলভী বাহেজ উদ্দিন, মোহাম্মদ জালালউদ্দিন, নুরুল হক ও আজাহার আলী। তাদের বিরুদ্ধে মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ১৯৭১ সালে চারটি ঘটনায় মোট ১২ জন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নিরীহ নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে হত্যা, আটক-নির্যাতন ও ৩০টি বাড়িঘরে লুণ্ঠনসহ অগ্নিসংযোগে ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে এই চারজনের বিরুদ্ধে।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের আলোকে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি এই চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে শেষ হয় ২৮ ডিসেম্বর। মামলায় ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ১০৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে তিন খন্ডে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার এটি ৮১তম প্রতিবেদন। সংবাদ সম্মেলনে এম. সানাউল হক ছাড়াও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. ফারুক হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিতি ছিলেন।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক বলেন, পলাতক চার আসামি মুক্তিযুদ্ধের সময় ও বর্তমানেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক। তারা সবাই হাতীবান্ধা উপজেলার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ চার আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরীহ ১২ জনকে হত্যা, আটক, নির্যাতন ও কমপক্ষে ৩০টি বাড়িঘর লুণ্ঠনসহ অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আসামিরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নিরীহ জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করতে হাতীবান্ধা থানার বিভিন্ন গ্রামে হামলা, নির্যাতন, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ চালায়।