মণিপুরী তাঁতের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে

প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২২

মণিপুরী তাঁতের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে

আফসানা ভূঁইয়া নিপা | ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ : সিলেট শহর মোটেও ছোট কোন জেলা নয়। এই শহরে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা শহর গুলো বাংলাদেশে যেগুলো আছে তার মাঝে সিলেট শহরে আছে প্রচুর সম্ভাবনা সাথে সিলেটিদের নিজস্ব সম্পদ মণিপুরী তাঁত রয়েছে।

কিভাবে এবং আমার দৃষ্টিতে একটু বলছি।।।

কিভাবে???

সিলেট শহরটা অনেক বড়। ৩,৪৫২.০৭ বর্গ কি.মি বা ১৩৩২.০০ বর্গমাইল যেটা গুগুলে আছে।

জনসংখ্যা ৩৫,৬৭,১৩৮ জন (২০১১) জরিপে দেখা গেছে।

তারমানে বিশাল একটা জনগোষ্ঠীর বাস সিলেট শহরে। সেখানে নতুন করে যেকোন কিছুর প্রয়োজন যেমন আছে তেমনি গোটা দেশে সেসব নতুন কিছুর প্রয়োজন এর সাথে চাহিদাও আছে।

চাহিদা যেহেতু আছে সেখানে সেহেতু যোগান দিতে হবে। আর যোগানের মূল উৎস হতে পারে তাতঁ পণ্য।
মণিপুরী তাঁত পণ্য সম্ভাব্য হতে পারে নতুন করে সিলেট শহরের মণিপুরী পাড়াতে। যদি নতুন করে সিলেট শহরেই তাঁত পণ্যের উৎপাদন সম্ভব করা যায়।

নতুনভাবে আবার তাঁতপল্লী শুরু হলে শুধুমাত্র শ্রীমঙ্গল এর উপর নির্ভর করতে হবে না। শ্রীমঙ্গল এবং সিলেট মিলে একসাথে সমগ্র বিশ্বে মণিপুরী তাঁত পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে পারবে।

তাঁতের সম্ভাবনা যদি বাড়াতে পারা যায়, সাথে নতুন পল্লী শুরু হয় তাহলে সিলেটে যারা শ্রীমঙ্গল থেকে মণিপুরী পণ্যের উপর নির্ভরশীল থাকেন, তারাও মণিপুরী পণ্য উৎপাদন করতে পারবে এবং চাহিদা মাত্র যোগান সম্ভব হবে।

পণ্যের কোয়ালিটি তখন নজরদারিতে রাখা যাবে সাথে ভালো পণ্য বা মানসম্মত পণ্য উৎপাদিত হবে।

যারা সিলেট থাকেন তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে যদি ভাবেন তাহলে আমার মনে হয় সম্ভাব্য নতুন তাতপল্লী তাঁত পণ্যের উদ্ভাবনে উদ্ভাবনী সম্ভাবনা তৈরি করবে। দরকার আপনাদের দৃষ্টিকোণ পরিবর্তনের, দরকার আমাদের মানসম্মত পণ্যের।

সরকারি পর্যায়ে যারা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন, তারা সরকারি খাতে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে পারেন।

নতুন কিছু সম্ভব যদি ইচ্ছা থাকে, সুযোগ থাকে।

নিজের দেশকে সবাই চায় ভালো অবস্থানে নিতে যার যতটুকুন সুযোগ আছে।