মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুস সামাদ আজাদের জন্মশত বার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ১২:২০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২২

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুস সামাদ আজাদের জন্মশত বার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিলেট, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ : প্রয়াত জাতীয় নেতা, ভাষা সৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুস সামাদ আজাদের জন্মশতবার্ষিকী আজ।

আব্দুস সামাদ আজাদ তৎকালীন সিলেট জেলা বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার ভূরাখালি গ্রামে ১৯২২ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে মরহুমের পরিবার ও বিভিন্ন সংগঠন সিলেট, সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুরে নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। কর্মসুচীর মধ্যে কোরআন খতম, ১১টায় ঢাকায় বনানীতে মরহুমের কবর জেয়ারত, দোয়া মাহফিল, কেক কাটা, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা রয়েছে।
আব্দুস সামাদ আজাদের পুত্র আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডন এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি তাঁর প্রয়াত পিতার জন্য দেশ ও বিদেশে পরিচিত মহলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আব্দুস সামাদ আজাদবঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে নিরলস কাজ করেছেন। পর্যায়ক্রমে সুনামগঞ্জের ৫টি আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। জাতীয় রাজনীতিতে সামাদ আজাদ ছিলেন দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে অভিভাবক তুল্য। সকলেই তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় পেয়েছেন।
প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ ১৯৪০ সালে মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের আঞ্চলিক শাখার সভাপতি হিসেবে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন এবং আওয়ামীলীগে শ্রম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং সর্বদলীয় রাজনৈতিক জোট এনডিএফ-এর দপ্তর সাম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্বের প্রধান সংগঠকদের একজন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ’৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন এবং জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০-এর মহান গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা এবং ১৯৯৬ এর জনতার মঞ্চের অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়ীত্ব পালন করেন। সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট মন্ত্রী হিসাবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি ইন্তেকাল করেন। জাতীয় নেতা, ভাষা সৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুস সামাদ আজাদের জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ