দেবাশীষ চৌধুরী রাজা : কলা-তপস্যায় এক ধীমান ঋত্বিক

প্রকাশিত: ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২

দেবাশীষ চৌধুরী রাজা : কলা-তপস্যায় এক ধীমান ঋত্বিক

মৃদুলকান্তি পাল মলয় | ময়মনসিংহ, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ : প্রগতিপথের অগ্রপথিক, সুস্থ সংস্কৃতির জীবন্ত মশাল ও আলোকিত মানুষ শ্রদ্ধেয় দেবাশীষ চৌধুরীর প্রজ্ঞা ও ব্যক্তিত্বের স্ফূরণ বহুমাত্রিক ও নান্দনিক। প্রচন্ড ধীশক্তির অধিকারী দেবাশীষ চৌধুরী গুণীমহলে একটি অতি আদরনীয় নাম। একজন স্নিগ্ধ রুচির মানুষ হিসাবে যাঁর চেতনা, বৈশিষ্ট্য মাধুর্য্য, রসবোধ, অন্যকে প্রশংসা করার উদারতা, তাকিয়ে দেখার আলাদা দৃষ্টিসহ বিভিন্ন ইতিবাচক গুণাবলী যেমন সমকালে বিরল তেমন দৃষ্টান্তমূলক। নানাভাবে তিনি সাক্ষর রেখেছেন বিরলপ্রজ কর্মযোগের। কোন নির্দিষ্ট বৃত্তে নয়, বরং নানা রঙে নিজেকে মেলে ধরেছেন, করেছেন প্রস্ফুটিত। আর তাই সবার শ্রদ্ধা ও ভালবাসার আসনে নিজেকে আসীন করেছেন একান্তই স্বমহীমায়।

তাঁর চিন্তা-চেতনা যেমন শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
সংলগ্ন তেমন যথার্থ ও যুগোপযোগী। দেশে যখন
আর্থ – সামাজিক উন্নয়নের মাহেন্দ্রক্ষণ চলছে,
সেই সমান্তরালে আবার আধুনিকতার নামে চলছে অপসংস্কৃতির চর্চা। তিনি সকল অপসংস্কৃতি পরিহার করে মানবিক মূল্যবোধের আলোকে সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠায় নিঃশঙ্ক সাক্ষ্য ও সদা সোচ্চার কন্ঠ।

তিনি শিল্পকলার সকল শাখায় সযত্ন প্রয়াসী হলেও আবৃত্তি অঙ্গনে স্বপ্রতিভায় সমুজ্জ্বল।
উল্লেখ্য – আবৃত্তি একটি বাচনিক শিল্প।
আবৃত্তি কন্ঠশিল্প – কন্ঠের কারুকাজেই আবৃত্তি শিল্পে রুপান্তরিত হয়। আর এক্ষেত্রে তাঁর আবৃত্তি শাশ্বত সুধারসে সাবলিল। প্রমিত উচ্চারণে তাঁর স্বতন্ত্র স্বরভঙ্গিতে সৃষ্টি হয় এক ভিন্ন দ্যোতনা, যা শ্রোতার চিত্তকে দ্রবীভূত করে শ্রোতাকে পৌছায় পরম আনন্দলোকে। তাঁর উচ্চারণ ও ভাষার বিশুদ্ধতা আবৃত্তি বিষয়কে করে তোলে সর্বজনীন ও চিত্তাকর্ষক।

ব্যক্তিগত জীবনাচরণে তিনি বৈচিত্রবিলাসি।
তাঁর ছাদ বাগান ও টেবিল টেনিসসহ ক্রীড়া
মনস্কতায় এ জাতিয় অন্বেষণের ভিন্নমাত্রা
খোঁজে পাওয়া যায়। ঐতিহ্যবাহী অভিজাত
পরিবারের সন্তান হলেও রক্ষণশীলতার তকমা
তাঁর জীবনাচরণে গরহাজির। বরং যৌথ পারিবারিক পরিমন্ডলে পাওয়া ইতিবাচক নৈতিক শিক্ষা তাঁকে সকল শুভকর্মে অনুপ্ররণা যোগায়।

সদ্য ঊনষাট (৫৯) বছরে পা দেয়া দেবাশীষ চৌধুরী রাজা দাদা শ্রীমঙ্গলের সবুজের মতোই চিরসবুজ চিরতরুণ।