সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২
স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদক | ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ : করোনাভাইরাস মহামারি মানুষের নিত্যকার জীবনকে বদলে দিয়েছে। গত দুই বছর যাবত নানা সময়েই ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে আমাদের। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দীর্ঘসময় এই ভাইরাসটির সঙ্গে লড়াই করে যেতে হবে আমাদের। তবে টিকা নিলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে তেমন ঝুঁকি আর থাকবে না। ফলে বাংলাদেশেও ব্যাপকহারে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। কয়েক কোটি মানুষ ইতোমধ্যেই টিকা নিয়ে ফেলেছেন, আরও অনেকেই আছেন টিকার অপেক্ষায়।
তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, কোভিড-১৯ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে টিকা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হলেও, শরীরের সব পরিস্থিতিতে টিকা নেওয়া যাবে না। যেসব পরিস্থিতিতে টিকা নেওয়া যাবে না তা নিয়েই আমাদের এ লেখা।
ইউনিসেফ তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী টিকা নেওয়া যাবে কিনা তা নিশ্চিত হতে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। তবে দুই ধরনের শারীরিক পরিস্থিতিতে টিকা নেওয়া উচিত নয়।
> কোভিড-১৯ টিকায় যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে আপনার শরীরে যদি অ্যালার্জিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ইতিহাস থাকে, তবে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত হবে না।
> যদি আপনি বর্তমানে অসুস্থ থাকেন বা আপনার মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়।
তবে গবেষকরা এটিও বলেছেন আক্রান্ত কারও করোনা নেগেটিভ হওয়ার চার সপ্তাহ বা এক মাস পর কোনো ধরনের তীব্র করোনা–পরবর্তী জটিলতা না থাকলে টিকা নিতে পারবেন।
অন্যদিকে চিকিৎসকরা বলেছেন, ডায়াবেটিস থাকলে টিকা নিতে কোনো নিষেধ নেই। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে এরপর টিকা দিতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী ও জটিল রোগগুলোর ক্ষেত্রে অসুস্থ রোগীরা টিকা নিতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার কাছে।
তিনি বলেছেন, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ এসব যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শে টিকা নেওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেছেন, যাদের অ্যালার্জির সমস্যা প্রকট তাদের টিকা না নেওয়াই ভালো। এ ছাড়া যাদের হাঁপানি বা ফুসফুসজনিত অসুখ রয়েছে তাদেরও নেওয়া ঠিক হবে না।
গবেষকরা বলেছেন, অনেক দেশেই সন্তানকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্মসহ সব ধরনের টিকাই দেওয়া হচ্ছে। এতে কারও কোনো সমস্যা বা ক্ষতি হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং মায়ের কাছ থেকে বুকের দুধের মাধ্যমে অ্যান্টিবডি শিশুর শরীরে প্রবেশ করে শিশুকেও সুরক্ষা দেবে।
সুতরাং আমরা জেনে নিলাম স্বাভাবিক শারীরিক সুস্থতার বাইরেও কোন কোন ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ টিকা দিতে হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে না। তবে চিকিৎসকরা সবসময়ই বলে এসেছেন, ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে টিকার কোনো বিকল্প নেই।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D