সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২২
ইশরাত নাহের ইরিনা | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ১২ মার্চ ২০২২ : “না” মানে “না”, হোক প্রতিবাদ!
আমরা নারীরা জন্মগতভাবেই অনেক বেশি mature and সব চাপ সামলে নিয়ে একজন ভালো ম্যানেজার হিসেবে ঘরে বাইরে কাজ করতে পারি। একজন নারী মা হবার আগেই কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই মায়ের ভূমিকা পালন করেন বা বোঝার ক্ষমতা রাখেন। মাতৃত্ত্ব এজন্যই এতোটা special!
আর এসব কারনেই আমরা কর্মস্থলে পুরুষদের ইংগিতপূর্ন আচরন বুঝতে পারি। অনেক সময় ইগনোর করি, অনেক সময় প্রতিবাদ করি। কিন্তু এটি এখন একটি সামাজিক ব্যাধি।
আমার পছন্দের মানুষ থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে। এটার সাথে অন্য কারো সাথে ব্যাক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন করা না করার কোনো সম্পর্ক থাকতে পারেনা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে “সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট” নিয়ে আমরা সোচ্চার হলেও আরও একটা জিনিস আছে, যেটা নিয়ে আমরা কথা বলি না। আর সেটা হলো “মানসিক নির্যাতন।
আমি একটু সরাসরিই বলতে চাই। আমি আমার প্রফেশনাল লাইফে যাদের সাথে চলাফেরা করি, সবসময় একটা সুস্থ যোগাযোগ রাখি এবং রাখার চেস্টা করি। কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু পুরুষ মানুষ অন্যরকম ব্যাবহার করে বসেন। ইয়াংদের চেয়ে মধ্যবয়স্করা এসব ক্ষেত্রে বেশি এগিয়ে। আমার সাথে অনেক নারীরাই সহমত পোষণ করবেন।
আমার যদি কুয়ালিটি থাকে এবং উদ্দেশ্য ভালো থাকে, তাহলে আমি আমার গন্তব্যে চলে যাবই। কারো সাথে ব্যাক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে আমি জীবনেও কিছু করিনি এবং ভবিষ্যতেও করবোনা। এরকম ফালতু মানসিকতার মানুষের জন্য মাঝেমাঝে আমরা নারীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাই।
ঘরে আব্বুর মত একজন সুপরিচিত এবং সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য মানুষ রেখেও আমি নিজের কাজ নিজেই করেছি। যেখানে আব্বুর একটা ফোন কলেই সব কাজ হয়ে যেতো, সেখানে আমি সেটাকে সময় নিয়ে নিজে নিজেই করেছি। তাই আশেপাশের মানুষের এটা বোঝা উচিত আমি কারো উপর নির্ভরশীল না!
Personal and professional life আমি সবসময়ই আলাদা করে রাখি। আমার কর্মক্ষেত্রে আমি এমন মানুষ চাই না, যারা নারীদের উল্টাপাল্টা চিন্তা করেন। এসব চিন্তা তো আমার মাথাতেই আসেনা। আমি বুঝিও না অনেক সময়। কাউকে আপনার ভালো লাগতেই পারে। কিন্তু সে যখন আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে, সে আপনার সাথে কাজের বাইরে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে চাচ্ছে না, সেখানে আপনাকে থামতে হবে।
আমরা নারীরা সব বুঝি। ইগনোর করলেই এটা মনে করার কোনো কারন নেই যে আমরা বুঝিনা। আব্বুর কাছ থেকে অনেক আগেই শিখে গেছি এই টাইপের মানুষকে কিভাবে ইগনোর করতে হয়। কিন্তু মাঝেমাঝে খারাপ লাগে। অপমান বোধ করি।
কাজের ক্ষেত্রে এই ধরনের মানুষ অনেক মানসিক অশান্তি দেয়। আমি হাসিখুশি থাকি সবসময়, মানুষের সাথে কথা বলতে পছন্দ করি, তাদের খোজ খবর নেই কিন্তু কিছু মানুষ এগুলোকে ব্যাক্তিগতভাবে গ্রহণ করেন। আমার সেটাতেও সমস্যা নেই। সমস্যা হলো তারা যখন জোর করে তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে চান।আমার অনিচ্ছাকে মেনে নিতে পারেন না।
সব অশুভ ইচ্ছা শক্তি পোষণ করা পুরুষ মানুষগুলো(!) কাজপাগল নারীদের আশপাশ থেকে দূরে সরে যাক, শুভ চিন্তাভাবনার উদয় হোক।
দিনশেষে আমরা নারীরা ভালো ভালো কাজ করতে চাই। কফি খাওয়াতে চাইলে সবার সাথে মিটিংয়েই খাওয়ান, মিটিং শেষে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব চাইনা!
“না” মানে “না”।
জানতেই হবে, কোথায় আপনাকে থামতে হবে।
আমি হালাল ইনকামে বিশ্বাসী। হারাম ইনকাম দিয়ে নিজেকে শেষ করার কোনো ইচ্ছে নেই। বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে টাকা উড়ে কিন্তু লোভ আমাকে কখনোই ছুতে পারেনি, পারবেওনা। আমার আব্বু চাইলেই তার রাজনৈতিক পদ পদবী কাজে লাগিয়ে কালো টাকার পাহাড় বানাতে পারতেন, সেটাই যখন করতে দেখিনি, আমাকে দিয়েও এসব সম্ভব না। খারাপ মানুষরা আমার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকবেন প্লিজ। আপনাদের সাথে কথা বলা, আপনাদের সান্যিধ্যে থাকাটাও মনে হচ্ছে পাপ।
<নানুবাড়ি (মৌলভীবাজার) ঘুড়তে আসছি আম্মু, ভাইবোন, ফুফুকে নিয়ে।
গ্রাম খুব ভালো লাগে, প্রকৃতির মাঝে অনেক শান্তি>
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D