উপজেলা পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২২

উপজেলা পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ২৫ এপ্রিল ২০২২ : শ্রীমঙ্গলে উপজেলা পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।
ডেমোক্রেসি ওয়াচ, খান ফাউণ্ডেশন, প্রিপ ট্রাষ্ট ও রূপান্তর-এর সহায়তায় নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্প অপরাজিতা’র উদ্যোগে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল ২০২২) সকাল সাড়ে ১০টায় এই মতবিনিময় সভা অনু্ষ্ঠিত হয়।

অপরাজিতা’র উপজেলা সমন্বয়কারী তাহমিনা পারভীনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান; শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার কর, ট্রাস্টের সিলেট ক্লাস্টারের মনিটরিং এণ্ড ইভালিউশান কো-অর্ডিনেটর জুলিয়ানা রত্না গোমেজ, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুয়েব হোসেন চৌধুরী, স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আতাউর রহমান কাজল, অপরাজিতা’র উপজেলা সমন্বয়কারী তাহমিনা পারভীন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অরুণ কুমার গোস্বামী, সাংবাদিক মামুন আহমেদ, দৈনিক সন্ধ্যাবানী পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি আমিনুর রশীদ চৌধুরী রুমন প্রমুখ।

উক্ত মতবিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সাবেক মহিলা সদস্য, নির্বাচনে সম্ভাব্য নারী প্রার্থী ও অপরাজিতা’র সদস্য যথাক্রমে শোভারাণী সরকার, জহুরা অাক্তার, রিনা বেগম, হোছনা বেগম, পারভীন চৌধুরী, স্বপ্না দাশ, ফিরোজা বেগম, অামিনা বেগম, সবিতা ধর, সীমা দেবনাথ, শিখা দেবনাথ, বিশ্বমনি, পলিনাসহ সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন যদি না হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষমতায়ন হলেও তার কাঙ্খিত ফল আমরা দেখতে পাবো না৷ আমি মনে করি, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন অনেক বড় বিষয়৷ এটা চর্চার মাধ্যমে আসতে হবে৷ সেটার জন্য চর্চার ক্ষেত্রটা তৈরি করতে হবে আমাদেরকে।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে একটি রাজনৈতিক বিশ্বাস। এই দৃষ্ঠিভঙ্গী থেকে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
ট্রাস্টের সিলেট ক্লাস্টারের মনিটরিং এণ্ড ইভালিউশান কো-অর্ডিনেটর জুলিয়ানা রত্না গোমেজ বলেন, “নারী জনপ্রতিনিধিরা শুধু নারীদের নয়, প্রতিনিধিত্ব করেন পুরুষ সমাজেরও। সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে নারী-পুরুষের সমানধিকার তথা ন্যায্য সুযোগ সুবিধা লাভের দিকনির্দেশনার আলোকে এ যাবত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যারমধ্যে ১৯৯১’র সংসদ নির্বাচনের পরে নির্বাচন কমিশনের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী প্রথমবারের মতো দলীয় রাজনীতিতে সকল কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শতকরা ৩০ ভাগ নারীর জন্য সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের একটি বড় সুযোগ তৈরী হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোতে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সভাপতি বা সম্পাদক পদে নারীদের নির্বাচিত হতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে নারীদের কি করণীয় তা আলোচনা করাটা খুবই জরুরী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোতে যে নারীরা রয়েছেন তাদের চ্যালেঞ্জগুলো শুনা এবং সে অনুযায়ী এগুনোটা এখন সময়ের দাবী।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ