সিলেট ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ০৭ মে ২০২২ : শ্রীমঙ্গলে আসন্ন ঘুর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় সহকর্মীর বোরো ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।
শনিবার (৭ মে ২০২২) সকালে উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের খোসবাস গ্রামে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী বুলেটের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের এক ঝাক সংবাদকর্মী এ ধান কাটা কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে।
কৃষক ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য শাকির আহমদের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কংকন মল্লিক, আশিদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান মখসুদ, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম, প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইসমাইল মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মামুন আহম্মেদ, সহযোগী সদস্য যুগান্তর প্রতিনিধি সৈয়দ সালাউদ্দিন, দিনকাল প্রতিনিধি মো: রুবেল আহমেদ, দৈনিক হালচাল প্রতিনিধি মো: মিজানুর রহমান আলম, দৈনিক করতোয়া প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ সাগর, দেশ রুপান্তর প্রতিনিধি আহমেদ এহসান সুমন প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী বলেন, সংবাদকর্মী শাকির আহমদের পাকা ধান কাটার সহযোগিতার পাশাপাশি আমরা কৃষকদের সচেতন করতে এসেছি যাতে খেতে পাকা ধান আসন্ন ঘুর্ণিঝড়ের আগেই কেটে ঘরে তোলা হয়। অবহেলার কারণে যেনো ধানের কোনো ক্ষতি না হয়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কংকন মল্লিক জানান, উপজেলায় পাকা বোরো ধান কাটা অনেকটা এগিয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকায় ৮০ ভাগ পাকা বোরো ধানগুলো কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আশিদ্রোন ইউনিয়নের ৫০৩ ব্লকে বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে এ ব্লকের বোরো ফসলের কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। ঘুর্ণিঝড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বোরো ধান হাওরে কাটার উপযোগী হওয়ার পরও কাটা হচ্ছে না। দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান, উপজেলায় ১০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ উপজেলায় বোরোর ফলন হয়েছে ভালো।
হাওরের ধান কাটা শতভাগ এবং উপরে ৩০ ভাগ ধান কাটা শেষে হয়েছে।
তিনি আরো জানান, উপজেলা আশিদ্রোন ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় দেরীতে ধান পাকার কারণে এখনো প্রায় ৭০ ভাগ ধান কাটতে পারেন নি কৃষকগণ। তবে এখন ধান পাকা শুরু হয়েছে। অার তাই কোন দুর্যোগ আসার আগেই কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য শাকির আহমদ জানান, তিনি তার উত্তরাধীক সুত্রে পাওয়া ৫ খিয়ার জমিতে ধান চাষ করেছেন। এখন ধান পাকা শুরু হয়েছে। বর্তমানে ঘুর্ণিঝড়ের আশাংকায় স্থানীয় কৃষকরা দুচিন্তায় আছেন। তিনি দুচিন্তায় ছিলেন, এসময় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের তার সহকর্মীরা এগিয়ে আসায় তিনি খুবই খুশি। এবং স্থানীয় কৃষকরাও সাংবাদিকদের সচেতনমূলক উদ্যোগে তারা খুবই খুশি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে ৮০ভাগ পাকা ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার নির্দেশ পেয়ে কৃষকরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D