পুঁজিবাদ ইতিহাসের শেষ কথা নয়, সমাজতন্ত্রই মানুষের মুক্তির পথ: মেনন

প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২২

পুঁজিবাদ ইতিহাসের শেষ কথা নয়, সমাজতন্ত্রই মানুষের মুক্তির পথ: মেনন

Manual1 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ১৭ মে ২০২২ : ‘পুঁজিবাদ ইতিহাসের শেষ কথা নয়, সমাজতন্ত্রই মানুষের মুক্তির পথ। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘটেছে, সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটেছে ঠিকই তবে পৃথিবী আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সমাজতন্ত্রেরই পথে। বরং পুঁজিবাদেরই মৃত্যুযন্ত্রণা দেখছে বিশ্ববাসী প্রতিমুহূর্তে। দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বিক্রি করা ছাড়া উদ্ধারের কোন পথ নাই তাদের। আর এর ফলাফল হিসাবে ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বজুড়ে জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য, মুদ্রার মান কমে যাওয়া, বর্ণবাদ, জাত্যাভিমান, কর্তৃত্ববাদের প্রসার ঘটছে। বাংলাদেশও পুঁজিবাদী এই সংকট থেকে বাইরে নয়। ক্ষুদ্র অতিধনী ও আমলাগোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত সম্পদ বিরাট বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। বিশাল ঋণের ফাঁদ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারই স্বীকার করছে জিনিষপত্রের অগ্নিমূল্য তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এসবই নয়া উদারবাদী অর্থনৈতিক নীতির ফলাফল। দেশকে এই সংকট থেকে উদ্ধার করতে অতীতে যেমন তেমনি বর্তমানে ও বামপন্থা ও বামপন্থীদের কাছেই আসতে হবে।


আজ মঙ্গলবার (১৭ মে ২০২২) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে বছরব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্ত্রী উদযাপনের কর্মসূচি উদ্বোধন করতে গিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, পচাত্তর পরবর্তীতে দেড় দশকব্যাপী সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী ১৫ দলের আন্দোলন, বিএনপি-জামাত জঙ্গীবাদ মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ১৪ দলের আন্দোলনের সৃষ্টি করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি ও বামপন্থীরা। এখনও সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদের বিরুদ্ধে মূল শক্তি বামপন্থীরা। ওয়ার্কার্স পার্টি আগামী পঞ্চাশ বছরে সমাজতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে।

Manual4 Ad Code

Manual6 Ad Code

পার্টি আফিস চত্বরে সুবর্ণজয়ন্তীর মিলনমেলায় বিদেশ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্টে ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যাওয়ায় তারা আবার ফণা তুলেছে। এবার তাদের ফণা ভেঙ্গে দিতে হবে।
তিনি অারো বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি পঞ্চাশ বছরে এদেশে বামপন্থী আন্দোলনের যে ধারা তৈরী করেছে তা পরিপুষ্ট হয়ে আগামী পঞ্চাশ বছরের আগেই সমাজপরিবর্তনের লক্ষ্য হাসিল করবে।
বাদশা বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও বৈষম্যের বিস্তৃতি সরকারের সকল উন্নয়নকেই খেয়ে ফেলবে। এই পঞ্চাশ বছরে পার্টিকে এগিয়ে নিতে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত জাতীয় পতাকা ও পার্টি পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয়। মৌলভীবাজার জেলাসহ সারাদেশে পার্টির সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পালিত হয়।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পার্টি অফিসের রাস্তাতে আলোকসজ্জা, প্রয়াত নেতৃবৃন্দের ছবি, বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত দেয়াল লিখন, লাল পতাকা দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।
সুবর্ণজয়ন্তীর মিলন মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন গণসাংস্কৃতিক মৈত্রী, গণ শিল্পী সংস্থা, ভাবুক ও পার্টির অন্যান্য শিল্পীরা।

Manual1 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ