নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের লাগামহীন উর্ধ্বগতি ও মুল্যস্ফিতিতে ওয়ার্কাার্স পার্টির উদ্বেগ

প্রকাশিত: ৯:০১ পূর্বাহ্ণ, মে ২১, ২০২২

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের লাগামহীন উর্ধ্বগতি ও মুল্যস্ফিতিতে ওয়ার্কাার্স পার্টির উদ্বেগ

Manual2 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২১ মে ২০২২ : বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির পলিটব্যুরো চাল, আটা, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের লাগামহীন উর্ধ্বগতির ফলে সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষের সংকট বেড়ে যাওয়া, জীবনযাত্রায় মুল্যস্ফিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ওয়ার্কাস পার্টির পলিটব্যুরোর এক বার্তায় বলা হয়, দ্রব্যমূলের লাগামহীন উর্ধ্বগতির কারনে জনজীবনে নাভিঃশ্বাস তৈরী হয়েছে। সীমিত আয়ের মানুষ আয়ের সাথে ব্যায় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। মুল্যস্ফিতির কারণে জীবনযাত্রায় নাকাল অবস্থা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য এক কোটি খাদ্যকার্ড প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা এখনো এক তৃতীয়াংশ বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তৎকালীন বৃটিশ সরকার সবার জন্য যে রেশনিং প্রথা চালু করেছিল। পাকিস্তান আমল এমনকি বাংলাদেশ সত্তুরের দশক পর্যন্ত তা চালু ছিল। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সবার জন্য রেশনিং ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা প্রয়োজন। করোনার অভিঘাত মোকাবেলার পরিস্থিতি শেষ হতে না হতেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন সংকট তৈরী হয়েছে। এই অবস্থা কতদিন চলবে তা বলা মুশকিল। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজারেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমুল্যায় করা হয়েছে। এ কারণে আমদানী নীতিতে পরিবর্তন আনা জরুরী।
পলিটব্যুরো প্রস্তাবে বলা হয়ঃ- ১. খাদ্যপণ্যসহ জরুরী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানী ছাড়া মোটরগাড়ীসহ কোন বিলাশীপণ্য আমদানী বন্ধ রাখতে হবে,
২. সবার জন্য রেশনিং ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে, ৩. পরিবারে একের অধিক গাড়ীর জন্য ট্যাক্স আদায় করতে হবে,
৪. বিদেশে ডলার নেয়ার সীমা কমাতে হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ