অনন্য এক রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী অাজ

প্রকাশিত: ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ, মে ২৮, ২০২২

অনন্য এক রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী অাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ২৮ মে ২০২২ : ত্যাগ নীতি অাদর্শের এক অনন্য নজির স্থাপনকারী, কীর্তিমান রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী অাজ।
অাজীবন সংগ্রামী, কীর্তিমান রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন ২০০৬ সালের ২৮ মে দুরারোগ্য ক্যান্সারব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ভারতের মাদ্রাজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

কীর্তিমান রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের ১৬তমম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রীমঙ্গলবাসী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁকে স্মরণ করছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগঠক মুহাম্মদ ইলিয়াস ও আলতাফুর রহমানের একান্ত সহচর হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের সম্মূখ সমরে দৃষ্টান্ত রেখেছেন অনেক। মুক্তিযুদ্ধ শেষে মুক্ত শ্রীমঙ্গলে ফিরে এসে দেশ গঠনে ও পুনর্বাসনে অবদান রাখাসহ রাজনীতিতে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল শ্রীমঙ্গলের প্রথম আওয়ামী যুবলীগ কমিটি। শেখ ফজলুল হক মনি’র খুবই পছন্দের শাখা ছিল শ্রীমঙ্গল থানা আওয়ামী যুবলীগ কমিটি। সভাপতি ছিলেন মোঃ ইসমাইল হোসেন, সহ-সভাপতি গোপাল দেব চৌধুরী, বদরুজ্জামান চৌধুরী, কোহিনুর চৌধুরী, সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম তরফদার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় ভূষণ দেব চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
ইসমাইল হোসেন শ্রীমঙ্গল থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর জীবনে রাজনৈতিক পথপরিক্রমা কখনও নীতি অাদর্শ ত্যাগ করেননি। এক অসাধারণ বক্তা ছিলেন তিনি। ইসমাইল হোসেনের সভা মানেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ এক সমাবেশ। বলিষ্ঠ ও সৎ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি জনগণের নিকট ব্যাপক সমাদৃত ও পরিচিত ছিলেন। জীবনে কখনও অর্থের পেছনে ছুটেননি।

ত্যাগ নীতি অাদর্শের এক অনন্য নজির স্থাপনকারী, কীর্তিমান রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, সাপ্তাহিক নতুন কথার বিশেষ প্রতিনিধি, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ অামিরুজ্জামান বলেন, “শ্রীমঙ্গল উপজেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেনের সাথে তাঁর বাসায় সৌজন্য সাক্ষাতে প্রথম যেদিন পরিচয় হয়, সেদিনই তিনি কিছু বলার অাগেই অবাক করে বললেন, অাপনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ‘মুফতিয়ে অাজম সাইয়্যেদুনা অাবুতাহের রহমানপুরী সাহেবের বড় ছেলে, কলেজ রোডের বসুন্ধরার স্থায়ী বাসিন্দা। অাপনার প্রতিবেশী মুহিবুর রহমান চৌধুরী। ছাত্র রাজনীতি করেছেন। কেন্দ্রীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সুবক্তা। পত্র পত্রিকায় প্রবন্ধ নিবন্ধ কলাম লিখছেন। অারও অনেক কিছু বললেন। তাঁর এসব চুম্বক মন্তব্যে বিস্মিত ও চমৎকৃত হয়েছিলাম।
অারেকদিন ২০০৫ সালে জানুয়ারিতে গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভার অায়োজন করতে গিয়ে মুঠোফোনে বললেন, অাপনার কি একটু সময় হবে, প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করার। সাথে সাথে সম্মতি দিয়ে তখনই হাজির হয়েছিলাম। যথেষ্ট সম্মান পেয়েছিলাম। বক্তৃতায় সিনিয়র নেতার মর্যাদা দিয়েছিলেন। যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়ায় অাবারও বিস্মিত হয়েছিলাম।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ