আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরোচিত হামলা পুর্বপরিকল্পিত, স্বাধীনতা বিরোধী ও ওয়াহাবীপন্থী সালাফীরা এই আক্রমণের ইন্ধণদাতা: ওয়ার্কার্স পার্টি

প্রকাশিত: ২:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৩

আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরোচিত হামলা পুর্বপরিকল্পিত, স্বাধীনতা বিরোধী ও ওয়াহাবীপন্থী সালাফীরা এই আক্রমণের ইন্ধণদাতা: ওয়ার্কার্স পার্টি

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ০৪ মার্চ ২০২৩ : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো আজ শনিবার (৪ মার্চ ২০২৩) এক বিবৃতিতে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের বাৎসরিক জলসায় বর্বরোচিত হামলা, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ ও হত্যা হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অতীতের ন্যায় এই বর্বরোচিত আক্রমণ পুর্বপরিকল্পিত। এট সুস্পষ্ট যে, ‘খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি’র ব্যানারে ওয়াহাবীপন্থী সালাফীরা এই আক্রমণের ইন্ধণদাতা। তারা বরাবর ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্ম নিয়ে রাজনীতির পরাজয় ঘটিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাত ধরে সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির রাজনীতির পুনরুত্থান ঘটেছে। বর্তমান সময়েও তার ক্রমবিস্তৃতি ঘটছে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাত ও তার মিত্র ধর্মীয় উগ্রবাদিরা এখন প্রকাশ্যে ‘ব্লাসফেমী আইন’ প্রণয়নের দাবি ও ‘আহমদিয়াদের’ অমুসলিম ঘোষণার দাবি করছে। এ কারণেই পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের ওপর হত্যা হামলা হলো।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় সাম্প্রদায়িক হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। বিভিন্ন ধর্মসভা ও ইউটিউবে ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রচার করা হচ্ছে তারই ফলশ্রুতি এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি। যার যার ধর্ম পালনের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংবিধান সরকারকে দিয়েছে। কিন্ত সরকার এক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার আস্ফালন রোধে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার হোতারা বরাবরই রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা রহস্যজনক।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিত এই হামলার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারী শক্তি ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
বিবৃতিতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ