কমিউনিস্ট পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে আলোচনাসভা

প্রকাশিত: ১০:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৩

কমিউনিস্ট পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে আলোচনাসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ০৮ মার্চ ২০২৩ : গৌরব ও আত্মত্যাগের ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।
“দুনিয়ার মজদুর এক হও। দু:শাসন হটাও, ব্যবস্থা বদলাও, বিকল্প গড়ো। বৈষম্য-শোষণ-দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করুন।”-এইসব শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৮ মার্চ ২০২৩) সন্ধ্যা ৭টায় শ্রীমঙ্গল শহরের চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড সমিরন পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড জলি পালের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, সাপ্তাহিক নতুন কথা’র বিশেষ প্রতিনিধি, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ অামিরুজ্জামান।
পার্টির শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কমরেড মোসাদ্দেক হোসেন মেলা, অমলেশ পুরকায়স্থ, সাবেক ছাত্র নেতা কমরেড বেলাল হোসেন রাজু প্রমুখ।
কমিউনিস্ট পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড সৈয়দ অামিরুজ্জামান বলেন, “মানব সভ্যতার ইতিহাস শ্রেণি সংগ্রামের ইতিহাস, যা সমাজ অভ্যন্তরের সংঘাতের প্রতিফলন। অভ্যন্তরে বিপরীতের এই সংঘাতের মীমাংসার মধ্য দিয়েই সমাজ এগিয়ে চলে, পুরনো সমাজ ভেঙে গিয়ে একটি নতুন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। কার্ল মার্কস প্রথম দিকের বুর্জোয়া অর্থনীতিবিদদের অসঙ্গতিকে একপাশে রেখে, অর্থনীতি ও এর বৈশিষ্ট্যগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে ও নিরন্তর অনুসন্ধান চালিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে দেখালেন যে, আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য হিসেবে যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান তা অমীমাংসেয়।
বর্তমানকালের ধনতান্ত্রিক সমাজ শিল্পপতি বা বুর্জোয়া এবং শ্রমিক শ্রেণি বা সর্বহারা এই দুটি পরস্পর বিরােধী শ্রেণিতে বিভক্ত। এই পর্বে উৎপাদনের উপাদানের মালিক মুষ্টিমেয়। সংখ্যালঘু মুষ্টিমেয় শিল্পপতি শ্রেণি নিজেদের শ্রেণিস্বার্থের জন্য সংখ্যার শ্রমিক শ্রেণিকে শােষণ করে। শ্রমিক শ্রেণির দ্বারা সৃষ্ট উদ্বৃত্ত মূল্য আত্মসাৎ করাই হল ধনতান্ত্রিক সমাজে মালিক শ্রেণির প্রকৃতি। বুর্জোয়াদের শােষণ যতই বল্গাহীন হয় মেহনতি মানুষের শােষণমুক্তির সংগ্রাম ততই তীব্রতর হয়। ধীরে ধীরে সংগঠিত সর্বহারা শ্রেণি রাষ্ট্রশক্তি দখল করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে শামিল হয়। এর পরিণতিতে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার পতন ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ