বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৩: সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ১৭ জুলাই রাত সোয়া ১টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ওই বছরের ২ জুলাই তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলে রাতেই তাকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১২ জুলাই থেকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়।
আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বিআরডিবি’র সভাপতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রবাহ’র সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
হাওরবন্ধু আবদুল হাই ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে গণসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক থাকাকালীন অবসরে গেলে ওই বছরই রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসেবে নিযুক্ত হন। এর আগে ১৯৯৮ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার এবং পরবর্তীতে স্পিকার মোঃ আবদুল হামিদের এপিএস হন।
ঋদ্ধিমান এই কর্মবীর রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব পালন ছাড়াও ছিলেন আলোকিত দেশ গড়ার বাতিঘর এবং আদর্শিক রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তেজস্বী এই অন্তপ্রাণ দেশ মা’কে ভালোবেসে যুদ্ধে লড়তে মা’কে ছেড়েছিলেন একাত্তরে। যুদ্ধশেষে মায়ের কোলে ফিরে এসেছিলেন বীরদর্পে। সিনা টান করে সেদিন দেশ মায়ের লাল সবুজের পতাকা মায়ের হাতে সঁপে ছিলেন বিজয়ের হাসিতে।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক ডিগ্রি কলেজে ও হাজী তায়েব উদ্দীন হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। এলাকার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক অবদান রাখেন।
৯ ভাই বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম।
পরদিন শনিবার মিঠামইনে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ